করোনাভাইরাস সংক্রমণে বাংলাদেশে ২০ লাখ মানুষ মারা যাওয়া নিয়ে জাতিসঙ্ঘ প্রতিবেদনের আশঙ্কাকে ‘অতিরঞ্জিত’ হিসেবে আখ্যায়িত করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. আব্দুল মোমেন বলেছেন, ইম্পিরিয়াল কলেজ বিভিন্ন আশঙ্কা মাথায় রেখে এ সংক্রান্ত পরপর ১০টি মডেল তৈরি করেছিল। সবচেয়ে খারাপ মডেলটিকে ভিত্তি করে জাতিসঙ্ঘ একটি প্রতিবেদন দিয়েছে। এই প্রতিবেদন যারা ফলাও করে প্রচার করছে তাদের অন্য উদ্দেশ্য থাকতে পারে। এসব গুজবে কান দেয়া উচিত না।
তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে বাংলাদেশ বিশ্বের অনেক দেশের চেয়ে ভালো করছে। আমাদের দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা কম, মৃত্যুর সংখ্যা খুবই কম। শুনেছি, বাংলাদেশের আবহাওয়া ভাইরাসটির সংক্রমণ সীমিত রাখতে সহায়তা করছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী গতকাল শনিবার নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে এ সব কথা বলেন। সম্প্রতি জাতিসঙ্ঘের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঘটলে এবং তা প্রতিরোধে কোনো পদক্ষেপ নেয়া না হলে পাঁচ থেকে দশ লাখ মানুষ প্রাণ হারাতে পারে। এর আগে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম এই প্রতিবেদন সম্পর্কে বলেছিলেন, বাংলাদেশ করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে যথাযথ ব্যবস্থা নিয়েছে। তাই জাতিসঙ্ঘের প্রতিবেদনে উদ্বিগ্ন হওয়ার কারণ নেই।
ড. মোমেন বলেন, ওইসিডিভুক্ত (দ্য অর্গানাইজেশন ফর ইকোনমিক কো-অপারেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট) কয়েকটি দেশ, বিশেষ করে ব্রিটেন ঢাকার সাথে লন্ডন ও ম্যানচেস্টারের ফ্লাইট চালু রাখতে আমাদের তাগাদা দিচ্ছে। তাদের বক্তব্য হলোÑ করোনাভাইরাস মোকাবেলায় বাংলাদেশে অনেক চিকিৎসক ও নার্সের প্রয়োজন হবে। করোনাভাইরাস মোকাবেলায় প্রয়োজনীয় সরঞ্জামাদির চাহিদা রয়েছে। উন্নয়ন সহযোগী হিসেবে ব্রিটেন তা সরবরাহ করতে পারবে। কিন্তু ঢাকায় বিমানবন্দর বন্ধ থাকলে এটি বাধাগ্রস্ত হবে। ড. মোমেন বলেন, অস্ট্রেলিয়াসহ ওইসিডিভুক্ত অনেক রাষ্ট্র তাদের দেশ থেকে সব ধরনের আন্তর্জাতিক ফ্লাইট বন্ধ রেখেছে। বাংলাদেশ বন্ধ রেখেছে জনগণের স্বাস্থ্যনিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে। কেননা বিদেশ থেকে আসা ব্যক্তিদের দ্বারাই আমাদের দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঘটেছে। এখন ব্রিটেন ও ইউরোপের দেশগুলোতে অবস্থানরত সচেতন প্রবাসী বাংলাদেশীরাই লন্ডন বা অন্যান্য স্থানের সাথে বিমানের ফ্লাইট আবার শুরু করার বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে। কেননা এতে বাংলাদেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, আগামী ৭ এপ্রিল পর্যন্ত ঢাকা থেকে লন্ডন ও ম্যানচেস্টারে বিমানের নিয়মিত ফ্লাইট বন্ধ। এরপর তা চালু করা হবে কি না তার সিদ্ধান্ত নেবে একটি বিশেষ কমিটি। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রণালয় এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিদের নিয়ে এই কমিটি গঠিত হয়েছে।
এক প্রশ্নের জবাবে ড. মোমেন বলেন, ভারতে প্রায় আড়াই হাজার বাংলাদেশী আটকা পড়েছে। আগামী ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত ভারতজুড়ে লকডাউন চলবে। এ সময় ভারতের বিভিন্ন স্থান থেকে বাংলাদেশীদের এক জায়গায় জড়ো করে বিশেষ বিমানে আনাটাই বড় সমস্যা। তবে এ ধরনের কোনো ব্যবস্থা নেয়া গেলেও বাংলাদেশীদের নিজ খরচেই দেশে ফিরতে হবে। থাইল্যান্ডে অল্প কিছু বাংলাদেশী আটকা পড়েছে। কিন্তু থাই সরকার করোনা নিয়ে খুবই কঠোর অবস্থানে আছে। আমরা বিশেষ বিমান পাঠালেও এয়ারক্রাফটসহ পাইলট-ক্রুদের ১৪ দিন কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে। সিঙ্গাপুরে শ’খানেক বাংলাদেশী আটকা পড়েছে। তারা নিজ খরচায় দেশে ফিরতে চায়।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা