০২ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১, ২২ শাওয়াল ১৪৪৫
`


৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে দেশবাসী ভোটাধিকারবঞ্চিত : বাম নেতারা

-

বাম রাজনৈতিক নেতারা বলেছেন, দুর্নীতি, লুটপাট, সাম্প্রদায়িকতাকে পরাজিত করে গণতন্ত্র ও শোষণমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে শহীদদের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করা হবে। এ জন্য আওয়ামী লীগ ও বিএনপি ধারার বাইরে বাম গণতান্ত্রিক প্রগতিশীলদের বিকল্প শক্তি সমাবেশ গড়ে তুলতে হবে। নেতারা হত্যাকারী ও এর নেপথ্যের ষড়যন্ত্রকারীদের বিচার না হওয়ার ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ক্ষমতায় যাওয়া ও ক্ষমতায় থাকার জন্য বিভিন্ন হত্যাকাণ্ডের বিচার হয়; কিন্তু ষড়যন্ত্রের রাজনীতি বন্ধের জন্য যেসব হত্যাকাণ্ডের বিচার হওয়া প্রয়োজন সেসব হত্যাকাণ্ডের বিচার করা হয় না। ২০ জানুয়ারি সিপিবির মহাসমাবেশে বোমা হামলা চালিয়ে হত্যাকাণ্ডের বিচার না হওয়ায় হত্যা ও ষড়যন্ত্রের রাজনীতি বন্ধ হয়নি। তারা বলেন, দেশবাসী ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে ভোটাধিকারবঞ্চিত হয়েছে। অন্য দিকে দ্রব্যমূল্য বেড়েই চলেছে।
২০ জানুয়ারি পল্টন ময়দানে সিপিবির মহাসমাবেশে বোমা হত্যাকাণ্ডের ১৮তম বার্ষিকীতে আয়োজিত সমাবেশে নেতারা এসব কথা বলেন। এ উপলক্ষে গতকাল সকালে শহীদদের স্মরণে সিপিবির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে নির্মিত অস্থায়ী বেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেনÑ সিপিবি সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, উপদেষ্টা মনজুরুল আহসান খান, সাধারণ সম্পাদক মো: শাহ আলম। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন শরিফুজ্জামান শরিফ। অস্থায়ী বেদিতে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), বাম গণতান্ত্রিক জোট, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ), বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, বাসদ (মার্কসবাদী), ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগ, গণসংহতি আন্দোলন, গণমুক্তি ইউনিয়ন, সাম্যবাদী দল, বাম ঐক্যফ্রন্ট, স্কপ, উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী, খেলাঘর আসর, কৃষক সমিতি, ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র, ক্ষেতমজুর সমিতি, যুব ইউনিয়ন, ছাত্র ইউনিয়ন, গার্মেন্ট টিইউসি, শ্রমজীবী ও শিল্পরক্ষা আন্দোলন, বাংলাদেশ হকার্স ইউনিয়ন, ছাত্রফ্রন্ট, ছাত্র ফেডারেশন, সিপিবি ঢাকা কমিটি, কেন্দ্রীয় কমিটির সংশ্লিষ্ট শাখা, কেন্দ্রীয় দফতর শাখা, একতা, নারী সেল, লেখনী কম্পিউটার্স এবং ঢাকা নগরের বিভিন্ন শাখাসহ শতাধিক সংগঠনের পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।
এ সময় নেতারা বলেন, এই হত্যাকাণ্ডের বিচার দীর্ঘসূত্রতায় ফেলে দেয়া হয়েছে। বিচারের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তা সংবাদপত্রে মিথ্যা তথ্য দিয়েছেন যে, সাক্ষীরা নিয়মিত সাক্ষ্য দেন না। কিন্তু সিপিবির সাক্ষীরা নিয়মিতই সাক্ষ্য দিয়ে আসছেন। এ রকম মিথ্যা তথ্য প্রদানকারী কর্মকর্তার দায়িত্বে মামলা থাকলে এ মামলার নিষ্পত্তি অনিশ্চিত হয়ে যাবে। এই ধারা চলতে থাকলে রাজনীতিতে সুষ্ঠু ধারা ব্যাহত হবে, আর ষড়যন্ত্রকারীরা তাদের ষড়যন্ত্র অব্যাহত রাখবে। নেতারা আরো বলেন, চালসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধি হয়; কিন্তু শ্রমিকের শ্রমের মূল্য ও কৃষকের ধানের মূল্যবৃদ্ধি পায় না। মেহনতি মানুষের শ্রমের মূল্য লুটকারীদের রক্ষা করছে সরকার। এই সরকার জনগণ চায় না। শ্রমিক-কৃষক মেহনতি মানুষের স্বার্থরক্ষাকারী পার্টি যাতে মাথা উঁচু করে না দাঁড়াতে পারে সে জন্য ২০০১ সালে সিপিবির মহাসমাবেশে বোমা মেরে হত্যাকাণ্ড চালানো হয়েছিল। কিন্তু সেই ষড়যন্ত্রকারীরা পরাজিত হয়েছে। আজ বাম প্রগতিশীলরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে জনস্বার্থের সংগ্রাম এগিয়ে নিচ্ছে। সচেতন মানুষকে এই ধারায় সংগঠিত হতে হবে।


আরো সংবাদ



premium cement