সম্প্রতি প্রকাশিত একটি গবেষণাপত্র তুলকালাম ফেলে দিয়েছে বিশ্বজুড়ে। কিন্তু কেন? দিনের পর দিন ব্রেকফাস্ট না করলে শরীরের মারাত্মক ক্ষতি হয়, সে সম্পর্কে সবারই জানা ছিল; কিন্তু এই গবেষণায় এমন একটি তথ্য উঠে এসেছে যা বেজায় ভয়ঙ্কর। পরীক্ষাটি চলাকালে দেখা গেছে, বেশির ভাগ দিন সকালে কিছু না খেলে হার্টের ওপর মারাত্মক চাপ পড়ে। ফলে ধীরে ধীরে হার্টের শক্তি তথা কর্মক্ষমতা কমে যেতে শুরু করে। শুধু তা-ই নয়, এমনটা হওয়ার কারণে হঠাৎ করে হার্ট অ্যাটাকের আশঙ্কাও বৃদ্ধি পায়। তাই তো চিকিৎসকেরা ব্রেকফাস্টকে দিনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মিল হিসেবে বিবেচিত করেছেন।
ব্রেকফাস্ট না করার অভ্যাস থাকলে যে শুধু হার্টের কর্মক্ষমতা কমে যেতে শুরু করে, তা নয়। সেই সাথে আরো নানা ধরনের ক্ষতি হয়ে থাকে। যেমনÑ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বাড়ে : দীর্ঘ ছয় বছর ধরে হাওয়ার্ড ইউনিভার্সিটির করা এক গবেষণায় দেখা গেছে, যারা নিয়মিত ব্রেকফাস্ট করেন না, তাদের টাইপ-২ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বেশি থাকে।
এনার্জির ঘাটতি হয় : ১৪৪ জনের ওপর করা ব্রিটিশ গবেষকদের এক পরীক্ষায় দেখা গেছে, ঠিকমতো ব্রেকফাস্ট না করলে দিনের শুরুতেই শরীরে এনার্জি ঘাটতি এতটাই মারাত্মক পর্যায়ে পৌঁছে যায় যে, কাজ করার ইচ্ছাই থাকে না। শুধু তাই নয়, যথাযথ পুষ্টি না পাওয়ার কারণে ব্রেন পাওয়ারও কমতে শুরু করে, যার প্রভাবে স্মৃতিশক্তি কমে যায়।
চুল পড়া বেড়ে যায় : ব্রেকফাস্ট না করার অভ্যাস থাকলে শরীরে ক্যারেটিন নামে একটি উপাদানের মাত্রা কমতে শুরু করে, যার প্রভাবে চুল পড়া খুব বেড়ে যায়।
হজম ক্ষমতা কমে যায় : ৮-৯ ঘণ্টা না খাওয়ার পর যদি ঠিকমতো ব্রেকফাস্ট না করা হয়, তাহলে হজম ক্ষমতার ওপর মারাত্মক চাপ পড়ে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই মেটাবলিজম রেট কমে যেতে শুরু করে। এমনটা হওয়া মাত্র বদ-হজম এবং নানাবিধ পেটের রোগের প্রকোপও চোখে পড়ার মতো বৃদ্ধি পায়। ইন্টারনেট।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা