২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`

সৃষ্টিশীল শিল্পের চমৎকারিত্ব

সৃষ্টিশীল শিল্পের চমৎকারিত্ব -

আমরা যে শিল্পের কথা বলি সেই শিল্পের অন্তর্নিহিত গভীর ব্যঞ্জনার রয়েছে বৈচিত্র্যময় চরিত্র। ফলে শিল্প কখনো শিউলি ফুলের গন্ধে বনের আমোদিত হয়ে ওঠার মতো। আবার কখনো বা শরৎকালের সোনালি আলোয় ঝলমলিয়ে ওঠার অনুরূপ। কিংবা রূপহীন কালো জমাট বাঁধা ভয়ঙ্কর আকাশের সমতুল্য। যা মানুষের হৃদয়কে আকৃষ্ট করে না। এহেন বিচিত্রধর্মী শিল্প এবং শিল্পের শিল্পীকে নিয়ে রয়েছে নানা ধরনের আলোচনা। ষোলো শতকের মধ্যভাগে পাশ্চাত্য জগতে আইনগতভাবে স্বীকৃত হয়েছে যে, একজন সৃজনশীল শিল্পীর স্থান হবে সমাজের সর্বোচ্চ শিখরে। সুতরাং একজন শিল্পীর মর্যাদা কতটা গৌরবজনক তা সহজেই অনুমান করা যায়। পাশ্চাত্যেই নয় শুধু, প্রাচ্যের অনেক দেশেই শিল্পীকে শ্রদ্ধার সর্বোচ্চ আসনে বসানো হয়। যেমন নেপালে একজন শিল্পী কেমন হবেন, তার দায়িত্বই বা কেমন হবে সে বিষয়ে চমৎকার বর্ণনা রয়েছে। নেপালের জনগণ মনে করেন- শিল্পী অবশ্যই সৎ, কর্মঠ ও নিষ্ঠাবান হবেন এবং তিনি রাগ-অনুরাগের দ্বারা পরিচালিত হবেন না। শিল্পী হবেন পবিত্র মনের অধিকারী ও ধার্মিক। হবেন ধনলিপ্সাহীন ও পরোপকারী। শুধু তা-ই নয়, শিল্পীকে হতে হবে পাণ্ডিত্যপূর্ণ জ্ঞানের অধিকারী। এমন বহু দেশ আছে যেসব দেশে শিল্পীকে সমাজের গণ্যমান্য ও শীর্ষস্থানীয় সব মানুষের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ আসনটির অধিকারী মনে করা হয়। এমন একজন শিল্পী যে শিল্পকর্ম করবেন সেই শিল্পকর্ম যে সব বিষয়ে চমৎকারিত্বের দৃষ্টান্ত হবে এটি ভাবাই স্বাভাবিক। তবে এমন এক সময় ছিল যখন শিল্প, সাহিত্য এবং দর্শন সম্পর্কে সঠিক দিকনির্দেশনা দেয়ার কেউ ছিলেন না। এ সময় শিল্প, সাহিত্য ছিল প্রাণহীন। সৃজন প্রয়াসের ক্ষেত্রে বন্ধ্যাত্ব ছিল বিরাজমান। কিন্তু একসময় বন্ধ্যাত্বের অভিশাপ থেকে সৃজনপ্রয়াসী মানুষ মুক্ত হলো। পঞ্চদশ শতাব্দীর প্রারম্ভে ইউরোপে বন্ধন মুক্তির আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ল। সৃজনী শক্তির জোয়ারে অতীতের যাবতীয় সমস্যা দূরীভূত হলো। শিল্প, সাহিত্য, দর্শন, রাষ্ট্র ও সমাজ চেতনায় মানুষের যে ‘অভূতপূর্ব’ প্রেরণা আর সৃজনী শক্তির বিস্ফোরণ ঘটল তা রেনেসাঁ বা পুনর্জাগরণ নামে পরিচিত হলো। আজকের উন্নত বিশ্বের মানুষ সব বিষয়ে যে সুযোগ-সুবিধা ভোগ করছে তা রেনেসাঁরই অবদান। যাদের প্রচেষ্টায় রেনেসাঁর বিপ্লব সার্থক হয়েছিল, যাদের অবদানে শিল্প, সাহিত্য ও দর্শন চিন্তা পূর্ণতা পেয়েছিল তাদের মধ্যে মার্সিলিও ফিসিনো অন্যতম। কিন্তু বিস্ময়কর বিষয় হচ্ছে শিল্পাঙ্গনে বিচরণকারী শিল্পপ্রেমী মানুষ ফিসিনো সম্পর্কে জানে না বললেই চলে। মার্সিলিও ফিসিনো (১৪৩৩-১৪৯৯) প্রকৃতপক্ষে একজন দার্শনিক। কিন্তু চিত্রকলার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন তিনি। চিত্রকলা বিষয়ে তার মতবাদ অবিস্মরণীয়।
বিস্ময়কর বিষয় হচ্ছে ফিসিনো একজন অমুসলিম হয়েও আল্লাহর সৃষ্টি রহস্য সম্পর্কে শ্রদ্ধাশীল ছিলেন। তিনি তার দর্শনের আলোকে যে অভিমত ব্যক্ত করেছেন তার প্রথমেই রয়েছে বিশ্ব সৃষ্টি রহস্য। তিনি সৃষ্টিকর্তার সৃষ্ট অপূর্ব সুন্দর বিশ্ব এবং বিশ্বের যাবতীয় বিষয় যা প্রতিনিয়ত সুশৃঙ্খল নিয়মনীতির মধ্য দিয়ে আবর্তিত হচ্ছে তার প্রশংসা করেছেন। তিনি সুবিন্যস্ত বিশ্বকে এবং বিশ্বের আকর্ষণীয় যাবতীয় বিষয়কে সুন্দরের সাথে তুলনা করেছেন। কিন্তু পরবর্তী সময়ে তার অনুভবের সুন্দরের অনেকটাই বদলে যায়। ফিসিনোর সময় সুবিন্যস্ত বিশ্বকে এবং বিশ্বের আকর্ষণীয় যাবতীয় বিষয়কে সৌন্দর্যের সাথে তুলনা করা হতো। অর্থাৎ সৃষ্টিকর্তার সৃষ্টির সব কিছুই যে সুন্দর সেটাই বিশ্বাস করা হতো। কিন্তু পরবর্তীতে সৌন্দর্য খোঁজা হয় উপাদানের ঐক্যের মধ্যে। সৌন্দর্য খোঁজা হয় জীবনের বা আত্মার উৎকর্ষতা এবং এর ঐক্যের অভ্যন্তরে। সৌন্দর্য খোঁজা হয় দৃশ্যমান বস্তুর রঙ ও রেখার মধ্যে। সৌন্দর্য খোঁজা হয় সঙ্গীতের সুরের রিদম ও কারুকার্যের মধ্যে। আর এসব সৌন্দর্যের অনেক কিছুই অনুভব করতে হয় হৃদয়ের গভীর অনুভূতির দ্বারা। কিছু কিছু বিষয় আছে যেগুলোকে আবার বুঝতে হয় ইন্দ্রিয়ের সাহায্যে। যেমন : সঙ্গীতের সুরকে বুঝতে কানের প্রয়োজন হয়। ফিসিনোর বিবেচনায় সৌন্দর্য হচ্ছে অশরীরী। যেমন : আলো, দৃষ্টিশক্তি কিংবা শব্দ। যার কোনো আকার আকৃতি নেই। এগুলোর সাথে কানের যেমন সম্পর্ক আছে তেমনি আছে অনুভূতিরও। বাতাস প্রবাহিত হলে অনুভব করা যায়; কিন্তু বাতাসকে দেখা যায় না। বাতাস প্রবাহিত হলে প্রকৃতি চঞ্চল হয়ে ওঠে। বৃক্ষে বৃক্ষে যেন প্রাণ সঞ্চারিত হয়। ঘন বৃক্ষসমূহ আনন্দে পরস্পরকে আলিঙ্গনাবদ্ধ করে। পত্রপল্লবের শব্দ সবাইকে সচেতন করে। ক্ষেতের সবুজ সতেজ ধান কিংবা অন্য কোনো শস্যের ওপর দিয়ে যখন বাতাস প্রবাহিত হয় তখন শস্যক্ষেত্রে ঢেউ খেলে যায়। বৃক্ষসমূহের দোল খাওয়া এবং শস্যক্ষেত্রের ঢেউ সবই সুন্দর। অর্থাৎ ক্ষেতকে নয়, হৃদয়কেও আন্দোলিত করে সেই ঢেউ। কিন্তু ঢেউ সৃষ্টিকারী বাতাসকে চোখে দেখা যায় না। এমনি ধরনের অশরীরী সৌন্দর্যকেই ফিসিনো তার দর্শনে প্রাধান্য দিয়েছেন।
মার্সিলিও ফিসিনো স্রষ্টাসৃষ্ট প্রকৃতির মধ্যে সৌন্দর্যের সন্ধান করলেও পরবর্তী সময়ে সৌন্দর্যের প্রকৃতি বদলেছে নানাভাবে, নানা দার্শনিকের বিশ্লেষণের মাধ্যমে। ফলে শিল্পী সৃষ্ট শিল্পের ব্যাখ্যা হয়েছে বিচিত্রধর্মী। শিল্পীর ব্যাখ্যাও শুদ্ধ থেকে শুদ্ধতর পর্যায়ে গিয়ে সমৃদ্ধ হয়েছে। শিল্পী কাকে বলা হবে, শিল্পীর কাজ কী, সাধারণ শিল্পী, উচ্চমার্গের শিল্পী, বাস্তবধর্মী বিষয়ের শিল্পী, অ্যাবস্ট্রাকট বা বিষয়হীন বিষয়ের শিল্পী এমনি ধরনের নানা প্রসঙ্গ রয়েছে শিল্পের সাম্রাজ্যে। আমরা মাকড়সার কথা জানি। মাকড়সা অপূর্ব কৌশলে জাল বোনে। জালের বুনন কৌশল যারা লক্ষ্য করেছেন তারাই কেবল মাকড়সার শিল্পকৌশলের বিষয়টি অনুভব করতে সক্ষম হবেন। জালের কেন্দ্র থেকে ক্রমান্বয়ে সুতো দিয়ে বুনতে বুনতে জালকে বিস্তৃত করে। প্রতিটি সুতাকে শক্ত করে আটকানো এবং সাজানোতে মাকড়সার বুদ্ধিমত্তার পরিচয় পাওয়া যায়। পাখির বাসা বোনার বিষয়টিও মানুষের সৃজনশীল মনকেও আন্দোলিত করে। টুনটুনি, বাবুই, ঘুঘুসহ নানা ধরনের পাখি নানা ধরনের বাসা বানিয়ে থাকে। কোনো কোনো পাখি গাছের ডালের পাশাপাশি দুটো পাতাকে সেলাই করে তার অভ্যন্তরে খড়কুটো দিয়ে বাসা বাঁধে। বাবুই পাখি তালগাছসহ নানা ধরনের গাছের পাতার সাথে কিংবা শাখায় যেভাবে দর্শনীয় বাসা তৈরি করে তাকে শিল্পনৈপুণ্যের সাথেই কেবল তুলনা করা চলে। আর এ জন্য মাকড়সা এবং পাখিকেও এক ধরনের শিল্পী বলা হয়। এক ধরনের শিল্পের অধিকারী বলা হয়। কিন্তু তারা সীমাবদ্ধ জ্ঞানের দ্বারা সবসময় একই ধরনের কাজ করে থাকে। ফলে এদের কাজে বৈচিত্র্য লক্ষ্য করা যায় না। তাদের কাজে এক ধরনের বন্ধ্যাত্ব কাজ করে। সুতরাং বন্ধ্যাত্ব কিংবা বৈচিত্র্যহীনতা শিল্পীর শিল্পের দর্শন নয়। প্রকৃত শিল্পের দর্শন এবং সৃজনশীলতা হবে সীমাহীন। সীমার মধ্যে আবদ্ধ থাকবে না শিল্পীর সৃজন ভাবনা। আর এ কারণেই শিল্পের জগৎ হয়েছে সমৃদ্ধ। তবে সব শিল্পই যেমন সমৃদ্ধ নয় তেমনি সব শিল্পীই শিল্পীও নন। অনেক শিল্পীর কাজে মাকড়সা কিংবা পাখির জাল কিংবা বাসা বানানোর অনুরূপ নিপুণতা থাকলেও সেগুলোতে মাকড়সা এবং পাখির কাজের বন্ধ্যাত্বতা লক্ষ্য করা যায়। ফলে তাদের সীমিত জ্ঞানের অধিকারী বলে গণ্য করা হয়। আবার অনেকের কাজে ফটোগ্রাফির অনুরূপ সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম সৌন্দর্যের সন্ধান মেলে। আপাতদৃষ্টিতে প্রশংসনীয় কাজ মনে হলেও এরূপ কাজকে সৃজনশীল বলা যায় না। ফলে এ ক্ষেত্রেও মাকড়সা এবং পাখির অনুরূপ শিল্পনৈপুণ্যের বন্ধ্যাত্ব দৃশ্যমান হয়ে ওঠে।
শিল্পের ইতিহাস কিংবা তত্ত্ব বিষয়ে যারা সচেতন তারা জানেন যে, শিল্পীর কাজ সৃষ্টি করা। অনুকরণ করা নয়। তারা এটাও জানেন যে, প্রকৃতিতে দেখা কোনো বিষয়কে হুবহু চিত্রে তুলে ধরা শিল্পীর কাজ নয়। প্রকৃতিতে দেখা বিষয় শিল্পী হৃদয়ে যে আবেগ এবং অনুভূতির জন্ম দেয় সেই আবেগ এবং অনুভূতিকে প্রকাশ করাই হচ্ছে শিল্পীর কাজ। এ জন্যই বলা হয়েছে- ‘No great artist ever sees things as they really are. If he did, he would ceose to be an artist’ বলা হয়েছে- Art never expresses anything but itself. It has an independent life, just as thought has, and develops purely on its own lines’ (Melvin Rader, A Modern Book of Esthetics, Fifth Edition, Holt, Rinehart, and Winston, New York, Chicago, Dallas, 1903, P. 30)।
শিল্প, শিল্পের সৌন্দর্য, শিল্পের কর্ম ইত্যাকার বিষয় নিয়ে যত কথা আছে তার সামান্যতমও এই ক্ষুদ্র প্রবন্ধে প্রকাশ করা সম্ভব নয়। যেমন শিল্প কী? এ বিষয়েই রয়েছে নানাজনের নানা মত। যার সব কথা বলা সম্ভব নয়। তবে সংক্ষেপে বলা যায় যে, শিল্প হচ্ছে ভাষার অবয়ব কিংবা বলা যায় ভাষার প্রতিমূর্তি। এই অবয়ব কিংবা প্রতিমূর্তি মানবতা এবং সভ্যতার সংরক্ষণ ও পরিপুষ্টিকরণের জন্য আবশ্যক। কেউ বা বলেছেন, শিল্প হচ্ছে যোগাযোগ স্থাপনের মূল কর্ম। এই যোগাযোগ মানুষের সাথে মানুষের, সমাজের সাথে সমাজের, সভ্যতার সাথে সভ্যতার। যার মাধ্যমে অভিজ্ঞতা এবং উন্নয়নের বিষয়ে মতবিনিময় করা যায়। এও বলা হয়েছে যে, শিল্প অভিজ্ঞতার গুণকীর্তন করতে সক্ষম যা শব্দের দ্বারা সম্ভব নয়। গুণকীর্তন করতে সক্ষম এই শিল্প হচ্ছে অপ্রকাশিত রহস্যময় জীবনের প্রকাশ, ইত্যাদি। শিল্প সম্পর্কে এ অভিমতগুলোর ব্যাখ্যার ব্যাপ্তি বিশাল। বিস্তৃত অনুভবের ক্ষেত্রগুলোও।
বিচেতন হৃদয় কিংবা তত্ত্বজ্ঞানহীন মানসিকতা যার সন্ধান কখনোই পায় না। শিল্প বিচালির অনুরূপ নয় যে, মুহূর্তেই ঝড়ো বাতাসে উধাও হয়ে যাবে। কিংবা চিঠি বা পত্রের মতোও নয় যে বার্তা পাঠের পর সেই চিঠি ফেলে দিবে। চিঠির কদর ফুরাবে। পত্র পাঠের পর পত্রের গুরুত্ব থাকে না বলে টুকরো টুকরো করে ফেলে দেয়। কিন্তু শিল্পকর্ম এমন নয়। তবে শিল্পে চিঠির মতো বার্তা থাকলে কিংবা ইতিহাসের তথ্য থাকলে তা পাঠ করলেই কদর কমবে। প্রয়োজন ফুরাবে। কর্ম বা আকার আকৃতি, পরিমাপ, আয়তন, অনুপাত, আবেগ, অনুভূতি, মেজাজ, মাধুর্য, সাম্য কিংবা অনুরূপতা সবই থাকবে শিল্পে, কিন্তু সে শিল্প প্রয়োজন মেটাবে না। প্রয়োজন মেটালে সেটি আর শিল্প থাকে না। অশিল্প কিংবা অপ্রধান শিল্পে পরিণত হয়। যে শিল্প যত বেশি প্রয়োজন মেটায়, যত বেশি অন্যের তথ্য উপস্থাপন করে সে শিল্প তত বেশি শিল্পের মর্যাদা হারায়। যেমন পোস্টার কিংবা ইলাস্ট্রেশনের কথা বলা যায়। পোস্টার এবং ইলাস্ট্রেশন নিজের কথা বলে না। বলে অন্যের কথা। কোথায় কি হবে কিংবা হচ্ছে, কোথায় কোন গল্পে কি ঘটেছে সে সমস্ত কথাই বলে পোস্টার এবং ইলাস্ট্রেশন। ফলে সংবাদগুলো পাঠ করা হয়ে গেলে এগুলোর আর কোনো গুরুত্ব কিংবা মূল্য থাকে না।
ফ্রান্সিস বেকন এ জন্যই বলেছেন যে, Art is a method of opening up areas of feeling rather than merely an illustration of an object.
সুতরাং এসব গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সম্পর্কে একজন শিল্পীকে সদা সতর্ক থেকেই শিল্প নির্মাণ করতে হয়। এ বিষয়ে যিনি যত বেশি সতর্ক, যত বেশি অভিজ্ঞ তিনি তত বেশি সফল শিল্পী। তত বেশি সার্থক শিল্পী। তবে এই বোধ সবার মাঝে সমভাবে কাজ করে না।
ফলে আমরা পাই বিচিত্রধর্মের শিল্প। পাই উচ্চ মার্গের কিংবা নিম্ন মার্গের শিল্প। শিল্পীর স্থানও সেভাবেই নির্ণীত হয়।


আরো সংবাদ



premium cement