২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫
`

ঘরোয়া লিগে ক্লাব পাচ্ছেন না সাবিনা-সানজিদারা

ঘরোয়া লিগে ক্লাব পাচ্ছেন না সাবিনা-সানজিদারা - সংগৃহীত

এবারের ভারতীয় মহিলা ফুটবল লিগে খেলছেন বাংলাদেশের দুই ফুটবলার সাবিনা খাতুন এবং সানজিদা আক্তার। ইস্টবেঙ্গলের হয়ে খেলছেন সানজিদা এবং কর্নাটকের কিক স্টার্টের হয়ে কয়েক ম্যাচ খেলে এখন ঢাকায় সাবিনা। ভারতের লিগে তাদের খেলতে যাওয়া নিয়ে চলছে অনেক আলোচনা। তবে কেউই দলের জয়ে অবদান রাখতে পারেননি।

তারা দু’জনই বাংলাদেশ জাতীয় দলের গুরুত্বপূর্ণ ফুটবলার। গত তিন বছর ধরেই তারা ছিলেন চ্যাম্পিয়ন বসুন্ধরা কিংসের খেলোয়াড়। অথচ এবার সাবিনা, সানজিদার সাথে মাছুরা, রুপনা, মনিকা, মারিয়া, তহুরা কেউই ঘরোয়া লিগে কোনো ক্লাব পাচ্ছেন না। কারণ বসুন্ধরা কিংস এবারের মহিলা লিগে অংশই নিচ্ছে না, লাইসেন্সের জন্যও আবেদন করেনি। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনে (বাফুফে) অলিখিতভাবে অপেক্ষা করা হলেও আর মহিলা ফুটবলে দল গড়তে রাজি হয়নি বসুন্ধরা। ফল স্বরূপ জাতীয় দলের এই তারকা ফুটবলারদের এবারের মহিলা লিগে দর্শক হিসেবেই থাকতে হচ্ছে।

জানা গেছে, এবার এই ফুটবলাররা অত্যধিক পারিশ্রমিক দাবি করেন ক্লাব কর্তৃপক্ষের কাছে। এতে ক্ষুদ্ধ বসুন্ধরা কিংস কর্তৃপক্ষ আর মহিলা ফুটবল লিগে দলই গড়েনি। আবার লিগে যে বাকি দলগুলো খেলছে তারাও তেমন কোনো পারিশ্রমিক দিতে চাচ্ছে না।

লিগের রানার্সআপ দল আতাউর রহমান ভূঁইয়া মানিক কলেজ। তারা তাদের চুক্তিভুক্ত ফুটবলারদের নিয়েই খেলবে লিগ। অনূর্ধ্ব-১৯ দলের অধিনায়ক আফেইদা খন্দকার প্রান্তি, জাতীয় দলের শাহেদা আক্তার রিপা, সোহাগী কিসকু, কোহাতি কিসকু, সুরমা জান্নাত, গত লিগের সর্বোচ্চ গোলদাতা হওয়া আকলিমা খাতুন, স্বপ্না রানী, সাথী বিশ্বাস, অনূর্ধ্ব-১৯ দলের গোলরক্ষক স্বর্না রানী, হালিমা, রুপাসহ অনেক ফুটবলারই তাদের সাথে চুক্তিবদ্ধ। তাদের প্রতিমাসে ১০ হাজার করে টাকা দেয় আতাউর রহমান ভূঁইয়া ক্লাব। এককালীন এক লাখ টাকা আগেই দিয়েছে। এর বাইরে অনূর্ধ্ব-১৯ মুনকিসহ আরো কিছু ফুটবলারকে নিয়েছে তারা। ফলে তাদের আগ্রহ নেই সাবিনা-রুপনাদের প্রতি।

দ্বিতীয় দফা শুরু হওয়া লিগের রানার্সআপ দল নাসরিন স্পোর্টস অ্যাকাডেমি। ক্লাবটির সেক্রেটারি নাসরিন আক্তার বেবী জানান, ‘আমাদের পক্ষে সাবিনাদের নেয়া সম্ভব নয়। ওদের চাহিদা অনেক। আমরা গত বছর সর্বোচ্চ ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকা দিয়েছিলাম একেক ফুটবলারকে। কারো কারো টাকা ছিল ৪০ হাজার টাকা।’

সাবিনা-সানজিদাদের শেষ ভরসা হতে পারে বাংলাদেশ আর্মি স্পোর্টস ক্লাব লিমিটেড। তবে তারা জাতীয় দলের এই খেলোয়াড়দের নেবে কিনা তা নিশ্চিত নয়। এই বিষয়ে কোনো কথাই বলতে চাননি কোচ গোলাম রাব্বানী ছোটন। দলটি অবশ্য জাতীয় দলে খেলা, মাহফুজা, নোশন জাহান, বৃষ্টি, সুলতানা, উন্নতি, মেহেরদের নিয়েছে। সাথে আছে গোলরক্ষক মিলি, ফারজানা ও ওয়ামা মারমারা। এদের দলে নেয়া গত লিগের পারফরম্যান্স দেখে। এই দল নিয়েই ভালো করার লক্ষ্য ছোটনের।


আরো সংবাদ



premium cement