২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`


এবার লকডাউনে তা আর বলবৎ নেই : মামুনুর রশীদ

-

দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নতুন করে ভয়াবহ আকার ধারণ করছে। এই অবস্থায় সরকারি নির্দেশে সারা দেশে ১৪ দিনের কঠোর লকডাউন চলছে। জরুরি কার্যক্রম ছাড়া সব কিছুই বন্ধ এখন। যার আওতায় রয়েছে টিভি নাটকের শুটিংও। ছোট পর্দার ১৪ সংগঠনের মোর্চা ফেডারেশন অব টেলিভিশন প্রফেশনালস অর্গানাইজেশন (এফটিপিও) এরই মধ্যে লকডাউনে শুটিং না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
এফটিপিও একটি বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, সরকার ঘোষিত ২৩ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত কঠোর লকডাউনে সব ধরনের শুটিং বন্ধ থাকবে। সংগঠনের চেয়ারম্যান মামুনুর রশীদ বলেন, ঈদের আগে ১ জুলাই থেকে ১৪ জুলাই পর্যন্ত ১৪ দিনের লকডাউনে তথ্য মন্ত্রণালয়ের বিশেষ অনুমতি নিয়ে নাটকের শুটিং চালিয়ে গেলেও এবারের লকডাউনে পুরোপুরি তা বন্ধ থাকছে।
তিনি বলেন, ‘গত লকডাউনে আমাদের জীবন-জীবিকা সচল রাখার স্বার্থে সরকার শুটিংয়ের সুযোগ দিয়েছিল। এবারের লকডাউনে তা আর বলবৎ নেই। ফলে এই লকডাউনে শুটিং করতে গেলে নির্মাতা, শিল্পী, চিত্রগ্রাহকরা বিপদে পড়তে পারেন। সে কারণেই শুটিং বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’ লকডাউনের মেয়াদ বাড়লে টিভি নাটকের শুটিং বন্ধের মেয়াদও বাড়তে পারে বলে জানান এ অভিনয়শিল্পী-নির্মাতা।
ঈদের আগের লকডাউনে শুটিং চালিয়ে যাওয়ার কারণ হিসেবে টেলিভিশন প্রোগ্রাম প্রডিউসারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (টেলিপ্যাব) সভাপতি অভিনেতা-প্রযোজক ইরেশ যাকের বলেছিলেন, বছরজুড়ে নির্মিত টিভি নাটকের এক-তৃতীয়াংশই দুই ঈদে নির্মাণ ও প্রচার হয়। তিনি বলেন, ঈদের আগের তিন সপ্তাহে কোনো কাজ না করলে প্রযোজক কিংবা প্রধান চরিত্রের অভিনয়শিল্পীদের খুব একটা ক্ষতি না হলেও কলাকুশলীরা সঙ্কটে পড়বেন। এফটিপিওর আবেদনে শুটিং হাউজের ভেতরে ও টেলিভিশনের ছাড়পত্র নিয়ে টিভি নাটকের শুটিংয়ের অনুমতি দিয়েছিল তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়। এর মাঝে গত ৫ জুলাই স্বাস্থ্যবিধি ভেঙে রাস্তায় শুটিং করায় পরিচালক নাসিরউদ্দিন মাসুদের একটি টিভি নাটকের শুটিং ইউনিটের ডজনখানেক সদস্যকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নেয়ার পর মুচলেকা রেখে ছেড়ে দিয়েছিল খিলগাঁও থানা পুলিশ। ঈদের আগের লকডাউনে টিভি নাটকের শুটিং চললেও চলচ্চিত্রের শুটিং বন্ধ রেখেছিল বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতি; এবারের লকডাউনেও তা অব্যাহত থাকছে বলে জানিয়েছে সংগঠনটি।


আরো সংবাদ



premium cement