২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

তদন্তে অগ্রগতি নেই গ্রেফতার হয়নি কেউ

বুড়িগঙ্গায় লঞ্চডুবি
-

২৬ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে অভিযান চালিয়ে বুড়িগঙ্গার পানিতে ডুবে যাওয়া লঞ্চ এম এল মর্নিং বার্ড উদ্ধার হলেও গতকাল বুধবার পর্যন্ত নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের গঠিত সাত সদস্যের তদন্ত কমিটির তদন্তে কোনো অগ্রগতি নেই। তারা এখনো দুর্ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী এবং লঞ্চ থেকে যারা জীবিত উদ্ধার হয়েছে তাদের কাছ থেকে গণসাক্ষ্য গ্রহণের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রয়েছেন। অন্য দিকে গতকাল পর্যন্ত লঞ্চ দুর্ঘটনার সাথে জড়িত কোনো আসামি গ্রেফতার হয়নি এবং নতুন করে কোনো লাশ উদ্ধার হয়নি বলে জানান তদন্তকারী কর্মকর্তা নৌপুলিশ সদরঘাট থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শহিদুল ইসলাম। তিনি বলেন, লঞ্চ ব্যাকে যাওয়ার সময় সামনে ও পেছনে দু’জন মাস্টার থাকতে হয়। হাতে লাল পতাকা ও হ্যান্ড মাইক দিয়ে সতর্ক করতে হয়। এসব নিয়মের কোনোটাই মেনে চলেনি এমভি ময়ূর-২ লঞ্চটি। বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌচলাচল (যাত্রী পরিবহন) সংস্থার পরিচালক মামুনুর রশিদ জানান, এমভি ময়ূর-২ লঞ্চটি ব্যাকে যাওয়ার সময় মাস্টাররা লঞ্চে না থেকে লস্কর দিয়ে লঞ্চ বের করেছেন। তাই নিরীহ ৪০ জন মানুষের প্রাণ দিতে হলো।
তদন্ত কমিটির প্রধান রফিকুল ইসলাম খান বলেন, লঞ্চ দুর্ঘটনার প্রাথমিক তদন্ত শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করে দেখা হয়েছে। দুর্ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীদের সাক্ষাৎকার গ্রহণ করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে। নির্ধারিত সময়েই তদন্ত রিপোর্ট দেয়া হবে বলে তিনি জানান।
তদন্ত কমিটির গণসাক্ষ্য গ্রহণ : গত সোমবার বুড়িগঙ্গায় লঞ্চডুবির ঘটনায় বিআইডব্লিউটিএ’র পক্ষ থেকে সাত সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। গতকাল তদন্ত কমিটি ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী এবং লঞ্চ থেকে যারা জীবিত উদ্ধার হয়েছে তাদের গণসাক্ষ্য গ্রহণ করে। রাজধানীর সদরঘাট টার্মিনালে বিআইডব্লিউটিএ’র সভাকক্ষে এ গণসাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেনÑ তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক মো: রফিকুল ইসলাম খান (যুগ্ম সচিব নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়), ক্যাপ্টেন জসিম উদ্দিন সরকার (চিফ নটিক্যাল সার্ভেয়ার, নৌপরিবহন অধিদফতর), নৌপুলিশের সিনিয়র এসপি মো: ফরিদ, ফায়ার সার্ভিসের উপপরিচালক নুর হাসান এবং মো: রফিকুল ইসলাম (পরিচালক নৌনিরাপত্তা )।
মো: রফিকুল ইসলাম খান বলেন, আমরা তদন্ত শুরু করেছি। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দেয়ার চেষ্টা করব।
গ্রেফতার হয়নি কোনো আসামি : বুড়িগঙ্গা নদীতে এমভি ময়ূর-২ লঞ্চের ধাক্কায় এমএল মর্নিং বার্ড লঞ্চ ডুবে ৩৪ জন নিহতের ঘটনায় এমভি ময়ূর-২ লঞ্চের মালিক মোসাদ্দেক হানিফ ছোয়াত, কর্মচারী আবুল বাশার ও মো: জাকির হোসেন, ইঞ্জিন ড্রাইভার শিপন হাওলাদার, ড্রাইভার শাকিল, সুকানি নাসির মৃধা ও কর্মচারী মো: রিদয় এই সাতজনের নাম উল্লেখ করে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় মামলা করা হয়েছে। মামলা নং ৩৪। মামলাটি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য নৌপুলিশ সদরঘাট থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শহিদুল ইসলামকে দায়িত্ব দেয়া হলেও গতকাল পর্যন্ত পুলিশ কোনো আসামিকে গ্রেফতার করতে পারেনি। শহিদুল ইসলাম নয়া দিগন্তকে বলেন, প্রধান আসামি মোসাদ্দেক হানিফ ছোয়াতের বাসা ১১৬ বড় মগবাজার কাজী অফিস লেনে। তাকে গ্রেফতারের জন্য বাসায় গিয়ে পাওয়া যায়নি। অন্য আসামিদেরও গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। তিনি বলেন, পুলিশের পাশাপাশি র্যাবের একটি বাহিনীও আসামিদের গ্রেফতারে মাঠে নামছে।


আরো সংবাদ



premium cement
কুষ্টিয়াতে মসজিদ কমিটি নিয়ে সংঘর্ষে আহত ৫ চেয়ারম্যান তপন ও অজিত মেম্বারকে ধরিয়ে দিতে পারলে পুরস্কার ঘোষণা নারায়ণগঞ্জে ২৪ ঘণ্টায় ১৪ ডাকাত সদস্য গ্রেফতার রাজশাহীতে মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রি ছাড়াল যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশী শ্রমিকদের ভিসা সহজ করার আহ্বান প্রবাসী প্রতিমন্ত্রীর চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিদ্বন্দ্বী না হয়ে অংশীদার হওয়া উচিত : শি জিনপিং ওকাব সভাপতি নজরুল ইসলাম, সম্পাদক জুলহাস আলম পাবনায় ১০ কোটি টাকার অনিয়মে ৩ ব্যাংক কর্মকর্তা কারাগারে চুয়েট ১১ মে পর্যন্ত বন্ধ, শিক্ষার্থীদের আন্দোলন স্থগিত নরসিংদীতে হিট স্ট্রোকে শিশুর মৃত্যু হিলিতে ভটভটি-মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে নিহত ২

সকল