২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`

কুষ্টিয়াতে গড়াই নদীর ভাঙন, ভেসে যাওযার আশঙ্কা স্কুল, মসজিদ ও কয়েক শ’ পরিবারের

- ছবি : সংগৃহীত

পদ্মার প্রধান শাখা গড়াই নদীর পানি বৃদ্ধি ও কমার সাথে সাথে প্রতি বছর অব্যহত ভাঙনের কবলে পড়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছে কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলায় কয়েকটি গ্রামের কয়েক শ’ পরিবার।
শেষ আশ্রয়টুকু হারানো সর্বশান্ত পরিবারগুলো জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নদী তীরবর্তী এলাকায় বসবাস করছেন, আবার অনেকে আশ্রয় নিয়েছেন অন্যের বাড়ি।

গত দেড় মাস থেকে পানি কমার সাথে সাথে গড়াই নদীর ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করেছে। নদী ভাঙনে কুমারখালী উপজেলার নন্দলালপুর ইউনিয়নের রেল ও সড়ক সেতুর ভাটি এলাকার কাশিমপুর, বড়–রিয়া, হাবাসপুর, এলঙ্গীপাড়া, সদকী ইউনিয়নের চর আগ্রাকুণ্ডা, পাথরবাড়িয়াসহ বেশকিছু এলাকায় ভাঙন দেখা দিয়েছে।

কাশিমপুর গ্রামের নয়ন মোল্লা বলেন, গড়াই নদীর পানি বৃদ্ধি ও কমার সাথে সাথে নদী ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করে। ইতোমধ্যে বাগানসহ বেশকিছু বসতভিটা নদী গর্ভে বিলিন হয়ে গেছে। হুমকির মধ্যে রয়েছে শতাধিক ঘর-বাড়ি। নদীর ভাঙন রোধে সরকারের পক্ষ থেকে কোনো প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। এদিকে এলঙ্গি গ্রাম রক্ষা বাঁধে নতুন করে ভাঙন দেখা দিয়েছে, ধ্বসে যাচ্ছে পাড়, বাড়ছে আতঙ্ক।

নন্দলালপুরের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম বলেন, প্রাচীনকালের কুমারখালী-কাশিমপুর সড়ক অনেক আগেই গড়াই নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। তিনি ভাঙন রোধ কল্পে শিগগিরই ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান।

নদী ভাঙনের সর্বস্ব হারানো চর আগ্রাকুণ্ডা গ্রামের চাঁদ আলী বলেন, গত কয়েক বছরের ভাঙনে তার সব কিছুই নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। নিজের ভিটেমাটি হারিয়ে সরকারি জায়গায় মাথা গোজার একটু যে আশ্রয়টুকু ছিল এবারের ভাঙনে সেটাও চলে গেল।

একই এলাকার রেবেকা বলেন, নদী ভাঙনে আতঙ্কের মধ্যে রয়েছি। ছেলে মেয়ে নিয়ে নির্ঘুম রাত পার করছি। সব সময় আতঙ্কের মধ্যে থাকেন তিনি, কখন যেন তার শেষ আশ্রয়টুকু নদী গর্ভে বিলিন হয়ে যায় এ আশঙ্কা সব সময়।

এ ব্যাপারে কুমারখালীর নন্দলালপুর ইউপি চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান খোকন বলেন, নদী ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন শেষে ভাঙন রোধে শিগগিরই ব্যবস্থা নেয়ার জন্য সংশিষ্ট দফতরে জানানো হয়েছে।

তিনি আরো জানান, কাশিমপুর মসজিদ, এলঙ্গি প্রাথমিক বিদ্যালয়, হাবাসপুর এলাকার কাফির মোল্লা, কাশেম মাঝি, তক্কেল হোসেনের বাড়ি চরম হুমকির মধ্যে রয়েছে। যে কোনো সময় গড়াই গর্ভে বিলীন হতে পারে তাদের শেষ আশ্রয়টুকু।

কুষ্টিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকৌশলী আব্দুল হামিদ ভাঙনের ব্যাপারে জানান, বিষয়টি আমাকে অবগত করা হয়েছে। এলাকা পরিদর্শন শেষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


আরো সংবাদ



premium cement