২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`

১০ টাকা কেজি দরে চাল বিক্রি শুরু

-

সারা দেশে গতকাল থেকে ১০ টাকা কেজি দরে চাল বিক্রি শুরু হয়েছে। কোভিড-১৯ এর কারণে বিপর্যস্ত অসহায় দরিদ্র মানুষের জন্য খাদ্য মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ঢাকাসহ সব বিভাগীয় ও জেলা শহর ও পৌর এলাকায় ওএমএস কর্মসূচির আওতায় এই চাল বিক্রি করা হচ্ছে। চাল কেনার সময় দেখাতে হচ্ছে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি)। একজন মানুষ একবারে সর্বোচ্চ পাঁচ কেজি চাল কিনতে পারছেন। খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় আসবে ৫০ লাখ পরিবার। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত পর্যায়ক্রমে ঢাকার ২৪টি স্পটে এই কার্যক্রম চলবে বলে জানান খাদ্য অধিদফতরের কর্মকর্তারা।
গতকাল রোববার প্রথম দিনে সীমিত পরিসরে চালু হয়েছে এ কার্যক্রম। রাজধানীর মিরপুর ৭ নং ওয়ার্ডে, শিয়ালবাড়ীর রূপনগর ঝিলপাড় বস্তি ও মহাখালীর সাততলা বস্তি এলাকায় শুরু হয়েছে এই কার্যক্রম। চাল কেনার জন্য ওএমএসের চালবাহী ট্রাকের সামনে ভিড় করতে দেখা গেছে নিম্ন আয়ের মানুষদের। স্বল্পমূল্যে চাল কিনতে পেরে খুশি তারা। সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) হিসাবে বাজারে বর্তমানে মোটা চালের কেজি ৩৮ থেকে ৫০ টাকা।
চাল বিক্রির সময় ক্রেতার বিস্তারিত তথ্য সংরক্ষণ করা হচ্ছে। একই পরিবারের একাধিক ব্যক্তিকে ক্রেতা হিসেবে নির্বাচন করা হচ্ছে না। এ ছাড়া পরিবারের কেউ যদি খাদ্যবান্ধব অথবা ভিজিডি কর্মসূচির উপকারভোগী হন, তিনিও ১০ টাকা কেজির চাল কিনতে পারছেন না। সপ্তাহে তিন দিন রবি, মঙ্গল ও বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত চাল বিক্রি করা হবে। নিম্ন আয়ের মানুষ যেসব এলাকায় বসবাস করেন, সেখানে চালগুলো বিক্রি করা হবে।
রাজশাহীতে ১০ টাকা কেজি দরে চাল বিক্রি শুরু
রাজশাহী ব্যুরো জানায়, রাজশাহীতে খোলাবাজারে (ওএমএস) ১০ টাকা কেজি দরে চাল বিক্রি শুরু হয়েছে। গতকাল রোববার সকাল ১০টা থেকে নগরীর ৩২টি পয়েন্টে একযোগে এ চাল বিক্রি শুরু হয়। রাজশাহীর জেলা প্রশাসক (ডিসি) হামিদুল হক সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে সরকার নি¤œ আয়ের মানুষের জন্য ১০ টাকা কেজি দরে চাল বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
রাজশাহী নগরীর ৩২টি পয়েন্টে রোববার, মঙ্গলবার ও বৃহস্পতিবার সপ্তাহে তিন দিন সকাল ১০টা থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত চাল বিক্রি করা হবে। জনপ্রতি সর্বোচ্চ পাঁচ কেজি করে মাসে একজন ব্যক্তি ২০ কেজি চাল কিনতে পারবে। দিনমজুর, রিকশাচালক, ভ্যানচালক, পরিবহন শ্রমিক, ফেরিওয়ালা, চায়ের দোকানদার, ভিক্ষুক, ভবঘুরে, তৃতীয় লিঙ্গের (হিজড়া) মানুষজন ভোক্তা হিসেবে বিবেচিত হবে। চাল কেনার সময় প্রত্যেককে জাতীয় পরিচয়পত্র দেখাতে হবে।
একই সঙ্গে সুশৃঙ্খলভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে লাইনে দাঁড়িয়ে চাল কেনার জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক।
রোববার সকালে দেখা যায়, নগরীর কাদিরগঞ্জ আমবাগান, আসাম কলোনি সপুরা, দাসপুকুর বউবাজার, টিকাপাড়া, কাজলা, মোল্লাপাড়া লিলি সিনেমা হল এলাকাসহ বিভিন্ন এলাকায় ১০ টাকা কেজি দরে চাল বিক্রি করা হচ্ছে।
রাজশাহী জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক (ভারপ্রাপ্ত) নাজমুল হক ভুইয়া সাংবাদিকদের জানান, নগরীতে চাল বিক্রির জন্য প্রত্যেকটি পয়েন্টে খাদ্য বিভাগের তদারকি কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়েছে। তাদের উপস্থিতিতেই ডিলাররা সাধারণ মানুষের মাঝে চাল বিক্রি করছেন। সুষ্ঠুভাবে চাল বিক্রির উদ্দেশ্যে সতর্ক রয়েছে খাদ্য বিভাগ। এ ছাড়া যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে চাল বিক্রির পয়েন্টগুলোতে পুলিশ সদস্যরা সহযোগিতা করছে বলেও জানান তিনি।

 


আরো সংবাদ



premium cement
বগুড়ার শেরপুর প্রেসক্লাবের পুন: সভাপতি নিমাই-সম্পাদক মান্নান হিট স্ট্রোকে পাইকগাছার ইটভাটা শ্রমিকের মৃত্যু মুন্সীগঞ্জে অটোরিকশার ধাক্কায় শিশু নিহত বিচারকের আসনে জয় চৌধুরী হামাস ও ফিলিস্তিনি গ্রুপগুলোর মধ্যে ঐক্য আলোচনার আয়োজন করছে চীন গফরগাঁওয়ে রাজিব হত্যা মামলার আসামি গ্রেফতার ও বিচার দাবি লক্ষ্মীপুর জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক ইমতিয়াজ আটক টিভিতে বিব্রতকর সাক্ষাৎকারের পর অবস্থান পাল্টালেন বিএনপি নেতা শ্বশুরের ঘর থেকে যুবকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ৪৩ ডিগ্রির কাছে আচরণবিধি লঙ্ঘন ও উসকানিমূলক বক্তব্য প্রদানে অধ্যক্ষ-চেয়ারম্যান গ্রেফতার

সকল