২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`

কমেছে পেঁয়াজ ও সবজির দাম

বাজার দর
-


মাত্র এক মাসের ব্যবধানে ৩৫ টাকা থেকে সেঞ্চুরি পার করে পেঁয়াজের দাম। ক্রেতাদের এই অস্বস্তি কাটাতে ভারত থেকে আমদানির সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। আমদানি শুরু করার পর পাইকারি ও খুচরা বাজারে কমতে শুরু করেছে পেঁয়াজের দাম। প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৭০ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি করছেন দোকানিরা। একই সাথে কিছুটা কমেছে সবজির দাম। প্রতি কেজি সবজিতে ১০ থেকে ১৫ টাকা দাম কমেছে। গতকাল রাজধানীর বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।

রাজধানীর বাসাবো বাজারে গিয়ে দেখা যায়, পাইকারি বাজারে ভারতীয় পেঁয়াজ আসায় দেশী ফরিদপুর ও পাবনার পেঁয়াজের দামও নামতে শুরু করেছে। খুচরা পর্যায়েও দাম কিছুটা কমেছে। প্রতি কেজি দেশী পেঁয়াজ ৭০ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ভারতীয় পেঁয়াজ পর্যাপ্ত আমদানি হলে দাম আরো কমে যাবে এই আশঙ্কায় দোকানিরা খুব বেশি পেঁয়াজ পাইকারি দোকান থেকে কিনছে না।
কয়েক মাস চড়া সবজির বাজার কিছুটা নিম্নমুখী প্রবণতায় এসেছে। গ্রীষ্মকালীন বেশির ভাগ সবজি এখন ৫০ টাকার মধ্যে। সজনে, কাকরোল, বরবটি, কচুর লতিসহ কয়েক ধরনের সবজি এখনো ৭০ থেকে ৮০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। তবে আলুর দামে পরিবর্তন দেখা যায়নি। ৪০ টাকার আশপাশে আটকে আছে আলুর কেজি, যা বছরের যেকোনো সময়ের তুলনায় বেশি। প্রতি কেজি পটোল বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা, ঢেঁড়স ৪০ থেকে ৫০ টাকা, বেগুন ৫০ থেকে ৬০, ঝিঙ্গা ৭০ টাকা, বরবটি ৬০ টাকা, কাঁকরোল ৬০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৩৫ টাকা, পেঁপে ৪০ টাকা, করলা ৬০ টাকা, টমেটো প্রতি কেজি ৪০ টাকা এবং শসা প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা দরে। অন্য দিকে চাল কুমড়া পিস ৫০ টাকা, গাজর প্রতি কেজি ১০০ টাকা, কচুর লতি ৬০ টাকা, লাউ প্রতি পিস ৭০ টাকা, কাঁচাকলা প্রতি হালি ৩০ টাকা বিক্রি হচ্ছে।
সবজি বিক্রেতারা বলছেন, সবজির মৌসুমের ওপর দাম নির্ভর করে। শীতের সময় সবজির দাম সবচেয়ে কম থাকে। আর কিছুদিন আগ পর্যন্ত নতুন গাছের সবজি উঠছিল না, পুরনো গাছের অর্থাৎ শেষ দিককার সবজি ছিল অল্প পরিমাণে তাই বাড়তি দাম গেছে। এখন নতুন গাছের সবজি বাজারে পর্যাপ্ত পরিমাণে আসতে শুরু করেছে। তাই দাম কমতে শুরু করেছে।

বাজারে চাষের পাঙ্গাশ ও তেলাপিয়াসহ দেশী প্রজাতির সব ধরনের মাছের দাম বেড়েছে। আকার ভেদে কেজিপ্রতি দাম বেড়েছে ২০ থেকে ৪০ টাকা পর্যন্ত। তেলাপিয়া ও পাঙ্গাশ আকার ভেদে কেজি ২০০ থেকে ২২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। চাষের নলা রুই বিক্রি হচ্ছে কেজি ২৫০ থেকে ২৬০ টাকা, দেড় কেজি ওজনের রুই বিক্রি হচ্ছে ৩২০ টাকা কেজি, দুই কেজি ওজনের বেশি রুই বিক্রি হচ্ছে কেজি ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকায়। মাঝারি আকারের কাতল কেজি ৩৫০ টাকা, একটু বড় আকারের কাতল কেজি ৪০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পাবদা মাছ কেজি ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা, টেংরা মাছ কেজি ৭০০ টাকা, চিংড়ি মাছ কেজি (আকার ভেদে) ৬০০ থেকে ৯০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বিক্রেতারা বলছেন, মাছের খাবারের দাম যখন থেকে বৃদ্ধি পেয়েছে তখন থেকেই মাছের দাম বাড়তি। এ ছাড়া নানা কারণে মাছের পরিবহন খরচ বৃদ্ধি পাচ্ছে, ফলে এর প্রভাব মাছেও পড়েছে। এ ছাড়া গত কয়েক দিনের গরমের কারণে মাছ চাষিরা চাষ করা মাছ বাজারে কম এনেছেন। ফলে বাজারে মাছের সঙ্কট সৃষ্টি হওয়ার দাম বেড়েছে। ব্রয়লার মুরগি কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা, সোনালি মুরগি কেজি ২৭০ থেকে ২৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বাজারে ফার্মের মুরগির ডিম ডজনপ্রতি ১৪৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, পাড়া-মহল্লার দোকানে বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকা ডজন। আদা আগের বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে। কেরালা জাতের আদা কেজি ৩০০ থেকে ৩৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে চীনা আদা কেজি ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। রসুন আমদানি করা ও দেশী কেজি ১৫০ থেকে ১৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। খোলা চিনি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৩০ থেকে ১৪০ টাকায়।
বাজারে পাটশাক জোড়া আঁটি ৩০ টাকা, কলমিশাক জোড়া আঁটি ২০ টাকা, কচু দুই আঁটি ২০ টাকা, লালশাকের জোড়া আঁটি ৩০ টাকা, পুঁইশাক ৩০ টাকা, শাপলা ডাঁটা ১০ টাকা, ডাঁটাশাক ১০ টাকা, সবুজ ডাঁটা ২০ টাকা আঁটিতে বিক্রি হচ্ছে। আর ধনেপাতা ১০০ গ্রাম ৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

 


আরো সংবাদ



premium cement