২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`


শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় সিক্ত জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানরা

মহান স্বাধীনতা দিবস উপযাপন
-

নানা আয়োজনে গতকাল মঙ্গলবার মহান স্বাধীনতার ৫৩তম বছর পূর্তি উদযাপন করেছে বাংলাদেশ। মহান মুক্তিযুদ্ধে জীবন উৎসর্গকারী বীর শহীদদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদনের মধ্য দিয়ে রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপিত হয়। দিবসটিতে ফুলে ফুলে ছেয়ে যায় সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধ। সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা আর ভালোবাসায় সিক্ত হন জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানরা। শ্রদ্ধা জানাতে আসা মানুষ প্রতি বছরের মতো এবারো অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ বিনির্মাণের পক্ষে মত প্রকাশ করেন।
যথাযোগ্য মর্যাদায় এবারো মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে জাতীয় পর্যায়ে বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়। গতকাল প্রত্যুষে রাজধানীতে ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসটির সূচনা হয়। রাষ্ট্রপতি মো: সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং সফররত ভুটানের রাজা জিগমে খেসার নামগেল ওয়াংচুক এদিন সকালে রাজধানীর উপকণ্ঠে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। পুষ্পস্তবক অর্পণের পর রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী এবং ভুটানের রাজা ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে সেখানে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন। এসময় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী এবং বিমানবাহিনীর একটি সুসজ্জিত চৌকস দল রাষ্ট্রীয় সালাম জানায় এবং তখন বিউগলে বেজে ওঠে করুণ সুর। শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে রাষ্ট্রপ্রধান, সরকারপ্রধান এবং ভুটানের রাজা স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণে রাখা দর্শনার্থী বইয়ে স্বাক্ষর করেন। পরে আওয়ামী লীগ সভাপতি হিসেবে শেখ হাসিনা দলের নেতাদের সাথে নিয়ে দলের পক্ষ থেকে জাতীয় স্মৃতিসৌধে আরেকটি পুষ্পস্তবক অর্পণ করে মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান। এ সময় জাতীয় সংসদের স্পিকার, প্রধান বিচারপতি, মন্ত্রিপরিষদ সদস্যবৃন্দ, জ্যেষ্ঠ রাজনীতিবিদ, তিন বাহিনীর প্রধানগণ, সংসদ সদস্যবৃন্দ, মুক্তিযোদ্ধা, কূটনীতিক, বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগী সংস্থার প্রতিনিধি এবং পদস্থ বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এরপর জাতীয় সংসদের স্পিকার ও প্রধান বিচারপতি মহান জাতীয় স্মৃতিসৌধের শহীদ বেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। এ ছাড়াও মন্ত্রিপরিষদসহ বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকবৃন্দ সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণের মধ্য দিয়ে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।
এ দিকে রাষ্ট্রীয় আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হওয়ার পরপরই সবার জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হয় জাতীয় স্মৃতিসৌধের মূল ফটক। জাতীয় স্মৃতিসৌধের মূল ফটক খুলে দেয়ার সাথে সাথে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে স্মৃতিসৌধে সাধারণ মানুষের ঢল নামে। শিশু-ছেলে-বুড়োসহ সব বয়সী শ্রেণী-পেশার মানুষের আগমনে মুখর হয়ে ওঠে স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণ। বিভিন্ন ব্যানার, ফেস্টুন নিয়ে জাতীয় স্মৃতিসৌধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান বিভিন্ন সরকারি, বেসরকারি, আধা-সরকারি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও সাধারণ মানুষ। তাদের ফুলেল শ্রদ্ধায় ভরে ওঠে শহীদ বেদি। এ সময় জাতীয় পার্টি, বিএনপি, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি, জাসদ, ন্যাপসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা জাতীয় স্মৃতিসৌধের মূল বেদিতে ফুলেল শ্রদ্ধা জানান। এ ছাড়াও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হল, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের হল, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি, আওয়ামী যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, কৃষক লীগ, গণবিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ ন্যাপ, গণফোরাম, গণতন্ত্রী পার্টি, সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট, সেক্টর কমান্ডার্স ফোরাম মুক্তিযুদ্ধ ৭১, ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটি, মহিলা পরিষদ, বাংলা একাডেমিসহ সরকারি- বেসরকারি বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন জাতির বীর সন্তানদের প্রতি ফুলেল শ্রদ্ধা জানায়।
দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ভবনসহ সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে দৃষ্টিনন্দন আলোকসজ্জা ছাড়াও নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সব সরকারি-বেসরকারি টেলিভিশন ও রেডিওতে ছিল বিশেষ অনুষ্ঠান। বিশেষ ক্রোড়পত্র বের করে পত্রিকাগুলো। সরকারি ছুটির এই দিনটি রমজানের মধ্যে হলেও ভোর থেকে তপ্ত দুপুরে কিংবা সকাল গড়িয়ে বিকেল অবধি অনেকেই বিভিন্ন জায়গা ঘুরে আনন্দ উপভোগ করেন। ফলে বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে ছিল উপচে পড়া ভিড়। আবার কেউ কেউ পরিবার-পরিজন নিয়ে বাসা-বাড়িতেই সময় কাটান। ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন শহরের প্রধান সড়ক ও সড়কদ্বীপ সুসজ্জিত করা হয় জাতীয় পতাকায়। সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি ভবনে উত্তোলন করা হয় জাতীয় পতাকা। জেলা-উপজেলাপর্যায়ে এবং বিভিন্ন দেশে অবস্থিত বাংলাদেশ মিশনেও স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে আলোচনা সভা ও বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হয়। বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠন আলোকচিত্র প্রদর্শনী, চলচ্চিত্র প্রদর্শনী, সড়কে অলঙ্করণ, আলোচনা সভাসহ বিভিন্ন ধরনের কর্মসূচি পালন করে উৎসবমুখর পরিবেশে।
মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে বাদ জোহর জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমসহ দেশের বিভিন্ন মসজিদে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। এ ছাড়াও মন্দির, প্যাগোডা, গির্জাসহ অন্যান্য ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে দেশব্যাপী বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন করা হয়।
বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে শ্রদ্ধা : মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। গতকাল আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন এমপির নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে ফুল দিয়ে গভীর শ্রদ্ধা জানান।
এসময় আওয়ামী লীগের আরেক সাংগঠনিক সম্পাদক আফজাল হোসেন, কার্যনির্বাহী সদস্য ইকবাল হোসেন অপু, গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহাবুব আলী খান, টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল বাশার খায়ের, সাধারণ সম্পাদক মো: বাবুল শেখ, পৌর মেয়র শেখ তোজাম্মেল হক টুটুলসহ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
ঢাবিতে নানা কর্মসূচি পালন : ঢাবি প্রতিবেদক জানান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) নানা আয়োজন ও কর্মসূচির মাধ্যমে স্বাধীনতা দিবস ও জাতীয় দিবস পালিত হয়েছে। গতকাল সকালে দিবসটি উপলক্ষে ভিসি অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামালের নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের পক্ষ থেকে জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। পরে ভিসির নেতৃত্বে ধানমণ্ডিস্থ বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতেও শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করা হয়। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
সকাল ৬টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সব কেন্দ্রীয় ভবন ও আবাসিক হলে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারীদের সন্তানদের মধ্যে মিষ্টি বিতরণ করা হয়। এ ছাড়াও শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনায় বাদ জোহর মসজিদুল জামিয়ায় বিশেষ মুনাজাত এবং বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার অন্যান্য ধর্মীয় উপাসনালয়ে বিশেষ প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হয়। কার্জন হল ও টিএসসিসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলোয় আলোকসজ্জা করা হয়।
বেলা সাড়ে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) মিলনায়তনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে ভিসি অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল সভাপতিত্ব করেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রবীর কুমার সরকারের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. সীতেশ চন্দ্র বাছার, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ, শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো: নিজামুল হক ভূঁইয়া এবং সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. জিনাত হুদা প্রমুখ।
চটগ্রামে উদযাপন : চট্টগ্রাম ব্যুরো জানায়, বন্দরনগরী চট্টগ্রামে গতকাল সূর্যোদয়ের সাথে সাথে পরীর পাহাড়স্থ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে ৩১ বার তোপধ্বনির মধ্য দিয়ে দিবসের কর্মসূচি শুরু হয়।
নগরীতে এবার স্বাধীনতা দিবসের কর্মসূচি রাখা হয় দু’টি ভিন্ন স্থানে। সকালে মিউনিসিপ্যাল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ প্রাঙ্গণের শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে সিটি করপোরেশন। আর নগরীর উত্তর কাট্টলীতে বানানো অস্থায়ী স্মৃতিসৌধে জেলা প্রশাসনের কর্মসূচি রাখা হয়। সকালে মিউনিসিপ্যাল স্কুল প্রাঙ্গণে সিটি মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরীর শ্রদ্ধা নিবেদনের পর বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন ফুল নিয়ে শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে। এর আগে সোমবার গভীর রাতে সেখানে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানায় চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ। এ ছাড়া চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির পক্ষ থেকে সোমবারই নগরীর বিপ্লব উদ্যানে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়।
এ দিকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে ৩১ বার তোপধ্বনির পরে কাট্টলী ডিসি পার্ক, চট্টগ্রামের দক্ষিণ পাশে অস্থায়ী স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে সব সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। দিবস উপলক্ষে সকালে নগরীর এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, পুলিশ, কারারক্ষী, ফায়ার সার্ভিস, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও সিভিল ডিফেন্স, বিএনসিসি, বাংলাদেশ স্কাউটস, গার্লস গাইড কর্তৃক কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় বিভাগীয় কমিশনার প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে সালাম গ্রহণ করেন।
খুলনায় কর্মসূচি পালন : খুলনা ব্যুরো জানায়, গতকাল প্রত্যুষে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ লাইনে ৩১ বার তোপধ্বনির মধ্য দিয়ে দিবসের সূচনা করা হয়। এরপর গল্লামারী শহীদ স্মৃতিসৌধে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়।
পুষ্পমাল্য অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন মহানগর ও জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড, কেসিসির মেয়র তালুকদার আবদুল খালেক, সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য রুনু রেজা, বিভাগীয় কমিশনার হেলাল মাহমুদ শরীফ, পুলিশ কমিশনার মো: মোজাম্মেল হক, রেঞ্জ ডিআইজি মঈনুল হক, জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াসির আরেফীন, পুলিশ সুপার, কেডিএ, শ্রম দফতর, আঞ্চলিক তথ্য অফিস (পিআইডি), সিভিল সার্জন দফতর, আনসার ভিডিপি, আঞ্চলিক নির্বাচন অফিস, সিআইডি, পিবিআই, এপিবিএন, নৌপুলিশ, ট্যুরিস্ট পুলিশ, হাইওয়ে পুলিশ, জেলা কারাগার, ওয়াসা, পরিবেশ অধিদফতর, গণপূর্ত অধিদফতর, সড়ক ও জনপথ বিভাগ, আইনজীবী সমিতি, প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদফতর, সমাজসেবা অধিদফতরসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের প্রতিনিধিরা।
সকাল ৮টায় খুলনা জেলা স্টেডিয়ামে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন বিভাগীয় কমিশনার হেলাল মাহমুদ শরীফ। পতাকা উত্তোলনের পর পুলিশ, আনসার-ভিডিপি, বিএনসিসি, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স, কারারক্ষী, বাংলাদেশ স্কাউট, রোভার স্কাউট, নৌ স্কাউট, গার্লস গাইডের অংশগ্রহণে কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়। বিভাগীয় কমিশনার প্রধান অতিথি হিসেবে কুচকাওয়াজে সালাম গ্রহণ করেন।


আরো সংবাদ



premium cement