২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`

সরকারি চাকরি আইনের ৪২ ধারার বিধান নিয়ে রুল

-

কোনো সরকারি কর্মচারী ফৌজদারি মামলায় এক বছরের বেশি মেয়াদের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হলে, উক্ত দণ্ড আরওপের রায় বা আদেশ দেয়ার তারিখ থেকে চাকরি হতে তাৎণিকভাবে বরখাস্ত— হবেন- সরকারি চাকরি আইন ২০১৮ এর এমন বিধান কেন অবৈধ হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। গতকাল বিচারপতি তারিক উল হাকিম ও বিচারপতি মো: ইকবাল কবিরের হাইকোর্ট বেঞ্চ জনস্বার্থে দায়ের করা এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে এ রুল জারি করেন।
চার সপ্তাহের মধ্যে মন্ত্রিপরিষদ সচিব, জাতীয় সংসদের স্পিকার, রাষ্ট্রপতি সচিবালয়ের সচিব, প্রধানমন্ত্রী সচিবালয়ের সচিব, জনপ্রশাসন সচিব, লেজিসলেটিভ সচিব, সংসদ সচিবালয়ের সচিবকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের পে গত ৯ ফেব্রুয়ারি এ রিট করা হয়।
আদালতে আবেদনের পে শুনানি করেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। পরে তিনি বলেন, আগের আইনে ছিল সাজা হলে চাকরি যাবে। এখন এক বছর করা হয়েছে। তার মানে এক বছরের কম সাজা হলে তার চাকরি যাবে না। আদালত অবমাননার আইনে বলা হয়েছে, ছয় মাস সাজা হলে চাকরি যাবে। এখন যদি এক বছরের সাজায় যদি চাকরি যাওয়ার আইন হয়, তাহলে আদালত অবমাননার সাজায় তো চাকরি যাবে না। শুনানির পর আদালত রুল জারি করেছেন।
সরকারি চাকরি আইন-২০১৮ এর ৪২ ধারায় এ বলা হয়েছে, ‘(১) কোনো সরকারি কর্মচারী ফৌজদারি মামলায় আদালত কর্তৃক মুত্যুদণ্ড বা ১ (এক) বৎসর মেয়াদের অধিক মেয়াদের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হইলে, উক্ত দণ্ড আরওপের রায় বা আদেশ প্রদানের তারিখ থেকে চাকরি হইতে তাৎণিকভাবে বরখাস্ত হইবেন।
(২) কোনো সরকারি কর্মচারী ফৌজদারি মামলায় আদালত কর্তৃক অনূর্ধ্ব ১ (এক) বৎসর মেয়াদের কোনো কারাদণ্ড বা অর্থদণ্ড বা উভয়দণ্ডে দণ্ডিত হইলে, নিয়োগকারী কর্তৃপ তাহাকে নি¤œবর্ণিত যে কোনো দণ্ড আরওপ করিতে পারিবে, যথা: (ক) তিরস্কার (খ) নির্দিষ্ট মেয়াদের জন্য পদোন্নতি বা বেতন বৃদ্ধি স্থগিতকরণ (গ) নি¤œপদ বা নি¤œতর বেতন স্কেলে অবনমিতকরণ; অথবা
(ঘ) কোনো আইন বা সরকারি আদেশ অমান্যকরণ অথবা কর্তব্যে ইচ্ছাকৃত অবহেলার কারণে সরকারি অর্থ বা সম্পত্তির তি সংঘটিত হইলে যথোপযুক্ত তিপূরণ আদায়।’


আরো সংবাদ



premium cement