১৭ মে ২০২৪, ০৩ জৈষ্ঠ ১৪৩১, ০৮ জিলকদ ১৪৪৫
`


উপজেলা নির্বাচন নিয়ে ইসি আলমগীর

মন্ত্রী-এমপিরা নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার করবেন না

-

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপিদের অবৈধ প্রভাববিস্তার না করার জন্য সতর্ক করে নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো: আলমগীর বলেছেন, রাজনৈতিক দলের মন্ত্রী-এমপি যেই হোক না কেন, অবৈধ প্রেশার দিলে তা আমলে না নেয়ার জন্য মাঠ কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। সব প্রার্থী আমাদের কাছে সমান। কে কার আত্মীয়, মন্ত্রী-এমপিদের কোনো প্রার্থী থাকলে তা আইনে নিষেধাজ্ঞা নেই। রাজধানীর আগারগাঁওস্থ নির্বাচন ভবনে নিজ দফতরে গতকাল সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তিনি।
মো: আলমগীর বলেন, প্রার্থী যেই হোক না কেন, সব প্রার্থীর প্রতি সমান আচরণ করতে হবে। আর কোনো প্রার্থী যদি আচরণবিধি না মানেন বা অবৈধ প্রভাব বিস্তার করেন তাহলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। কমিশন এরই মধ্যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, সংসদ সচিবালয়ের সচিবকে একটি পত্র দেবেন ইসি সচিব। স্পিকারের দৃষ্টিতে আনবেন, আমরা কী ধরনের নির্বাচন চাই। চিঠিও সম্ভবত চলে গেছে। বার্তাটা হলো মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়স্বজন প্রার্থী থাকতে পারে, কিন্তু কোনো অবৈধ প্রভাব বিস্তার করতে পারবেন না।
মাঠ ঘুরে এসে ভোটের পরিস্থিতি নিয়ে মো: আলমগীর বলেন, নির্বাচনের পরিবেশ ভালো ও উৎসবমুখর। আইনশৃঙ্খলায় কোনো থ্রেড বা সমস্যা নেই। গোয়েন্দা রিপোর্টেও কোনো থ্রেড নেই। যেহেতু কয়েক ধাপে ভোট হচ্ছে, তাই ফোর্স বেশি দেয়া সম্ভব হবে। জাতীয় নির্বাচনের চেয়ে প্রতিটি ক্ষেত্রে বেশি ফোর্স মোতায়েন করা হবে। এ ছাড়া জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে ক্ষমতা দেয়াই থাকে, প্রয়োজন হলে তিনি অতিরিক্ত ফোর্স মোতায়েন করতে পারবেন।

তিনি বলেন, প্রিজাইডিং কর্মকর্তার বিরুদ্ধে যদি কোনো অভিযোগ আসে এটা প্রমাণের প্রয়োজন নেই। যে কোনো প্রার্থী যদি বলে উনি অমুকের আত্মীয় বা ওই পক্ষের হয়ে কাজ করেছেন, তাহলে প্রমাণ ছাড়াই নিয়োগ বাতিল করা হবে। শুধু শুধু কারো প্রতি অভিযোগ আসবে না। এ ক্ষেত্রে আমাদের প্যানেল থেকে অন্য একজনকে নিয়োগ দেবে। প্যানেলে যোগ্য লোক না পেলে প্রয়োজনে পাশের জেলা বা উপজেলা থেকে প্রিজাইডিং অফিসার নিয়োগ দেয়া হবে। এটা ট্রেনিং শুরু হওয়ার আগেই করতে হবে। আমাদের প্রিজাইডিং অফিসারের অভাব নেই। তবে কোনো প্রার্থী তালিকা দিলে সেটাও নেয়া যাবে না। পক্ষপাতমূলক আচরণ করলে রিটার্নিং কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনলে প্রমাণ দিতে হবে। যেহেতু রিটার্নিং অফিসার আমাদের অত বেশি নেই। এক প্রশ্নের জবাবে মো: আলমগীর বলেন, হয়েছে। তারা কোনো চাপ পাচ্ছেন না। তাদের বলা হয়েছে, প্রেসার দিলে সে যেই হোক না কেন, তা আমলে নেয়ার কোনো প্রয়োজন নেই।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কোনো প্রার্থী নির্বাচনে থাকবে কি থাকবে না তা সংশ্লিষ্ট রাজনৈতিক দলের বিষয়। নির্বাচন কমিশন যেটা দেখবে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি প্রার্থী হওয়ার যোগ্য কি না। অনেক প্রার্থী, এমনকি অনেক দল অংশ না নিলেও স্থানীয়ভাবে সেসব দলের প্রার্থী অংশ নিচ্ছেন।

 


আরো সংবাদ



premium cement
মাতারবাড়ী বিদ্যুৎ প্রকল্পে ৫২ হাজার কোটি টাকা খরচ হচ্ছে কেন? মেজর জেনারেল সৈয়দ তারেক হোসেন কুয়েতে বাংলাদেশের নতুন রাষ্ট্রদূত রাফা অভিযান : ইসরাইলকে সতর্কবার্তা ১৩ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ‘অজানা ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের’ পরীক্ষা চালিয়েছে উত্তর কোরিয়া চুয়াডাঙ্গার তাপমাত্র আবা‌রো ৪০ ডিগ্রি ছুঁই ছুঁই নির্বাচনের পরেও সে কথাই বলেছে যুক্তরাষ্ট্র : ড. মঈন খান ভালুকায় বাস-অটোরিকশা সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ৫ সর্বোচ্চ আয় করা খেলোয়াড় রোনালদো, মেসির অবস্থান কোথায়? ৩৬ বছর শিক্ষকতার পর রাজকীয় বিদায় ‘দুর্নীতি ও লুটপাটের কারণে দেশের অর্থনৈতিক মেরুদণ্ড ভেঙে পড়েছে’ দুর্ঘটনায় ১৬ জন নিহত হওয়া মুম্বাইয়ের সেই বিলবোর্ডের মালিক গ্রেফতার

সকল