২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`
মশার জ্বালায় অতিষ্ঠ মানুষ

প্রতিকার হচ্ছে না

-

রাজধানী ঢাকা এখন মশার দখলে। ক্ষুদ্র এই কীটের কামড় ও বিরক্তিকর গুনগুনানির শব্দে জনজীবন অতিষ্ঠ। কোথাও দুদণ্ড সুস্থির হয়ে বসার উপায় নেই। মশা ঘিরে ধরছে। স্বস্তিতে কোনো কাজ করতে পারে না মানুষ। নগরীর প্রতিটি প্রতিষ্ঠান, অফিস আদালত, মার্কেট, সুপারমার্কেট ও বাসাবাড়ি সর্বত্র বেড়েছে মশার উপদ্রব। ঘরে বসে লেখাপড়া বা মনোনিবেশ করার মতো অন্য কোনো কাজ করতে পারেন না নগরবাসী। শিক্ষার্থীদের সমস্যা সবচেয়ে বেশি।
গতকাল সহযোগী একটি দৈনিকের খবরে বলা হয়েছে, মশক নিধনে দুই সিটি করপোরেশন ফগার মেশিনে যে কীটনাশক ছিটাচ্ছে, তাতে কাজ হচ্ছে না। কারণ, সেটি নিয়ম মেনে যথাযথভাবে করা হচ্ছে না। দুই সিটি প্রতিদিন সকাল-বিকেল মশা নিয়ন্ত্রণে কীটনাশক ছিটাচ্ছে বলে দাবি করে। সকালে লার্ভা নিধনের লক্ষ্যে কীটনাশক ছিটানো হয়, আর বিকেলে বড় মশা নিধনের জন্য ফগার মেশিনে ধোঁয়া ছড়ানো হয়। তবে কীটতত্ত্ববিদদের মতে, কাজটি বিজ্ঞানসম্মতভাবে করা হচ্ছে না। মশার প্রজনন মৌসুমে ওষুধ ছিটাতে হবে। সেক্ষেত্রে দুই সিটির কার্যক্রমে ঘাটতি রয়েছে। এর অর্থ হলো, কাজটি করা হচ্ছে নিছক দায়সারাভাবে ও লোকদেখানো মানসিকতা থেকে। মশক নিধনে নগর কর্তৃপক্ষ যে আন্তরিকতার সাথে কাজ করেনি তার প্রমাণ এবারের মৌসুমে ডেঙ্গুর ভয়াবহতা থেকে স্পষ্ট। এই সামান্য একটি রোগ এখন হাজারো মানুষের জীবন কেড়ে নিচ্ছে। এর বাইরেও অনিয়ম-অবহেলার বাস্তব প্রমাণও আছে। সিঙ্গাপুর থেকে মশার ওষুধ আমদানি নিয়ে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে যে কেলেঙ্কারি হয়েছে, তার কোনো প্রতিকার হয়নি। দীর্ঘ সময় পেরোলেও নতুন করে আর কোনো ওষুধ আমদানি করা হয়নি।
এ দিকে মশার জ্বালায় নাগরিক জীবন অস্থির হলেও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নিজেদের সাফল্য দাবি করতে কুণ্ঠিত নয়। অথচ কোনো এলাকায় ওষুধ ছিটানোর ১০ মিনিট পরও মশা উড়তে দেখা যায়।
মশার এমন উপদ্রবে সামনের দিনগুলোতে ডেঙ্গু রোগ আরো ভয়াবহ ও প্রাণঘাতী হয়ে উঠতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। এর পরিপ্রেক্ষিতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে সব সংশ্লিষ্ট দফতরকে সতর্ক করা হয়েছে। প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। নির্দেশনা অনুযায়ী, দুই সিটি করপোরেশন তেমন কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নিয়েছে, এমনটি দেখা যাচ্ছে না। ফলে নগরবাসীর মধ্যে ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়ার ব্যাপারে ভীতি ছড়িয়েছে। পাশাপাশি ডেঙ্গু ছাড়াও যেসব মশাবাহিত রোগ আছে সেগুলোও চিন্তার কারণ হয়ে উঠছে। কীটতত্ত্ববিদরা বলেন, ঢাকায় এখন ৯৯ শতাংশ কিউলেক্স মশা। এডিস মশার ব্যাপারে মানুষ কিছুটা সতর্ক থাকলেও কিউলেক্স মশা নিয়ে কেউ ভাবেন না। অথচ কিউলেক্স মশা থেকে ছড়ায় ফাইলেরিয়া বা গোদরোগের জীবাণু ও নানা ধরনের চর্মরোগ।
নগরবাসীকে রোগব্যাধি ও অস্বস্তি থেকে পরিত্রাণ দেয়া সরকারের বিভিন্ন দফতরের দায়িত্ব। দায়িত্ব পালনের অঙ্গীকার করে মন্ত্রী মেয়র ও অন্য সব জনপ্রতিনিধি নির্বাচন করে দায়িত্বে আসেন। কিন্তু তাদের কাজের কোনো বাস্তব প্রতিফলন দেখা যায় না; বরং মশা নিধন কার্যক্রমে লেজেগোবরে অবস্থা এবং সে কারণে ডেঙ্গু তীব্রতর হয়ে ওঠার মধ্যে সেই দায়হীনতা ফুটে ওঠে।


আরো সংবাদ



premium cement
বনশ্রীতে কিশোরী গৃহকর্মীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার সৌদি আরবে আরব ও ইইউ কূটনীতিকদের গাজা নিয়ে আলোচনা ইউক্রেনকে দ্রুত প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র দিতে যাচ্ছে পেন্টাগন ডিএমপির অভিযানে গ্রেফতার ৩৯ মিয়ানমারের জাতীয় গ্রন্থাগারে বাংলাদেশ দূতাবাসের বই অনুদান ক্ষমতায় যেতে বিএনপি বিদেশী প্রভুদের দাসত্ব করছে : কাদের ক্যান্সারে আক্রান্ত শিশু সুলতান মাহমুদকে বাঁচাতে সাহায্যের আবেদন গাজার নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরে ইসরাইলি হামলায় নিহত ১৫ মুজিবনগরে ২ চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষ, আহত ১৩ বাগেরহাটের রামপালে ট্রাকের চাপায় নিহত ৩ ফিলিস্তিনের পক্ষে যুক্তরাষ্ট্রের যেসব বিশ্ববিদ্যালয় বিক্ষোভে উত্তাল

সকল