০১ মে ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১, ২১ শাওয়াল ১৪৪৫
`


সেতু আছে সড়ক নেই

বিপাকে ১৩ গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ
সেতু আছে সড়ক নেই - ছবি - নয়া দিগন্ত

ফরিদপুরের সালথা উপজেলার ভাওয়াল ইউনিয়নের তুগলদিয়া বেদাখালী খালের উপর ৩০ লাখ ৭৭ হাজার টাকা ব্যয়ে একটি ব্রিজ নির্মাণ করা হয়েছিল তিন বছর আগেই। একই সময়ে শিহিপুর গ্রামেও একই পরিমাণ ব্যয়ে নির্মাণ করা হয়েছিল আরেকটি ব্রিজ। কিন্তু নির্মাণের পর এতোদিন পেরিয়ে গেলেও ব্রিজ দু'টি কাজে আসছে না। কারণ ব্রিজ নির্মাণ হলেও নির্মাণ হয়নি সংযোগ সড়ক। আর ব্রিজের সাথে সংযুক্ত চলাচলের সড়কগুলোও কাচা। শিহিপুরের ব্রিজটি নির্মাণ করা হয়েছে ফসলী জমির মাঠের মধ্যে। চলতি বর্ষায় বৃষ্টির পানিতে ব্রিজের আশেপাশের এলাকা তলিয়ে গেছে। চলাচলের ব্যবহার না হওয়ায় সরজমিনে এসব ব্রিজের উপর পাটখড়ি শুকাতে দেখা গেছে। বিকেলে গ্রামবাসী সেখানে আড্ডা দেয়।

জানা গেছে, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের সেতু ও কালভার্ট নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় ২০১৮-১৮ অর্থবছরে ব্রিজ দু'টি নির্মিত হয়। এর মধ্যে বেদাখালী খালের উপর সেতুটির ফলকে নির্মাণ ব্যয় লেখা রয়েছে ৩০ লাখ ৭৭ হাজার টাকা। তবে শিহিপুরে ফসলী মাঠের উপর নির্মিত ব্রিজের নির্মাণ ব্যয় জানা যায়নি। কারণ সেখানে কোন নাম ফলক পাওয়া যায়নি। স্থানীয় এলজিইডি অফিসও জানাতে পারেনি এ তথ্য। তারা বলছে, শিহিপুর ব্রিজের ফাইলই খুঁজে পাচ্ছেন না তারা।

ভাওয়াল ইউনিয়নের বেদাখালি ব্রিজটি সেখানকার ইউসুফদিয়া, আত্মপুরা, বারখাদিয়া, তুগোলদিয়া, নওপাড়া এবং মাঝারদিয়া ইউনিয়নের কুমারপট্টি ও মাঝারদিয়া গ্রামবাসীর এবং শিহিপুরের ব্রিজটি ভাওয়াল ইউনিয়নের ফুলতলা, কাঠালবাড়ীয়া, পুরুরা, মিরাকান্দা, কামদিয়া ও সালথা গ্রামবাসীর চলাচলের একমাত্র ভরসা। এই ১৩ গ্রামের মানুষের যাতায়াত ও পণ্য আনা নেয়াও এই পথে।

স্থানীয়রা জানান, ব্রিজ নির্মাণের পর বলা হয়েছিল দ্রুতই সংযোগ সড়ক হবে। রাস্তাও পাঁকা হবে। ইউসুফ শেখ নামে স্থানীয় একজন বাসিন্দা বলেন, শুকনার সময় জিজ্ঞেস করলে তারা বলে কিছু দিনের মধ্যে কাজ শুরু হবে। আর বর্ষাকালে বলে শুকনো মৌসুম না এলে কাজ শুরু হবেনা।

সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের এমন টালবাহানায় বিপাকে সাধারণ মানুষ। ব্রিজ থাকার পরেও চলতি বর্ষা মৌসুমে তাদের চলাচলের একমাত্র ভরসা এখন নৌকা। এতে বিপাকে পরেছেন ওই ১৩ গ্রামের কয়েক হাজার অধিবাসী।

এ বিষয়ে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) পরিতোষ বাড়ৈই বলেন, ব্রিজের দুইপাশে সংযোগ সড়ক নির্মাণে চেয়ারম্যান প্রকল্প গ্রহণ করেছেন। ক্ষেতের পাট বড় হয়ে গেছে এজন্য প্রকল্পে কাজ শুরু করতে পারছেন না।

ভাওয়াল ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ফারুকুজ্জামান ফকির মিয়া বলেন, বর্তমানে রাস্তার মাটি কাটার ব্যবস্থা নাই। শুকনো মৌসুম এলে মাটি কেটে রাস্তা বানিয়ে দেবো। এজন্য সাড়ে ৪ লাখ টাকার প্রকল্প পাশ হয়েছে।


আরো সংবাদ



premium cement
দুদকের প্রথম নারী মহাপরিচালক শিরীন দেশের উন্নয়ন-অগ্রগতিতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ : পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেকর্ড বিদ্যুৎ উৎপাদন, তারপরও লোডশেডিং বড় চমক ছাড়াই প্রস্তুত বাংলাদেশের বিশ্বকাপ দল দোয়ারাবাজারে কলেজছাত্রীকে ধর্ষণ করে হত্যা, আটক ১ বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের বাধাহীন প্রবেশের দাবি সম্পাদক পরিষদ ও নোয়াবের পেকুয়া উপজেলা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন বিএনপির ২ প্রার্থী নতুন কারিকুলাম বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজন ১৮৫ দিন : শিক্ষামন্ত্রী মঙ্গলবার ২ হাজার মেগাওয়াট লোডশেডিং, দুর্ভোগে মানুষ কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা আবাহনীর ২২তম শিরোপা

সকল