০৭ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`


করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে ‘হার্ড ইমিউনিটি’ কতটুকু কাজ করছে?

করোনার সংক্রমণ রোধে ‘হার্ড ইমিউনিটি’র কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। - ছবি : রয়টার্স

করোনাভাইরাস মহামারি ঠেকানোর অন্যতম কৌশল হিসেবে ‘হার্ড ইমিউনিটি’র ওপর যে জোর দেয়া হচ্ছিল, নতুন এক স্প্যানিশ গবেষণার কারণে এখন তা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।

মেডিকেল জার্নাল ল্যানসেটে প্রকাশিত ওই গবেষণা বলছে, জরিপে অংশ নেয়া স্পেনের ৬০ হাজারের বেশি মানুষের মধ্যে মাত্র পাঁচ শতাংশ মানুষের শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে।

যথেষ্ট সংখ্যক মানুষ কোন একটি ভাইরাসে আক্রান্ত হলে, তখন এর সংক্রমণ ঠেকানো যাবে, আর তখনি ‘হার্ড ইমিউনিটি’ অর্জন হবে।

এজন্য যারা সংক্রমিত হননি তাদের রক্ষায় সংশ্লিষ্ট এলাকার ৭০-৯০ শতাংশ মানুষের আক্রান্ত হতে হবে।

রিপোর্টে বলা হয়েছে, কোভিড-১৯ অ্যান্টিবডির হার স্পেনের উপকূলীয় এলাকাগুলোতে তিন শতাংশের নিচে, কিন্তু দেশটির যেসব এলাকায় সংক্রমণের হার বেশি অ্যান্টিবডি তৈরি হবার হারও সেখানে বেশি।

গবেষণা দলের একজন সদস্য বলছেন, “যদিও স্পেনে কোভিড-১৯ সংক্রমণের হার অনেক বেশি, কিন্তু বিস্তারের ব্যাপকতা বেশ কম, মানে ‘হার্ড ইমিউনিটি’ তৈরির জন্য পর্যাপ্ত নয়।”

তিনি বলছেন, ‘এ পরিস্থিতিতে সামাজিক দূরত্ব মেনে চলা, এবং রোগ শনাক্ত করে আক্রান্ত ব্যক্তি ও তাদের সংস্পর্শে যারা এসেছিলেন তাদের বাধ্যতামূলকভাবে আইসোলেট করার মাধ্যমেই সামনের দিনে মহামারি নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।’

ইউরোপে করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যে এটিই সবচেয়ে বড় জরিপ বলে ধারণা করা হয়।

ল্যানসেট সাময়িকীর ওই গবেষণায় আরো উল্লেখ করা হয়েছে, প্রায় একই ধরণের গবেষণা চীন এবং যুক্তরাষ্ট্রেও হয়েছে।

এতে দেখা গেছে, বেশিরভাগ মানুষ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হননি ‘এমনকি যেখানে সংক্রমণের হার ব্যাপক সেসব এলাকাতেও নয়’।

স্পেনের সর্বশেষ পরিস্থিতি কী?
স্পেনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাব অনুযায়ী দেশটিতে এ পর্যন্ত আড়াই লাখের বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন এবং ২৮ হাজার ৩৮৫ জন মানুষ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন।

কিন্তু গত তিন সপ্তাহে দৈনিক মৃত্যুর হার এক সংখ্যায় নেমে এসেছে।

জুনের তৃতীয় সপ্তাহে দেশটির সরকার জরুরি অবস্থা তুলে নেয় এবং বেশিরভাগ ইউরোপীয় দেশের জন্য সীমান্ত খুলে দেয়।

আর ব্রিটিশ পর্যটকেরা দেশটিতে এলে কোয়ারেন্টাইন না করেই ভ্রমণ করতে পারবেন এমন সুযোগ দেয়া হয়।

তিন মাসের বেশি সময় ধরে দেশটিতে ইউরোপের অন্যতম কঠোর লকডাউন চলেছে।

তবে দেশটির উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে গালিসিয়া রাজ্যে নতুন করে মহামারি শুরু হওয়ায় কর্মকর্তারা সেখানকার ৭০ হাজার মানুষের ওপর নতুন করে বিধিনিষেধ আরোপ করেছেন।

কর্মকর্তারা ধারণা করছেন, সেখানকার পানশালাগুলো থেকে নতুন করে সংক্রমণ ছড়িয়েছে।

স্পেনে এখনকার নিয়ম অনুযায়ী, পানশালা ও রেস্তোরাঁতে ৫০ শতাংশের বেশি মানুষ যেতে পারবেন না।

গালিসিয়াতে নতুন করে ২৫৮জন কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়েছেন, এর মধ্যে লুগো প্রদেশে রয়েছেন ১১৭ জন।

কাতালোনিয়ায় নতুন করে সংক্রমণের হার বেড়ে যাওয়ায়, শনিবার সেখানকার স্বায়ত্তশাসিত সরকার নতুন করে কড়াকড়ি আরোপ করেছে।

কাতালান প্রেসিডেন্ট কুইম তোরা বলেছেন, বার্সেলোনার পশ্চিমের জেলা সেগ্রিয়া থেকে কেউ বের হতে পারবেন না, কিংবা সেখানে কেউ নতুন প্রবেশও করতে পারবেন না।

সূত্র : বিবিসি


আরো সংবাদ



premium cement
‘পাকিস্তানে ৯ মের সহিংসতায় দায়বদ্ধতার স্থান থেকে তিন জ্যেষ্ঠ সেনা কর্মকর্তা বরখাস্ত করা হয়েছে’ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপের ভোট গ্রহণ বুধবার গাজা-ইসরাইল ক্রসিংয়ে ইসরাইলি বাহিনীর উপর হামাসের হামলা তরুণ্যেই অর্ধশতাধিক ইসলামী সঙ্গীতের রচয়িতা সরকারের কাছে ধান বিক্রি করতে কৃষকদের যত ভোগান্তি ইসরাইলের রাফা অভিযান : জার্মানির কড়া প্রতিক্রিয়া চট্টগ্রামে সড়ক নিরাপত্তা নিশ্চিতে একসাথে কাজ করবে সিএমপি ও চসিক রাফায় ইসরাইলি অভিযানে ‘আমি বিরক্ত ও ব্যথিত’ : জাতিসঙ্ঘ প্রধান ৩ দিনের সফরে চট্টগ্রাম বন্দরে তুরস্ক নৌবাহিনীর জাহাজ আশুলিয়ায় ৫ টাকার উন্মুক্ত কবরস্থান উদ্বোধন গাবতলী বাস টার্মিনাল হবে মাল্টিমোডাল স্টেশন

সকল