তীব্র গরমে আন্তর্জাতিক বেনাপোল ইমিগ্রেশন-কাস্টমস দিয়ে ভোগান্তি নিয়ে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে যাতায়াত করতে হচ্ছে পাসপোর্টধারী ভ্রমণে পর্যটকরা। আগমন এবং বহির্গমন পাশে দেয়ালের সাথে লাইন ধরে লাগানো আছে কয়েকটি এসি| ঠিক নেই তার একটিও। গত দুই সপ্তাহের তীব্র গরমে যাত্রীদের ভোগান্তি বাড়িয়েছে কয়েকগুণ।
বৃহস্পতিবার সকালে সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন-কাস্টমসে দেয়ালের সাথে লাইন দিয়ে লাগানো আছে কয়েকটি এসি। দীর্ঘদিন ধরে তার একটিও কাজ করে না। পাসপোর্টধারী পর্যটকরা রীতিমতো ভিসা ফি, ভ্রমণ ফি এবং প্যাসেঞ্জার টার্মিনালের ফি দিয়ে ভ্রমণ করছে। সেবা পাচ্ছে না কানা কড়িও। বেশি কষ্ট পাচ্ছে বৃদ্ধ এবং শিশুরা। লাইনে দাঁড়িয়ে পাসপোর্টের কার্যক্রম সম্পন্ন করতে তারা ঘেমে ভিজে যাচ্ছে। এসব দেখার কেউ নেই।
সাধারণ যাত্রীদের অভিযোগ, সরকারের বিভিন্ন ফি দিয়ে তারা ভারতে যান। এদের মধ্যে কেউ যাচ্ছে বেড়াতে, কেউ চিকিৎসা নিতে, কেউ বা যাচ্ছে ব্যবসার কাজে। আবার কারোর গন্তব্য আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে। বেশিভাগই তারা তাদের পরিবার পরিজন নিয়ে যাচ্ছেন। চলমান তীব্র এই গরমে ইমিগ্রেশন-কাস্টমসে পাসপোর্টধারী পর্যটকদের পাসপোর্টের কার্যক্রম সম্পন্ন করতে সীমাহীন দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন তারা। দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকাতে বৃদ্ধ ও শিশুরা সবচেয়ে বেশি কষ্টের শিকার হচ্ছে। লাইনে সাজানো আছে এসি কিন্ত তার একটিও চলে না। ঘেমে ভিজে অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন।
ফরিদপুর থেকে ভারত ভ্রমণে আসা আব্দুর রহমানের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, ‘ট্রেনে করে বেনাপোল আসতে কয়েকঘণ্টা সময় লেগেছে। সেখানেও ছিল অসহনীয় গরম। তারপর ভ্রমণ ফি ও প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল চার্জ দিয়ে লাইনে ইমিগ্রেশন-কাস্টমসে আসি। এখানেও সীমাহীন গরম। ইমিগ্রেশন-কাস্টমসের দেয়ালে এসি থাকলেও এর একটিও কাজ করে না। তাহলে এতো টাকা খরচ করে সেবাটা কী পাচ্ছি?’
ঢাকার যাত্রী ইমরান হোসেন বলেন, ‘নিজের শিশু বাচ্চাকে ডাক্তার দেখানোর জন্য অতি জরুরিভাবে ভারতে যাচ্ছি। বাইরে সর্বত্র তীব্র গরম। মনে করেছিলাম, অফিসের ভেতরে একটু এসির ঠান্ডা পাবো। কিন্তু এখানে আরো গরম। এসি থাকলেও চলে না এগুলো।’ কর্তৃপক্ষের এ দিকে, নজর দেয়া উচিত বলেও তিনি মনে করেন।
বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আযহারুল ইসলাম জানান, ‘বেনাপোল ইমিগ্রেশন-কাস্টমসে লাগানো সবগুলো এসিই নষ্ট। আমি যোগদানের পর থেকে দেখে আসছি এগুলো অকেজো। এসিগুলো নষ্ট থাকায় পাসপোর্টধারী পর্যটকরা ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। এগুলো দেখাশোনা করে থাকেন কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। উনারা আমার চেয়ে ভালো বলতে পারবেন দীর্ঘদিন যাবৎ নষ্ট থাকলেও কেন মেরামত করা হচ্ছে না। বিষয়টি কাস্টমস কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। জনস্বার্থে এসিগুলো মেরামত করা জরুরি।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা