নির্বাচনকে সামনে রেখে বাংলাদেশের পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে যুক্তরাষ্ট্র। সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচনের জন্য সব অংশীদারদের শান্তিপূর্ণভাবে অংশগ্রহণ করতে পারাটা গুরুত্বপূর্ণ। এই অংশীদারদের মধ্যে সরকারি কর্মকর্তা, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, রাজনৈতিক দল, নির্বাচন কমিশন, গণমাধ্যম এবং অবশ্যই ভোটাররা রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র সব অংশীদারদের আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকে সহিংসতা, হয়রানি ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়ে যাবে।
গতকাল ওয়াশিংটনে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নের জবাবে এ সব কথা বলেন। তাকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, ২৮ অক্টোবর বিরোধী দলের মহাসমাবেশের আগে বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠছে। গ্রেফতার, অভিযোগপত্র দেয়া এবং গভীর রাত পর্যন্ত বিচারকাজ চালিয়ে সরকার এই সমাবেশে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির চেষ্টা করছে। বাংলাদেশের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার সমুন্নত রাখতে যুক্তরাষ্ট্র কী ধরনের পদক্ষেপ নেয়ার চিন্তা করছে?
অপর এক প্রশ্নের জবাবে মুখপাত্র বলেন, কূটনৈতিক সম্পর্কবিষয়ক ভিয়েনা সনদ অনুযায়ী বিদেশী দূতাবাস ও কর্মরত স্টাফদের সুরক্ষায় যথাযথ পদক্ষেপ নেয়ার ব্যাপারে বাংলাদেশের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। বাংলাদেশের সাথে সম্পর্ককে যুক্তরাষ্ট্র মূল্যায়ন করে। আমরা আশা করি যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস ও কূটনীতিকদের নিরাপত্তায় বাংলাদেশ সরকার প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নেবে।
কূটনীতিকদের নিরাপত্তায় আনসার নিয়োগ দেয়া শুরু : বাংলাদেশে বিদেশী কূটনীতিকদের নিরাপত্তায় আনসার সদস্যদের নিয়োগ দেয়া শুরু হয়েছে। অর্থের বিনিময়ে প্রথম এই সেবা নিয়েছে ঢাকায় অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস। আনসার বাহিনীর বিশেষায়িত ব্যাটালিয়ন এজিবির ১৬ সদস্যের একটি দল মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের নিরাপত্তায় গত ২২ অক্টোবর থেকে কাজ করছে। বাড়তি এই নিরাপত্তার জন্য প্রশিক্ষিত প্রতিজন আনসার সদস্যকে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসকে মাসে ৩০০ ডলার বা ৩৩ হাজার টাকা দিতে হবে।
গত ১৫ মে থেকে বিদেশী কূটনীতিকদের রাস্তায় চলাচলে (ট্রাফিক মুভমেন্ট) সহায়তার জন্য বাড়তি পুলিশি নিরাপত্তা (এসকর্ট) প্রত্যাহার করে নেয় সরকার। এ ব্যাপারে সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক ও নিয়ন্ত্রণে আছে। তাই বাড়তি নিরাপত্তা দেয়ার আবশ্যকতা নেই। তবে বিদেশী দূতাবাস, সংস্থা ও কূটনৈতিক মিশনগুলো নির্ধারিত পরিমাণ অর্থের বিনিময়ে আনসার বাহিনীর মাধ্যমে এসকর্ট নিতে পারবে।
পরবর্তী সময়ে এ সংক্রান্ত নীতিমালা চূড়ান্ত করে দূতাবাসগুলোকে জানিয়ে দেয় সরকার। ২০১৬ সালে গুলশানের হোলে আর্টিজেন বেকারিতে ভয়াবহ জঙ্গি হামলার পর যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, জাপান ও ভারতের মিশন প্রধানদের রাস্তায় চলাচলের ক্ষেত্রে পুলিশের মাধ্যমে বাড়তি নিরাপত্তা দেয়া হচ্ছিল, যা পরবর্তী সময়ে প্রত্যাহার করে নেয়া হয়।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা