এক্সিম ব্যাংকের এমডিকে হত্যাচেষ্টা মামলার তদন্ত এখন প্রাথমিক পর্যায়ে। এ দিকে এক্সিম ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মোহাম্মদ হায়দার আলী মিয়া ও অতিরিক্ত এমডি মোহাম্মদ ফিরোজ হোসেনকে গুলি করে হত্যাচেষ্টা মামলার আসামি সিকদার গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) রন হক সিকদার ও তার ভাই দিপু হক সিকদার রোগী সেজে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে ঢাকা ছেড়ে গেছেন। নিজেদের মালিকানাধীন আরঅ্যান্ডআর এভিয়েশনের একটি উড়োজাহাজকে রোগীবাহী হিসেবে দেখিয়ে গত ২৫ মে দুপুরে তারা ব্যাংককের উদ্দেশে দেশ ছাড়েন।
ডিএমপির গুলশান বিভাগের ডিসি সুদীপ কুমর চক্রবর্তী সাংবাদিকদের বলেন, মামলাটির তদন্ত চলছে। আইনগতভাবে যা যা করার দরকার, পুলিশ সবই করবে। তবে ডিএমপির একটি সূত্র জানিয়েছে, সরকারের ঊর্ধ্বতন মহল থেকে কোনো ধরনের নির্দেশনা না থাকায় পুলিশ প্রাথমিক কিছু তদন্ত পরিচালনা ছাড়া আর কিছু করেনি।
গত ১৯ মে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গুলশান থানায় সিকদার গ্রুপের মালিক জয়নুল হক সিকদারের ছেলে এবং গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) রন হক সিকদার ও তার ভাই দিপু হক সিকদারের বিরুদ্ধে গুলশান থানায় হত্যা চেষ্টার মামলা করেন এক্সিম ব্যাংকের পরিচালক লে. কর্নেল (অব:) সিরাজুল ইসলাম। মামলায় তিনি অভিযোগ করেন, ঋণের জন্য বন্ধকি সম্পত্তির মূল্য বেশি দেখাতে রাজি না হওয়ায় এক্সিম ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মোহাম্মদ হায়দার আলী মিয়া ও অতিরিক্ত এমডি মোহাম্মদ ফিরোজ হোসেনকে গুলি করে হত্যার চেষ্টা করেন সিকদার গ্রুপের দুই পরিচালক। শুধু তা-ই নয়, তারা দুই কর্মকর্তাকে বনানীর বাসায় জোর করে আটকে রেখে নির্যাতন এবং সাদা কাগজে সই নেন। এ সময় তাদের বাবা জয়নাল সিকদারও উপস্থিত ছিলেন। যদিও হত্যার চেষ্টার ঘটনা ঘটেছে গত ৭ মে। ঘটনার ১২ দিন পরে এ মামলা করা হয়।
সিকদার গ্রুপের বক্তব্য : এ দিকে এক্সিম ব্যাংকের মামলার বিষয়ে গত ২৭ মে বিকেলে প্রতিবাদ জানিয়ে সিকদার গ্রুপের অন্যতম প্রতিষ্ঠান ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেডের একটি প্যাডে গ্রুপটির এমডি রন হক সিকদার ও পরিচালক দিপু হক সিকদারের বিরুদ্ধে এক্সিম ব্যাংকের মামলাকে মিথ্যা ও বানোয়াট বলে আইনজীবী আব্দুল বাছেত মজুমদার একটি প্রতিবাদ দিয়েছেন। সেখানে তিনি দাবি করেছেন, গত ৭ মে দুপুর ১২টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত ঘটনার বিবরণ দেখিয়ে কর্নেল (অব:) সিরাজুল ইসলাম মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় রন হক সিকদারের বিরুদ্ধে এক্সিম ব্যাংক থেকে ৫০০ কোটি টাকার ঋণ নেয়ার প্রস্তাব অভিযোগ করা হয়। রন হক সিকদার এরকম কোনো ঋণের আবেদন করেননি। এরকম কোনো আবেদন মামলার বাদি কোনোভাবেই দেখাতে পারবেন না। অভিযোগ পরবর্তী ৭ মে রন হক সিকদার ও ন্যাশনাল ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা উল্লেখিত ৭ মে এক্সিম ব্যাংকের গুলশান এভিনিউ শাখায় যাননি।। তাই ঋণ এবং এই সংক্রান্ত জামানত নিয়ে দরকষাকষির কোনো সুযোগ আসতে পারে না। এই মামলার বাদি উল্লেখিত ঘটনার সাক্ষী না। এক্সিম ব্যাংকের এমডি ও এএমডির সাথে আলোচনা না করে ঘটনার ১২ দিন পর উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে মামলা দায়ের করেন। যা ন্যায়বিচারের পরিপন্থী এবং মামলাটি শুধু আমার মক্কেলকে সামাজিকভাবে হেয় করার জন্য দায়ের করা হয়।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা