সন্দেহ মৃত্যুর পরপরই উঠেছিল। তবে পোস্টমর্টেমে এসেছিল হার্ট অ্যাটাকই। ঘুমের ঘোরেই মারা গিয়েছেন দিয়েগো ম্যারাডোনা। শুক্রবার বাবা-মায়ের পাশেই শায়িত হয়েছে আর্জেন্টাইন ফুটবল কিংবদন্তী। কিন্তু তারপরও নানা দিক বিবেচনায় ম্যারাডোনার মৃত্যুর তদন্ত শুরু করেছে আর্জেন্টিনার বিচার বিভাগ।
সন্দেহের তীর ব্যক্তিগত চিকিৎসকের দিকে। আবার যে হাসপাতালে নেয়ার নেয়ার ডাক্তার মৃত ঘোষণা করেন সেই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষর অবহেলা আছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হবে।
রোববার প্রসিকিউটর অফিসের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বুয়েনস আইরেসের সান ইসিদ্রোর প্রসিকিউটররা এই অনুসন্ধানের অনুরোধ করেন এবং তাতে স্থানীয় বিচারকের স্বাক্ষর রয়েছে। বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, তদন্তের জন্য শনিবার ম্যারাডোনার নিকট স্বজনসহ অন্যদের বক্তব্য গ্রহণ করা হয়। এর ভিত্তিতেই চিকিৎসক লিওপোলদো লুকের বাসা ও ক্লিনিকে অনুসন্ধান চালানো হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে আর্জেন্টিনার কিছু গণমাধ্যমে প্রকাশ করেছে, চিকিৎসকের সঙ্গে ম্যারাডোনার একটা লড়াই হয়েছিল যা শারীরিক ধাক্কাধাক্কির পর্যায়েও যায়। তবে কিছু গণমাধ্যম অবশ্য জানায়, ফাঁস হওয়া একটি অডিও ক্লিপে শোনা গেছে চিকিৎসক লুক ম্যারাডোনার জন্য অ্যাম্বুলেন্স ডাকছেন।
মস্তিষ্কের অস্ত্রোপচারের কারণে হাসপাতালে থাকা ম্যারাডোনাকে গত গত ১১ নভেম্বর বাসায় যাওয়ার অনুমতি দেন লুক। এরপর ইনস্টাগ্রামে তার বিখ্যাত রোগীর সঙ্গে সেলফিও পোস্ট করেছিলেন তিনি। যেখানে ম্যরাডোনাকে দেখা যায় মাথায় ব্যান্ডেজরত অবস্থায়।
অন্যদিকে ম্যারাডোনার আইনজীবী মাতিয়াস মোরিয়া বৃহস্পতিবার বলেছিলেন, ম্যারাডোনার মৃত্যুর পূর্ণ তদন্তের জন্য বলবেন তিনি। তার দাবি, জরুরি সেবা দিতে বিলম্ব করা হয়েছিল। এ নিয়ে তিনি টুইটও করেছিলেন, ‘অ্যাম্বুলেন্স আসতে আধা ঘণ্টারও বেশি সময় লেগেছে, যা একটি অপরাধমূলক বোকামি।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা