১৬ বছরে দেশে গ্যাসের চাহিদা বেড়েছে আড়াই গুণ
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- ২৯ জুন ২০২২, ০১:৩২
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ সংসদে জানিয়েছেন, ২০০৬ সালে দেশে প্রাকৃতিক গ্যাসের মোট চাহিদা ছিল দৈনিক এক হাজার ৫০২ মিলিয়ন ঘনফুট। বর্তমান চাহিদা প্রায় তিন হাজার ৭০০ মিলিয়ন ঘনফুট। সে হিসাবে বিগত ১৬ বছরে দেশে প্রাকৃতিক গ্যাসের চাহিদা বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ২.৪৬ গুণ। একই সময়ে খনিজ তেলের চাহিদা বৃদ্ধি পেয়েছে ৩০ লাখ টন।
গতকাল মঙ্গলবার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে তিনি এ তথ্য জানান। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশনে এ সংক্রান্ত প্রশ্নটি উত্থাপন করেন সরকারি দলের সদস্য এম আবদুল লতিফ। জবাবে প্রতিমন্ত্রী আরো জানান, ২০০৬-০৭ অর্থবছরে দেশে খনিজ তেলের চাহিদা ছিল প্রায় ৩৫ লাখ ৭৩ হাজার টন। বর্তমানে চাহিদা প্রায় ৬৩ লাখ টন। উক্ত চাহিদার বিপরীতে সরকারি ও বিপিসির নিয়ন্ত্রণাধীন প্রতিষ্ঠান ইস্টার্ন রিফাইনারি লিমিটেডের (ইআরএল) বার্ষিক উৎপাদন ক্ষমতা প্রায় ১৪ লাখ টন। এ ছাড়া অন্যান্য উৎস (সরকারি/ বেসরকারি ফ্রাকশনেশন প্ল্যান্ট) থেকে বার্ষিক চার লাখ থেকে সাড়ে চার লাখ টন জ্বালানি পণ্য পাওয়া যায়।
সরকারি দলের আনোয়ার হোসেন খানের প্রশ্নের লিখিত জবাবে প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ জানান, সিলেট জেলার জকিগঞ্জ উপজেলায় নতুন একটি গ্যাস ক্ষেত্রের সন্ধান পাওয়া গেছে, যা দেশের ২৮তম গ্যাসক্ষেত্র। বান্দরবান, খাগড়াছড়িসহ পাহাড়ি এলাকায় গ্যাসক্ষেত্র অনুসন্ধানে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। ২০২০-২১ অর্থবছরে খাগড়াছড়ির সেমুতাং গ্যাসক্ষেত্র ও এর পার্শ্ববর্তী ২৫০ বর্গকিলোমিটার এলাকায় ত্রিমাত্রিক সিসমিক জরিপ সম্পন্ন করা হয়েছে। বর্তমানে ২টি সিসমিক সার্ভে ওভার এক্সপ্লোরেশন ব্লক ১৫ এবং ২২ প্রকল্পের আওতায় ফেনী, চট্টগ্রাম, বান্দরবান, খাগড়াছড়িসহ পাহাড়ি এলাকায় দ্বিমাত্রিক সিসমিক জরিপ কার্যক্রম চলছে। এ ছাড়াও পার্বত্য এলাকায় অভিজ্ঞতাসম্পন্ন বিদেশী কোম্পানির সাথে যৌথভাবে তেল-গ্যাস অনুসন্ধানের লক্ষ্যে ‘এক্সপ্রেশন অব ইন্টারেস্ট’ আহ্বান করা হয়। বিনিয়োগে আগ্রহী প্রতিষ্ঠানগুলোর দাখিলকৃত প্রস্তাবসরূহ মূল্যায়ন করে কয়েকটি প্রতিষ্ঠানকে রিকোয়েস্ট ফর প্রপোজাল দেয়ার কাজ চলছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা