রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের স্পষ্ট রোডম্যাপ চায় বাংলাদেশ
- কূটনৈতিক প্রতিবেদক
- ১৮ জুন ২০২১, ১৪:১৯
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের জন্য জাতিসঙ্ঘের কাছে স্পষ্ট রোডম্যাপ চেয়েছে বাংলাদেশ। গতকাল বৃহস্পতিবার নিউইয়র্কে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনের বঙ্গবন্ধু লাউঞ্জে জাতিসঙ্ঘ মহাসচিবের মিয়ানমার বিষয়ক বিশেষ দূত ক্রিস্টিন এস বার্গনারের সাথে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন এই দাবি জানান। তিনি বলেন, মানবিক বিবেচনায় আমরা রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছি। নিরাপদ ও টেকসই প্রত্যাবাসনের মাধ্যমে এই সঙ্কটের সমাধান মিয়ানমারেই নিহিত। কিন্তু গত চার বছরে একজন রোহিঙ্গাকেও মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো সম্ভব হয়নি। আমরা চাই প্রত্যাবর্তন বিষয়ে জাতিসঙ্ঘ স্পষ্ট একটি রোডম্যাপ দিক।
কক্সবাজারে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা দীর্ঘসময় ধরে অবস্থানের নেতিবাচক দিক, বিশেষ করে ওই এলাকায় বসবাসরত মূল জনগোষ্ঠীর ওপর এর বিরূপ প্রভাবের কথা উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, শিগগির প্রত্যাবাসন শুরু না হলে এই সঙ্কট কেবল আঞ্চলিক নয়, বরং আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে অস্থিরতার সৃষ্টি করবে।
মিয়ানমারবিষয়ক জাতিসঙ্ঘের বিশেষ দূতকে বাংলাদেশের ভাসানচর প্রকল্প সম্পর্কে অবহিত করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে নিয়োজিত হওয়ার সুযোগ রয়েছে। করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হলে বিশেষ দূতকে ভাসানচর পরিদর্শনে যাওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানান ড. মোমেন। ভাসানচরে জাতিসঙ্ঘের মানবিক সহায়তা কর্মসূচি চালুর অনুরোধ জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
ক্রিস্টিন বার্গনার বলেন, মিয়ানমারে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের উপযোগী অনুকূল পরিবেশ তৈরি করা এবং অচিরেই প্রত্যাবাসন শুরু করার জন্য জাতিসঙ্ঘ সদস্যরাষ্ট্রসহ মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ ও বাইরের সব অংশীজনের সাথে যোগাযোগ ও আলোচনা অব্যাহত রাখা হয়েছে। ভাসানচর পরিদর্শন করতে বিশেষ দূত তার আগ্রহের কথা জানান।
পরে জাতিসঙ্ঘের পিস অপারেশন বিভাগের প্রধান আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল জ্যঁ পিয়েরে ল্যাক্রুয়ারের সাথে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ভার্চুয়াল বৈঠক করেন। এ সময় জাতিসঙ্ঘের শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে বাংলাদেশের অব্যাহত সমর্থন ও অংশগ্রহণের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন তিনি। শান্তিরক্ষীদের সুরক্ষা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য জাতিসঙ্ঘের পিস অপারেশন বিভাগকে ধন্যবাদ জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
৩০ বছরের বেশি সময় ধরে জাতিসঙ্ঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে বাংলাদেশের তাৎপর্যপূর্ণ অংশগ্রহণ, সাফল্যমণ্ডিত অবদান ও শান্তিরক্ষা মিশনগুলোতে বাংলাদেশী শান্তিরক্ষীদের পেশাদারিত্ব ও দায়িত্বশীলতার প্রশংসা করেন ল্যাক্রুয়া। শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে বাংলাদেশ ও জাতিসঙ্ঘের সম্পর্ক আগামী দিনগুলোতে উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। উভয় বৈঠকে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে জাতিসঙ্ঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা ছিলেন।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা