৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ শাওয়াল ১৪৪৫
`


অপারেটর ছাড়াই হাসপাতালের লিফট

৫০ বার দুর্ঘটনার পরও শিক্ষা হয়নি

-

সহযোগী একটি জাতীয় দৈনিকের ঝিনাইদহ প্রতিনিধির পাঠানো স্থানীয় আড়াই শ’ শয্যার জেনারেল হাসপাতালে লিফট মানেই আতঙ্ক। কারণ যখন-তখন এটা বন্ধ হয়ে রোগী ও স্বজনদের বিপন্ন করছে। মাত্র দেড় বছরে এই লিফটে অন্তত ৫০ বার যান্ত্রিক ত্রুটি সৃষ্টি হলেও কোনো প্রতিকার হয়নি। কারণ লিফট-দ্বয়ের চালক কয়েকজন গার্ড। এ বিষয়ে দক্ষতা না থাকা সত্ত্বেও তাদের ওপরই অর্পিত হয়েছে আটতলা বিল্ডিংয়ের লিফট দেখাশোনার কাজ। ফলে প্রতিনিয়ত লিফট আটকা পড়ে যায় এবং বিড়ম্বনায় পড়েন বিশেষত রোগীরা। সর্বশেষ গত ১৫ মে রাতে ১১ জন নারী ও শিশু লিফটে আটকা পড়ে যায়।
নিয়ম মোতাবেক, লিফটের জরুরি নাম্বারে কল করা হলে একজন গার্ড তার তখন ‘ডিউটি নেই’ বলে এড়িয়ে যান। জানা গেছে, সবসময় উভয় লিফটে একজন করে অপারেটর থাকার কথা। লিফটে আটকা মহিলা ও শিশুদের দমকল বাহিনীর লোকজন উদ্ধার করেছেন, তা-ও আধা ঘণ্টা পরে এসে। আরো জানা যায়, যারা এখন লিফটের দায়িত্বে আছেন, তারা সবাই আউটসোর্সিংয়ের লোক। সংশ্লিষ্ট একটি কোম্পানির ইঞ্জিনিয়াররা এসে তাদের কেবল লিফট চালু ও বন্ধ করাই শিখিয়ে গেছেন। সংশ্লিষ্ট গার্ডরা স্বীকার করলেন যে, তাদের অভিজ্ঞতা নেই লিফট চালানোর ব্যাপারে। একজন গার্ড জানান, লিফটে ঘন ঘন রোগী ও স্বজনসহ লোকজন আটকা পড়লেও তারা কারণ ‘খুঁজে পাচ্ছেন না’।

 

অর্থাৎ তাদের কাছে এই গুরুতর সমস্যার কোনো সুরাহা কিংবা প্রতিকার নেই। একজন গার্ড জানিয়েছেন, বিগত মাত্র দেড় বছরেই ৫০ থেকে ৬০ বার এখানে লিফটের ত্রুটি ধরা পড়েছে। ফলে সবার মধ্যে এখন ভীতি ও আতঙ্ক। জানা যায়, লিফটের সমস্যা হলে সংশ্লিষ্ট কোম্পানির টেকনিশিয়ান ফোনে যা বলেন তা ‘পালন করা হয়’। অপর দিকে একজন গার্ডের বক্তব্য, বিদ্যুতের লো ভোল্টেজের দরুন লিফট ঘন ঘন ও বারবার আটকে যাচ্ছে। যেকোনো সময়ে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। আটকে পড়া একজনের কথা, ‘ঘন ঘন এমন হলে জীবন বিপন্ন হতে পারে। অবিলম্বে তাই দক্ষ লিফটম্যান ও টেকনিশিয়ান নিয়োগ করা উচিত।’ হাসপাতালটির একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, এখানে ভর্তি আছেন তিন হাজার ২৫৪ জন এবং প্রতিদিন ১২-১৩ শ’ রোগী আউটডোরে চিকিৎসা নিচ্ছেন। স্বজনরাসহ তারা প্রতিদিন লিফট ব্যবহার করে থাকেন। তবে লিফটগুলো নিম্নমানের। সরকারের গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী বলেন, ‘লিফটগুলো এতই আধুনিক যে, এগুলোতে মানুষ কিছুতেই আটকা পড়তে পারে না। বরং লো ভোল্টেজে নিজস্ব বিদ্যুতের দ্বারা এটি কাছের ফ্লোরে থামবে।’ তবে এই প্রকৌশলী বলেন, আসলে এই হাসপাতালে লিফট রক্ষণাবেক্ষণের লোক নেই। প্রাতিষ্ঠানিক টেকনিশিয়ান ছাড়াও দক্ষ লিফটম্যান চারজন থাকতে হবে। কোম্পানিকে দিয়ে সংশ্লিষ্ট লোকজনকে প্রশিক্ষণ দেয়াতে বলেছি; যদিও কর্তৃপক্ষ মোটেও আগ্রহী নয়। হাসপাতাল তত্ত্বাবধায়ক বলেন, ‘করোনাকালে তাড়াহুড়োর মধ্যে হাসপাতালে নতুন ভবন চালু হয়েছে। এ সময়ে লিফট আসে নিম্নমানের। এ নিয়ে উপরে জানানো হয়েছে।’
আমাদের প্রত্যাশা, সরকার যত দ্রুত সম্ভব এই সমস্যার স্থায়ী সমাধানের ব্যবস্থা করবে। অন্যথায় যেকোনো সময় মারাত্মক অঘটন ঘটে যেতে পারে। কর্তৃপক্ষ এর দায় এড়াতে পারবে না।

 


আরো সংবাদ



premium cement
বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের বাধাহীন প্রবেশের দাবি সম্পাদক পরিষদ ও নোয়াবের পেকুয়া উপজেলা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন বিএনপির ২ প্রার্থী নতুন কারিকুলাম বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজন ১৮৫ দিন : শিক্ষামন্ত্রী মঙ্গলবার ২ হাজার মেগাওয়াট লোডশেডিং, দুর্ভোগে মানুষ কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা বাড়ল জ্বালানি তেলের দাম, কার্যকর বুধবার বাংলাদেশ উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত হয়েছে : প্রধানমন্ত্রী ‘ইসলামী সমাজ বিপ্লব ছাড়া মানুষের মুক্তি সম্ভব নয়’ ইসরাইলে জার্মানির অস্ত্র বিক্রির ওপর নিষেধাজ্ঞা দিতে আইসিজের অস্বীকৃতি নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন শাহরাস্তি উপজেলা আ’লীগ সভাপতি গ্রীষ্মের ছুটি কি এপ্রিলে এগিয়ে আনা দরকার?

সকল