০৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`


তাইরান : সাহিত্যাকাশের নতুন পাখি

-

তাইরান তার ডানা ঝাপটাতেই টের পেলাম দৃপ্ত আগমন। লিটলম্যাগ যে যে বৈশিষ্ট্য নিয়ে জন্মায়, তাইরান ঠিক তেমনি আবার তেমনটা না’ও। না’ বলছি এ কারণে, তাইরান তার গায়ে সাহিত্যের কোনো কোনো জরোয়া জড়িয়েছে সে প্রশ্ন না তোলার আগে কোনো কোনোটা জড়ায়নি সে প্রশ্ন তোলা জরুরি। প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গেলেই বুঝা যায় সম্পাদকের প্রস্তুতি কতটা দীর্ঘ ছিল! আর কতটা পরিশ্রম ছিল পুরো তাইরান পরিবারের।
এখানে প্রবন্ধ, সাক্ষাৎকার, ইতিহাস, গল্প, কাব্যনাটক, কবিতা, অনুবাদ, মুক্তগদ্য, ভ্রমণকাহিনী, নাট্যচিন্তা, ছড়া, গ্রন্থালোচনা, পত্রসাহিত্য, পুনর্পাঠ কী নেই! আর কী লাগে সাহিত্যের একটা ছোট কাগজের সত্যিকারের সাহিত্যকাগজ হয়ে উঠতে! একজন পাঠক হিসেবে তাইরান-এ আমি কিন্তু মুগ্ধ। আনকোরা এক পাঠক হিসেবে তাইরান সূচনা সংখ্যার আদ্যোপান্ত তুলে ধরলাম আমার নিজস্ব বয়ানে-
পাঁচ প্রবন্ধের মধ্যে মুজতাহিদ ফারুকীর কবিতা নিয়ে চকিত ভাবনা চকিতেই যেন শেষ হয়ে গেল! পাঠককে চিন্তার ঘোরে ফেলে কিঞ্চিৎ বয়ানে বাকি দায়িত্ব যেন পাঠকের চিন্তার দুয়ারে ঠেলে দিলেন এই প্রাবন্ধিক। কাজটি লেখক মন্দ করেননি একদমই। কবিতার আনকোরা পাঠক হিসেবে কবিতাবিষয়ক অধিকাংশ ভাবনার সাথেই সহমত জানাতে আপত্তি নেই আমার। তবে লেখাটি আর কিছুটা লম্বা হলে তৃপ্তির চূড়া ছুঁতে সহজ হতো পাঠকের। আব্দুল মান্নান ফকিরের লেখাটি কাঙাল হরিনাথ মজুমদারের-ওপর। কাঙাল হরিনাথ মজুমদারের কর্ম-জীবন সম্পর্কে প্রাথমিক ধারণা পেতে লেখাটি পাঠকের জন্য সহায়ক বটে তবে প্রবন্ধের গঠন শব্দের প্রয়োগ ও বাক্য বিন্যাসে পাঠক হিসেবে আমার প্রত্যাশা আরো একটু বেশি ছিল। মুস্তাফিজ শিহাব ও আতিক হেলালের লেখা দুটি সুখপাঠ্য ছিল। সৈকত দে’র লেখাটিও মন্দ লাগেনি। প্রবন্ধ বিভাগে লিটলম্যাগ তাইরানের কাছে আগামী সংখ্যায় সাহিত্যবিষয়ক লেখার আধিক্য কামনা করছি।
সাক্ষাৎকার পর্বে আশরাফুন্নেছা দুলুর সাথে তাইরান সম্পাদকের কথপোকথন আমাদের শিশুসাহিত্য ও এর গতি প্রকৃতি সম্পর্কে লেখকের নিজস্ব ভাবনা জানা গেল। সাক্ষাৎকারের অধিকাংশ জায়গাজুড়ে লেখকের ব্যক্তি ও পারিবারিক জীবন উঠে এসেছে। এখানে ব্যক্তি আশরাফুন্নেছা দুলুকে যতটা পেলাম সাহিত্যিক আশরাফুন্নেছা দুলুকে সেভাবে পাইনি। হতে পারে ম্যাগের কলেবর ভাবনায় এমনটা করা হয়েছে।
ইতিহাস পর্বে আনোয়ার হোসেইন মঞ্জু ও এমদাদুল হক চৌধুরীর লেখা দু’টি অসম্ভব ভালো লেগেছে। তথ্যবহুল এ লেখা দু’টি লিটল ম্যাগাজিন তাইরানের শ্রীবৃদ্ধিতে অসামান্য ভূমিকা রেখেছে বলা যায়। লেখকদ্বয়কে সশ্রদ্ধ অভিবাদন।
দশটি গল্প একটা লিটলম্যাগে! কিছুটা বাড়তি পাওয়া অবশ্যই সাথে কিছুটা অবাক হওয়ার মতোই বটে। জাকির তালুকদারের গল্পের শিরোনাম যেমনি হোক। গল্প, গল্প হয়ে ওঠতে যা দরকার তার কমতি নেই লেখাটিতে। দারিদ্র্যক্লিষ্ট এই জনপদের বনি আদমের সামান্য সুখের আঁচল ধরতে নিজের আঁচল ছেড়ে দেয়া উঠতি তরুণী থেকে মধ্যবয়সী নারীর আকাশে উড়াল এরপর অন্ধকারে বিলীন হওয়ার রেখাচিত্র এ গল্প। ফিরোজ আহমদ, শুভ্র সরকার আ. ন. ম আইনুল্লাহ পারভেজ ও মোস্তফা অভি'র গল্পগুলো অনন্য অসাধারণ লেগেছে। লেখক যে কত চমৎকার গল্প করতে পারেন তার ছাপ কিন্তু ‘সুলক্ষণা’, ‘জোসনার ধারণা’, ‘একাত্তরের অসমাপ্ত গল্প’ ও ‘ওরে ভোঁদড় ফিরে চা’র পরতে পরতে। এসব গল্প সাদামাটা ধারা বর্ণনার বাইরে। দারুণ সব রূপক ও চিত্রকল্পের ব্যবহার গল্পগুলোকে করেছে অনন্য। যা পাঠককে পাঠের ক্লান্তি ভুলিয়ে পরের লাইনে টেনে নিতে শক্তি জোগায়। অসম্ভব ভালো এই গল্পগুলোর জন্য প্রত্যেক গল্পকার সাধুবাদ পেতেই পারেন। ডাক্তার, প্রফেসর, ইঞ্জিনিয়ারদের নামের পাশে আ. ম. স. কিংবা এ. জেড. এম. মানানসই ঠেকলেও লেখকের নামের সাথে এসব অক্ষর আমার এলার্জি বাড়ায়। যেমনটি বেড়েছে আইনুল্লাহ পারভেজের নামের কারণে। লেখক তার নামটি নিয়ে নতুন করে ভাবতে পারেন। মধ্যবিত্তের যাপিত জীবনের নিরেট টানাপড়েন রঞ্জিত চৌবে'র গল্প ‘প্রতিশ্রুতি’। ঝরঝরে সরল বয়ানে লেখা গল্প। আর ফারাহ আজাদ দোলনের গল্পটিও ভালো। ঘটনাপ্রবাহ সামান্য হলেও ছোট গল্পের মেজাজ হারায়নি। একটানে পড়ে ফেলা যায়। গল্প দু’টি মন্দ লাগার মতো কোনো কারণ নেই। মুস্তফা কামাল আক্তারের গল্প বেয়ারিং চিঠি গল্পটি ভালো। তবে বেয়ারিং চিঠির বয়ানে আঞ্চলিক শব্দ ও বাক্যের ব্যবহার কিছুটা বেখাপ্পা ঠেকেছে আমার কাছে। চিঠির ভাষাটা কথ্য হলে খানিকটা ভারসাম্যপূর্ণ হতো বলেই আমার মত। শত্রুর মিত্তিরের গল্পের বয়ান কিছুটা বিক্ষিপ্ত বিচ্ছিন্ন ধারাপাত। তার গল্পে কিছু কল্পচিত্র বেশ আশাজাগানিয়া। আর শিল্পী নাজনীনের গল্প কিছুটা সাদামাটা চলনসই বটে। তার হাত দিয়ে আরো পাঠমুগ্ধ গল্প তৈরি হবে এটা আশা করাই যায়।
নজরুল মোহাম্মদের কাব্যনাটক ‘চুড়িভাঙা দাগ’ আমার পাঠক মনে গভীর দাগ কাটতে না পারলেও মন্দ লেগেছে বলব না। কাব্যে ব্যবহৃত পুরনো শব্দে কিছুটা ধাক্কা খেলাম। শব্দ পুরনো হয় না কিন্তু শব্দের প্রয়োগ কখনো কখনো পুরনো লাগে। এই লাগাটা যত কম ততই গীতল লাগে কাব্যের বয়ান। অথবা হতে পারে এ আমার পাঠের দৈন্যতা।
রহমান হেনরীর কবিতায় পেলাম কবিতার স্বাদ। আধুনিক কবিতার নির্মাণ কেমন হয় এর একটা চমৎকার অবয়ব রহমান হেনরির কবিতা দু’টিতে সমুজ্জ্বল। কবি ও কবিতা স্বপ্নের পথ ধরে নিয়ে চলে সাফল্য মোড়ানো আলোর ঠিকানায়।
শর্ত হচ্ছে কবি যদি তার কাজটি করেন তবেই না জাতির সামনে স্বপ্ন এসে দাঁড়ায়। কবির কাজ দ্রোহের আগুনে পুড়ে কোমলের মিশেলে স্বপ্ন হাজির করা। আফসার নিজাম তার দীর্ঘ কবিতায় ঐতিহ্যের আঁচল ধরে স্বপ্নকে হাজির করেছেন তার ‘দীর্ঘ জীবনের বয়ান’ কবিতায়। কবিতাটি দীর্ঘ কিন্তু পড়তে গেলে ক্লান্তি আসে না। আসে না থেমে যাওয়ার অভিপ্রায়। আরো যাদের কবিতা ভালো লেগেছে তাইরান সূচনা সংখ্যায়- সালেহ রনক, ফরিদ ভূঁইয়া, পলিয়ার ওয়াহিদ, বিপ্লব সাইফুল, ফারহানা রহমান, মারিয়াম জামিলা শাপলা, ঋতুবৃতা, চন্দ্রশিলা ছন্দা, সরদার আব্বাস উদ্দিন প্রমুখ।
মুক্তগদ্য পর্বে আমার একটি লেখার পাশাপাশি যুক্ত হয়েছে জাহানারা ইয়াসমীনের ‘ক্যাটারপিলার’। লেখাটির কলেবর ছোট হলেও আবেদন বিশাল বলবো। লেখাটিতে আলো আঁধারি কাব্যিক একটা ভাব আছে বটে। লেখকের বর্ণনা পদ্ধতি আমার ভালো লেগেছে। দেওয়ান রহমানের গদ্যটি সময়ের জরুরি বয়ান। আজকের তরুণ সমাজ স্বপ্নবিমুখ একটা ভিসুভিয়াস। তাদের আবেগের মাত্রা ওঠা-নামা রক্ত সঞ্চালনার চেয়েও দ্রুত। এই দ্রুততা অনেক ক্ষেত্রেই ইতিবাচক নয়। যে কারণে হতাশায় জীবনকে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করা। নিজেকে মূল্যহীন ভাবা একটা যৌক্তিক (?) ট্র্যাডিশন হয়ে গেছে। এই ট্র্যাডিশন তাদের জীবন থেকে পালিয়ে বেড়াতে উৎসাহ জোগাচ্ছে আশঙ্কাজনক হারে। ঘটছে আত্মহত্যার মতো মহাপাপ। লেখাটির শিরোনাম দেখে লেখাটিতে আত্মহত্যাবিষয়ক দেশী-বিদেশী স্ট্যাটাস্টিক্স আশা করেছিলাম। না পেয়ে সামান্য হতাশ তো বটেই।
ভ্রমণ কাহিনীতে এসে ক্লান্তিহীন ভ্রণের স্বাদ পেলাম শাহাব আহমেদের চোখ দিয়ে কানাডা দেখে। লেখাটি ঝরঝরে সাবলীল এবং গীতল। মা ভাল্লুক ও তার দুই বাচ্চার বর্ণনাটি পরপর দুবার পড়তে হলো। মনে হলো তাইরান সম্পাদক এখানটায় তন্দ্রাঘোরে তার সম্পাদনার কাঁচিটি ক্ষণকালের জন্য ড্রয়ারে ফেলে রেখে ছিলেন। জামিল জাহাঙ্গীরের লেখা অপারেশন শীতলক্ষ্যা পড়ে চিরচেনা শীতলক্ষ্যার করুণ চেহারা চোখের সামনে আরেকবার কেঁদে উঠল। আমি নিজে শীতলক্ষ্যার পাড়ে বেড়ে ওঠা এক দুর্ভাগা মানুষ। আমার কিশোরকাল কেটেছে শীতলক্ষ্যার আদরে। গল্পের ছলে একটা অ্যাডভেঞ্চারাজ মেজাজ লেখাটি পাঠের গতি বাড়িয়েছে পাঠকের। আব্দুর রহমানের নদীবক্ষে ইলিশের বাড়িও মন্দ লাগেনি।
যে কোনো ভাষার অনুবাদ পড়তে গেলে আমার খটকা লাগে। এক ভাষার শব্দ কিংবা বাক্য অন্য ভাষায় ট্রান্সলেট করতে গেলেই কিন্তু মেজাজ হারায়। ভাবার্থ পালটে যাওয়ার মতো দুর্ঘটনা ঘটারও চান্স থাকে। এজন্য অনুবাদ সাহিত্য পড়তে গেলে আমার ভয় লাগে। আমি সঠিক রাস্তা পেলাম তো! না কী অনুবাদক তার নিজস্ব চিন্তার বাহুল্য দ্বারা ভিন্ন দিকে নিয়ে যাচ্ছে আমাকে! হয়তো এ আমার উর্বর মস্তিষ্কের বাড়াবাড়ি দুর্ভাবনা। বাড়াবাড়ি হোক আর যাই হোক অনুবাদ সাহিত্যের প্রতি আমার এ খটকা, ভয় আর সন্দেহ সানন্দে লালন করতে আমি কিন্তু দ্বিধান্বিত নই। আনিসুর রহমান অপুর রুবাইয়াত পড়তে ভালো লাগলেও খটকা থেকে কিন্তু আমার মুক্তি মিলল না। প্রথিতযশা লেখক হলে যতটা না, উদীয়মান তরুণ লেখকের ওপর সন্দেহের মাত্রাটা একটু বেশি আর কী। লেখকের প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় আমার খটকা বাতিকের জন্য দুঃখ প্রকাশ করছি।
ছড়া পর্বে কবি ও ছড়াশিল্পী রেদওয়ানুল হকের ছড়ায় ছড়ার মেজাজ পেলাম। ছড়াগুলো অসম্ভব সুন্দর। উপস্থাপনেও আছে নিজস্ব চিন্তা ও বিন্যাসের খেয়াল। ছড়াগুলোতে যাপিত জীবন ও অসুস্থ সময়ের অনুচ্চ বয়ান বিবৃত হয়েছে সাহস ও সততায়। হারুন আল রাশিদের দীর্ঘ ছড়াটিও বেশ লেগেছে। শুরু থেকে শেষ ক্লান্তিহীন পড়ে ফেলা যায় ছড়াটি। তবে রেবেকা ইসলাম, হুসাইন আল জাওয়াদ ও ওয়াজ কুরুনী সিদ্দিকীর কাছে পাঠক হিসেবে আমার প্রত্যাশা আরেকটু বেশি ছিল।
গ্রন্থালোচনায় মরিয়াম মুন্নির আলোচনা-আমাদের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের রুবাইয়াত-ই-ওমর খৈয়াম ও প্রিয়াঙ্কা বিশ্বাসের আলোচনা-অদ্বৈত মল্লবর্মণের তিতাস একটি নদীর নাম ভালো ছিল।
আধুনিক সভ্যতায় ডিজিটাল প্লাটফর্ম, কমিউনিকেশন ডিভাইস, বারোয়ারী সোস্যাল সাইট আর লৌকিক বায়বীয় কৃত্রিম হাই হ্যালো যেন নিখাদ নিরেট ঢেলে দেয়া আবেগীয় মাধ্যম পত্রালাপকে গুম করে ফেলেছে। সেই গুমকৃত মাধ্যমকে সামনে টেনে আনায় তাইরান সম্পাদক ও পুরো সম্পাদকীয় পরিষদ সাধুবাদ পেতে পারে। বিশেষ করে তাসনীম মাহমুদ-এর চিঠিতে যে কাব্যময়তা! চিঠি নয় যেন এক ঝলমলে কবিতা! এক কথায় অসাধারণ ছিল চিঠির ভাষা। চিঠি এমনি এক ভণ্ডামিহীন কোমল প্লাটফর্ম, এখানে লিখিত প্রতিটি বয়ান যেন সততার মোড়কে এক একটা কথা সাহিত্য কিংবা কাব্যমালা।
সুকুমার রায়-এর ভাষার অত্যাচার পুনর্পাঠের সুযোগ হলো তাইরানের কৃপায়। লেখাটি পড়েছি বহু বছর আগে। আজো পড়লাম। পড়ে মনে হলো আজো লেখাটি পড়ার আবেদন ফুরিয়ে যায়নি। এমন অনেক কালজয়ী লেখা আমাদের বাংলাসাহিত্যে জমে আছে। যা বারবার পড়ারই প্রাসঙ্গিক বিষয়।
মেকআপ, গেটআপ, সাইজ, প্রচ্ছদ বাঁধাই সব কিছু মিলিয়ে তাইরান এক অনন্য আয়োজন। যতœ, ভালোবাসা আর রুচিবোধ কতটা উচ্চমানের তাইরান নেড়েচেড়ে দেখা ও এর ভেতরটা ভ্রমণ ব্যতীত আন্দাজ করা মুশকিল। কাজ করতে গেলে ভুল হবে এটা স্বাভাবিক। ভালো আরো ভালো হোক এই প্রত্যাশাও অনস্বীকার্য। ফরিদী নুমানের প্রচ্ছদ আর আফসার নিজামের নামলিপি লিটলম্যাগ তাইরানকে আলাদা মাত্রা দিয়েছে।
তাইরান এখনো নাবালক। সে তার নিজের ডানায় সাহসে উড়তে শুরু করেছে। ডানা যখন মেলেই দিয়েছে আকাশ তো ছুঁতেই হবে তাকে। আকাশ ছুঁতে যে পারিপার্শ্বিক সহায়তা, নিশ্চয় প্রত্যাশা থাকবে তাইরান তা উদারচিত্তে পাবে তার শুভানুধ্যায়ীর কাছে। সূচনা সংখ্যার পাঠকপ্রিয়তা কামনা করি। তার সাথে তাইরানের আগামী সংখ্যা হবে আরো পরিশীলিত সুন্দর সে প্রত্যাশাও রাখি।


আরো সংবাদ



premium cement