দেশের বিত্তশালীরা ঠিকভাবে কর পরিশোধ করছেন কি নাÑ তা এনবিআর খতিয়ে দেখছে বলে জানিয়েছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া। তিনি বলেন, কমিশনারেট অফিসগুলোকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে বিষয়টি রিভিউ করার জন্য। মনিটরিং করে দেখা হবে, বিত্তশালীরা ঠিকমতো কর দিচ্ছেন কি না।
বিসিএস একাডেমিতে ছয় মাসব্যাপী বিভাগীয় বুনিয়াদি প্রশিণ কোর্সের গতকাল উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি। বিসিএস (কর) একাডেমির মহাপরিচালক মো: বজলুল কবির ভূঞার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন এনবিআরের চেয়ারম্যান। নতুন নিয়োগপ্রাপ্ত ৩৬তম বিসিএস (কর) ক্যাডারের ৩৯ জন সহকারী কর কমিশনারসহ মোট ৪২ জন সহকারী কর কমিশনার এ প্রশিণে অংশ নিচ্ছেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন এনবিআর সদস্য (কর প্রশাসন ও মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা) জিয়া উদ্দিন মাহমুদ এবং বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (ট্যাক্সেশন) অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও কর কমিশনার (কর অঞ্চল-০৮) মো: সেলিম আফজাল।
কর ফাঁকির দায়ে ধনীরা আরো ধনী হচ্ছে কি নাÑ এমন প্রশ্নের জবাবে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, দেশে ধনীরা যেসব সময় কর ফাঁকি দেয়, তা নয়। তারা কর দেন, দেশের উন্নয়নে অংশও নেন। তবে সবাই ঠিকমতো কর দিচ্ছেন কি না তাই দেখা হচ্ছে। মনিটরিং হচ্ছে। কমিশনারেট অফিসগুলোকে কর ফাঁকিবাজ চিহ্নিত করতেও বলা হয়েছে।
বিসিএস (কর) একাডেমির মহাপরিচালক মো: বজলুল কবির ভূঞার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান বলেন, আমাদের জিডিপির চেয়ে কর রেশিও কম। এ জন্য করদাতার সংখ্যা বাড়াতে হবে। তবে জোর জবরদস্তি নয়। সবার সাথে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমেই কাজ করতে হবে।
নতুন নিয়োগপ্রাপ্ত সহকারী কর কমিশনারদের উদ্দেশে তিনি বলেন, তোমরা নিজেরা ইটিআইএন করো। পাশাপাশি অন্যদেরও আশ্বস্ত করো ইটিআইএন করার বিষয়ে। তোমরা যদি প্রতিজনে ১০ জন করে আয়কর দাতা দিতে পারো তাহলে ৪০ জনকে দিয়ে ৪০০ জন আয়কর দাতা তৈরি হবে।
এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, করদাতা বাড়ানো গৌরবের কাজ। এখানে যারা যোগ দিয়েছেন, প্রথমে আগামী এক বছরে সবাই ইটিআইএন করে আয়কর ও রিটার্ন জমা দিয়ে দেবেন। এ ছাড়াও আত্মীয়স্বজনসহ পরিচিত অপরিচিত সবাইকে কর দিতে উদ্বুদ্ধ করবেন।
মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া বলেন, শহরে নতুন নতুন বাড়িওয়ালার পাশাপাশি গ্রামাঞ্চলেও করের পরিধি বাড়াতে হবে। এ জন্য অনেককে গ্রামে পোস্টিং দেয়া হয়েছে। এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, আপনারা প্রথমে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও চেয়ারম্যান প্রার্থী এবং মেম্বারসহ এলাকায় বিত্তশালীদের চিহ্নিত করে আয়কর রিটার্নের আওতায় আনবেন। কারণ ২০১৮-১৯ অর্থবছরের আয়ের ল্যমাত্রা পূরণে রাজস্ব আহরণ খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা