দেশের বিভিন্ন জেলায় অভিযান চালিয়ে পুলিশ বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর ৩৬ নেতাকর্মীকে আটক করেছে। এদের মধ্যে দিনাজপুরের ২৯ জন, ঝিনাইদহের মহেশপুরে ৬ জনহ্ম ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলায় একজন রয়েছেন।
নিজস্ব প্রতিবেদক জানান, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি হাবিব উন নবী খান সোহেল গ্রেফতার হয়েছেন। গতকাল সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে গুলশান এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে ঢাকা মহানগর পুলিশ। গ্রেফতারের পর তাকে প্রথমে গুলশান থানায় ও পরে মিন্টো রোডে গোয়েন্দা (ডিবি) কার্যালয়ে নিয়ে যায় পুলিশ।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী নয়া দিগন্তকে জানান, গুলশান দুই নম্বর চত্বর এলাকা থেকে মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় সোহেলকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাকে ডিবি অফিসে নেয়া হয়েছে। একই তথ্য জানান বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের সদস্য শামসুদ্দিন দিদার।
ঢাকা মহানগর পুলিশের ডিসি (মিডিয়া) মাসুদুর রহমান জানান, সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে হাবিব উন নবী খান সোহেলকে গুলশান এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
দিনাজপুর সংবাদদাতা জানান, দিনাজপুরে জামায়াতের জেলা আমিরসহ বিএনপি-জামায়াতের ২৯ জন নেতাকর্মীকে পুলিশ আটক করেছে। আটক নেতাকর্মীদের কোর্টে চালান দেয়ার পর দিনাজপুর জেলহাজতে নেয়া হয়েছে।
হাকিমপুর থানার অফিসার ইনচার্জ আনোয়ার হোসেন জানান, জেলা জামায়াতের আমির মাওলানা আনোয়ারুল ইসলামের বিরুদ্ধে নাশকতা মামলা থাকায় তাকে আটক করা হয়েছে। গত সোমবার উপজেলার হরিহরপুর বাজার এলাকায় জানাজা নামাজ শেষে তাকে আটক করা হয়। এ ছাড়া বিএনপি-জামায়াতের আরো ২২ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সোমাবার তাদের কোর্টে চালান দেয়া হয়েছে। নবাবগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুব্রত কুমার সরকার জানান, রোববার রাতে নবাবগঞ্জ উপজেলার কুড়াহার গ্রামে উপজেলা জামায়াতের আমির মো: আবুল কাসেমের বাড়িতে বৈঠক করার সময় বিশেষ অভিযান চালায় পুলিশ।
কোতয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রেদওয়ানুর রহিম বলেন, শহরের স্টেশন রোডের রোলেক্স বিরিয়ানি হাউজের দোতলায় গোপন বৈঠক চলছিল। খবর পেয়ে বিএনপির ৬ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সোমবার দুপুরে তাদের কোর্টে পাঠানো হয়েছে। এ ছাড়া ঘোড়াঘাট থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে বিএনপি-জামায়াতের চার নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে।
মহেশপুর (ঝিনাইদহ) সংবাদদাতা জানান, মহেশপুর থানা পুলিশ বিশেষ অভিযান চালিয়ে জামায়াতের ৬ কর্মীকে আটক করেছে। মহেশপুর থানা সূত্রে জানা গেছে, সোমবার রাত থেকে মঙ্গলবার বিকেল পর্যন্ত মহেশপুর থানার এসআই বজলুর রহমান বিশেষ অভিযান চালিয়ে সূর্যদিয়া গ্রামের জামায়াত কর্মী আনোয়ার হোসেন, যাদবপুর গ্রামের রেজাউল ইসলাম, কাঞ্চনপুর গ্রামের নাজমুল হক, পূর্বদারিয়াপুর গ্রামের সামাদ মিস্ত্রি ও আতিয়ার রহমান এবং রুলি গ্রামের ওয়াজ মোল্লাকে আটক করেছে। থানার ডিউটি অফিসার এএসআই মোহন জানান, তাদের বিরুদ্ধে নাশকতার মামলা আছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সংবাদদাতা জানান, জেলার কসবা উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মাওলানা আল আমিনকে (৫৩) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সোমবার রাত সাড়ে ১২টায় উপজেলার কাইমপুর ইউনিয়নের জাজিসার গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
কসবা থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মৃণাল দেবনাথ জানান, রাতে অভিযান চালিয়ে জামায়াত নেতা আল আমিনকে তার নিজ বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে কসবা থানায় একটি মামলা রয়েছে। এ ব্যাপারে জেলা জামায়াতের প্রচার সম্পাদক কাজী সিরাজুল ইসলাম বলেন, সরকারবিরোধী দলের কণ্ঠ রোধ করতে অন্যায়ভাবে মাওলানা আল আমিনসহ জামায়াতসহ বিরোধী দলীয় নেতাদের গ্রেফতার করা হচ্ছে। জেলা জামায়াত মাওলানা আল আমিনসহ গ্রেফতারকৃত জামায়াত নেতাদের অবিলম্বে নিঃশর্ত মুক্তির দাবি করেছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা