গেল ফেডারেশন কাপের ফাইনাল ম্যাচে খেলা বসুন্ধরা কিংস রহমতগঞ্জ মুসলিম ফ্রেন্ডস সোসাইটিকে প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচে ২-১ গোলে হারিয়ছে।
আজকের ম্যাচটি হারের প্রতিশোধ নেয়ার সুযোগ ছিল রহমতগঞ্জ মুসলিম ফ্রেন্ডস সোসাইটির। লিগে এখনও জয় শূন্য পুরান ঢাকার দলটির। কাল তাই ফরমেশনে পরিবর্তন আনলেন কোচ জিলানী। এতো দিন তারা ৪-৩-৩ তে খেললেও কাল বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে দলকে ৪-৪-২ ফরমেশনে খেলান তিনি।
এতে তাদের আক্রমণে গতি বাড়লেও জয় আসেনি। সাথে এই মওসুমের প্রথম আসরের হারের প্রতিশোধও নেয়া হলো না। উল্টো তাদের হারিয়ে শীর্ষ স্থান ধরে রাখলো বসুন্ধরা কিংস। স্কোর লাইন ফেডারেশন কাপের ফাইনালের মতোই ২-১। এই ম্যাচে দুই দলের তিন গোলদাতাই বিদেশী।
বসুন্ধরার তৃতীয় এই জয় কোস্টারিকার কলিনড্রেস এবং কিরগিজস্থানের বখতিয়ারের সমন্বয়ে। চার খেলায় তাদের পয়েন্ট ১০। সাইফ স্পোর্টিংয়ের পয়েন্টও তাই। অন্য দিকে রহমতগঞ্জ চার ম্যাচে নামের পাশে জমা করেছে মাত্র এক পয়েন্ট।
ম্যাচের চার মিনিটই লিড নেয় বসুন্ধরা কিংস। ইব্রাহিমের ক্যাটব্যাক থেকে বল পান রাশিয়া বিশ্বকাপের খেলা বসুন্ধরার কোস্টারিকান ফুটবলার ড্যানিয়েল কলিনড্রেস। এরপর ডান পায়ের শটে বল জালে পাঠান এই মধ্য আমেরিকান।
ম্যাচে সমতায় ফিরতে ৩৮ মিনিট পর্যন্ত সময় নেয় সৈয়দ গোলাম জিলানীর দল। মাহমুদুল হাসান কিরনের শট হাত ফসকে বেরিয়ে যায় বসুন্ধরা কিংসের গোলরক্ষক আনিসুর রহমান জিকোর। সামনে থাকা উজবেকিস্তানের স্ট্রাইকার তুরায়েভ আকরিব তা জালে পাঠান।
অবশ্য বসুন্ধরা পুনরায় লিড নিতে বেশীক্ষন সময় নেয়নি। ৪৪ মিনিটেই তাদের দ্বিতীয় গোল। ইনজুরি কাটিয়ে ফেলা বিপলু আহমেদের থ্রু পাস থেকে বল পেয়ে এক ডিফেন্ডারকে কাটান কিরগিজ মিডফিল্ডার বখতিয়ার দুলশেবেকভ। এরপর আনুষ্ঠানিকতা সারেন ডান পায়ের তীব্র শটে। প্রথম পোস্টে গোলরক্ষক রাসেল মাহমুদ লিটনকে পরাস্ত করেন।
বিরতির পর অবশ্য আর কোনো গোল হয়নি। তবে ৮৫ মিনিটে সমতার সুযোগ পায় রহমতগঞ্জ। সাজিদুর রহমানের শট প্রথমে রুখে দেন গোলরক্ষক জিকো। ফিরতি বলে আকবিরের শট গোল লাইন থেকে প্রতিহত করেন বখতিয়ার।
ম্যাচ শেষে রহমতগঞ্জের কোচ জিলানী জানান, ‘আগের ম্যাচের তুলনায় এই ম্যাচে আমাদের খেলা ভালো হয়েছে। তবে পয়েন্ট না পাওয়ায় হতাশ। আমাদের বড় দলের বিপক্ষে ম্যাচ শেষ। এখন বাকী দলেগুলোর বিপক্ষে জয়ের জন্যই মাঠে নামবো।’
বসুন্ধরার কোচ অস্কার ব্রুজনের মতে, শুরুতে গোল পাওয়ার পরও প্রতিপক্ষ সমতা আনে। তবে বিরতির আগে ফের লিড পাওয়ায় সুবিধা হয়েছে। দ্বিতীয়ার্ধে আমাদের রক্ষণভাগ কোনো সুবিধাই দেয়নি বিপক্ষের আক্রমণভাগকে। রহমতগঞ্জ লং বলে খেললেও তা আমাদের রক্ষণভাগের দৃঢ়তায় ব্যর্থ হয়। আমাদের স্কোরার দরকার এএফসি কাপের জন্য।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা