২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`

এখনো আমরা সবার ওপরে আছি : অর্থমন্ত্রী

-

করোনা সঙ্কটের মধ্যেও বাংলাদেশ সবার ওপরে রয়েছে উল্লেখ করে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, সারা বিশ্বে গত এক বছর ধরে টানাপড়েন চলছিল। তার মাঝেও আমরা সবার ওপরে ছিলাম। এখনো সবার ওপরে আছি।
গতকাল রোববার সকালে গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে করোনা মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রীর আর্থিক সহায়তা প্যাকেজ ঘোষণার পর অর্থমন্ত্রী এ কথা বলেন। বাংলার প্রত্যেকটা মানুষকে প্যাকেজের আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে মন্তব্য করে এ সময় তিনি আরো বলেন, ‘দেশের সব মানুষ- কামার, কুমার, তাঁতি, জেলে, কৃষক, শিক্ষক, গণমাধ্যমকর্মী, হোটেল-রেস্টুরেন্ট, ছোটখাটো ব্যবসায়ী যে যেখানেই কাজ করেন তারা সবাই উপকৃত হবেন। কুটির শিল্প, ক্ষুদ্র শিল্প, মাঝারি শিল্প মালিকরাও উপকৃত হবেন। আমার বিশ্বাস দেশের মানুষ আশাহারা হবেন না।
অর্থমন্ত্রী বলেন, এডিবির মতে, গত আট মাসে আমাদের যে অর্জন, তার ভিত্তিতে আমাদের জিডিপির আকার এ মুহূর্তে ৭ দশমিক ৮ ভাগ। তারা বলেছে, যদি স্বাভাবিকভাবে সবকিছু চলে তাহলে এ বছর আমাদের প্রবৃদ্ধি ৮ এর কাছাকাছি থাকবে।
তিনি বলেন, ‘গত আট মাসে (চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত) রাজস্ব আহরণ করেছিলাম ৮ দশমিক ১৫ ভাগ। রেমিট্যান্সে আমাদের আট মাসে প্রবৃদ্ধি ছিল ২০ দশমিক ০৫ ভাগ। এটাই প্রথম- আমরা এত রেমিট্যান্স অর্জন করতে পেরেছিলাম। গত অর্থবছরে আমাদের আট মাসে রেমিট্যান্স অর্জন ছিল ১০ দশমিক ৪১ বিলিয়ন ডলার। সেখানে এ অর্থবছরের প্রথম আট মাসে রেমিট্যান্স অর্জন হয়েছে ১২ দশমিক ৪৯ বিলিয়ন ডলার।’
তিনি আরো বলেন, ‘প্রথম আট মাসে আমাদের শুধু একটিমাত্র খাতে নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি ছিল। সেটা হলো রফতানি খাত, (এই খাতে) নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি ছিল ৪ দশমিক ৮ শতাংশ। এখানে একটি কথা বলে রাখা উচিত, রফতানি বাণিজ্যের সিংহভাগ হলো তৈরী পোশাক শিল্প। ১০০ ভাগে সাড়ে ৬ ভাগ খুবই নেগলিজিবল (নগণ্য) মনে করি। তারপরও রেমিট্যান্স দিয়ে আমরা সেটা কাভার করে ফেলেছি। সুতরাং রেমিট্যান্স থেকে সেটা কাভার করার কারণে স্থানীয় চাহিদা কমবে না।’
তিনি বলেন, ‘আমার ব্যক্তিগত মত হলো, সকল বিপদ কেটে যায়। এ বিপদও কেটে যাবে। বিপদ কেটে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সময় বেশি না নিয়ে যাতে আমরা ঘুরে দাঁড়াতে পারি, যাতে আমরা আবার যে জায়গাতে ছিলাম সেখানে চলে যেতে পারি, সেখান থেকে কাজ শুরু করে আমাদের যে কাক্সিক্ষত লক্ষ্য, তা অর্জনে আমরা যেন না পিছিয়ে পড়ি- সে জন্যই প্রধানমন্ত্রী আজকের এই প্যাকেজগুলো ঘোষণা দিয়েছেন। তার কাছে আমরা অবশ্যই কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করব, কারণ তিনি দেরি করেননি। করোনা সংক্রমণ প্রকট হওয়ার পরে করেননি। আগেভাগেই ব্যবস্থা নিয়েছেন।
সুষ্ঠুভাবে প্যাকেজ বাস্তবায়নে নীতিমালা প্রণয়ন করা হবে : অর্থ বিভাগ সচিব
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত ৭২ হাজার ৭৫০ কোটি টাকার প্যাকেজ বাস্তবায়নে নীতিমালা প্রণয়ন করা হবে জানিয়ে অর্থ বিভাগের সচিব আবদুর রউফ তালুকদার বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী যে ঋণ সুবিধার কথা ঘোষণা করেছেন তা যদি কার্যকরভাবে ব্যবহার করা যায় তাহলে প্রস্তাবিত ঋণ সুবিধার পরিমাণ দাঁড়াবে এক লাখ ৩৫ হাজার কোটি টাকারও বেশি। যেহেতু ক্রেডিট রিস্ক বাণিজ্যিক ব্যাংকসমূহ বহন করবে, সেহেতু আমরা মনে করি কোনো ধরনের সমস্যা তৈরি হবে না। ঋণ বিতরণের মান উন্নত হবে, যা অর্থনৈতিক পরিস্থিতি দ্রুত উত্তরণে সহায়তা করবে।
গতকাল রোববার সকালে গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ঘোষিত চারটি প্যাকেজের আওতায় সবাইকেই নিয়ে আসা হয়েছে। বৃহৎ শিল্পের সঙ্গে ক্ষুদ্র শিল্প যাতে এক হয়ে না যায় তাই প্যাকেজ আলাদা করে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। প্যাকেজে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পকে বিশেষ সুবিধা দেয়া হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক যখন বিস্তারিত নীতিমালা প্রণয়ন করবে, অর্থ বিভাগ তার সঙ্গে কাজ করবে। সংশ্লিষ্ট শিল্পের যে সংগঠনগুলো আছে তাদের সঙ্গে আলাপ করে বিস্তারিত নীতিমালা প্রণয়ন করা হবে যাতে সুষ্ঠুভাবে প্যাকেজগুলো বাস্তবায়ন করা যায়।
সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবীর বক্তব্য দেন।


আরো সংবাদ



premium cement
নোয়াখালীতে ভূমিদস্যুর বিরুদ্ধে ঝাড়-মিছিল ব্রিটিশ তেলবাহী ট্যাংকারে হাউছিদের সরাসরি হামলা গাজা নিয়ে আলোচনার জন্য সৌদি আরব যাচ্ছেন তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মিরসরাই প্রেস ক্লাবের নতুন সভাপতি মিঠু, সম্পাদক মাঈন আইসিসির সিদ্ধান্ত ইসরাইলকে প্রভাবিত করবে না : নেতানিয়াহু শনিবার বন্ধই থাকছে প্রাথমিক বিদ্যালয় মে মাসে দেশে সর্বকালের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হতে পারে ডাসারে শিশু খেলতে গিয়ে পানিতে পড়ে নিখোঁজ সৈয়দ জিয়াউল হক মাইজভাণ্ডারী ট্রাস্টের শরবত বিতরণ কর্মসূচি ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের শতাধিক স্পটে জামায়াতের খাবার পানি ও স্যালাইন বিতরণ দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যিক বাধা দূর করতে সম্মত ভুটান ও বাংলাদেশ

সকল