০১ মে ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১, ২১ শাওয়াল ১৪৪৫
`


এরশাদের কন্যার বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা

হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ ও অনন্যা হুসেইন মৌসুমী -

নারায়ণগঞ্জে প্রথম ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়েছে সোনারগাঁও থানায়। জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের পালিত কন্যা ও জাতীয় মহিলা পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক অনন্যা হুসেইন মৌসুমীর বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলাটি দায়ের করা হয়।

আজ মঙ্গলবার সকালে মামলাটি দায়ের করেছেন নারায়ণগঞ্জ-৩ (সোনারগাঁও) আসনের জাতীয় পার্টির বর্তমান সংসদ সদস্য লিয়াকত হোসেন খোকার অনুগামী উপজেলা ছাত্রসমাজের সভাপতি ফজলুল হক। মৌসুমীর ফেসবুকে বেশ কয়েকটি স্ট্যাটাস দেয়াকে কেন্দ্র করে সোনারগাঁও থানায় এ মামলাটি দায়ের করা হয়।

মামলার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন সোনারগাঁও থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) সেলিম মিয়া।

মামলায় বাদী উল্লেখ করেন, কিছুদিন যাবত অনন্যা হুসেইন মৌসুমী তার ফেসবুকে জাতীয় পার্টির মহাসচিব রুহুল আমিন হাওলাদারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরনের মিথ্যা বানোয়াট তথ্য প্রচার করে মানহানি করছেন। তার ধারাবাহিকতায় গত ৬ নভেম্বর মৌসুমী লিখেন, ‘আমার এলাকায় যারা রাজনীতি করে নিজেদের হাডানে রাজনীতি না করার কারণে, খাল কেটে কুমির এনেছে, এখন সেই কুমিরকে খাবার দিতে দিতে নিজেরা খাবার হয়ে গেছে।’ একই দিন লিখেন, জাতীয় পার্টির ৪-৫ জন নির্বাচনে বাণিজ্য ভালোই করছেন। একজন মোটা হচ্ছে পয়সা পেয়ে, অন্যজন দিয়ে বোকা হচ্ছে।’

এছাড়াও ১৪ নভেম্বর মৌসুমী লিখেন, ‘বারবার এই দালালগুলোই কখনও আওয়ামী লীগ, কখনও বিএনপির পা চাটা কুত্তা হয়ে সত্যিকার এরশাদ প্রেমিকদের সরিয়ে দিয়ে জাতীয় পার্টিকে আজকে বিলুপ্তির দিকে নিয়ে গেছে।’

১৭ নভেম্বর লিখেন, ‘আসলে জাতীয় পার্টির ত্যাগী আর তৃণমূল নেতারা পয়সার কাছে হেরে যাবে শুধুমাত্র মহাসচিবের ভুল সিলেকশনের কারণে। মহাসচিব যদি তার লোভ আর একক চালাকি বন্ধ না করে তবে আমরাও ওনাকে ক্ষমা করব না। উনার দালাল গ্রুপ দিয়ে স্যারকে যা বুঝায় স্যার তাই বুঝেন। স্যার ইমোশনাল। এবার একটা কিছু করতে হবে।’

এসব লেখায় জাতীয় পার্টির মানহানি, দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও আইন-শৃঙ্খলার অবনতি হতে পারে বলে বাদি দাবি করেন।

এদিকে জানা গেছে, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে এখানে নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন পান উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন ও জাতীয় পার্টি থেকে মনোনয়ন পান বর্তমান এমপি লিয়াকত হোসেন খোকা। ওই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ তার মহাজোটের শরীক দল জাতীয় পার্টিকে এ আসনটি ছেড়ে দিলে এখানে মোশারফ হোসেন তার মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেন এবং বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জাতীয় পার্টির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব লিয়াকত হোসেন খোকা এমপি নির্বাচিত হন। এর আগে এখানে অপরিচিতই ছিলেন এমপি খোকা।

এক সময় এখানকার জাতীয়পার্টির হাল ধরেছিলেন মৌসুমী। বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে ঘুরে বাড়ি বাড়ি গিয়ে জাতীয় পার্টির নেতাকর্মী সংগ্রহ ও কমিটি গঠন করেছিলেন। কিন্তু ৫ জানুয়ারির সেই নির্বাচনে তিনি মনোনয়ন পাননি। এমনকি সাড়ে ৪ বছর তিনি সোনারগাঁওয়ে রাজনীতিও করতে পারেননি।

এর আগে এখানে লিয়াকত হোসেন খোকা রাজনীতিতে ছিলেন না। ওই সময় সোনারগাঁও উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি ছিলেন মৌসুমী। নির্বাচনের কয়েক মাসের মাথায় উপজেলা জাতীয় পার্টির অফিসে হামলার শিকার হন মৌসুমী। ওই সময় তিনি থানায় অভিযোগ দিলেও মামলা গ্রহণ করা হয়নি।

পরে তিনি কেন্দ্রীয় জাতীয় পার্টির রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হন। গত ৭ সেপ্টেম্বর তিনি সোনারগাঁওয়ে নির্বাচনী মাঠে নামেন। তিনি দাবি করেছিলেন, এরশাদ তাকে সবুজ সংকেত দিয়ে জাতীয় পার্টির পক্ষে কাজ করার নির্দেশনা দিয়ে মাঠে নামিয়েছেন। এ আসন থেকে লাঙ্গল প্রতীকে মৌসুমী ও এমপি খোকা মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।

এ বিষয়ে মৌসুমী বলেন, মহাসচিবের নির্দেশনায় আমার বিরুদ্ধে এ মামলা করা হয়েছে। আমাকে ঘায়েল করে নির্বাচন থেকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য এ মামলা করা হয়।


আরো সংবাদ



premium cement
দুদকের প্রথম নারী মহাপরিচালক শিরীন দেশের উন্নয়ন-অগ্রগতিতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ : পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেকর্ড বিদ্যুৎ উৎপাদন, তারপরও লোডশেডিং বড় চমক ছাড়াই প্রস্তুত বাংলাদেশের বিশ্বকাপ দল দোয়ারাবাজারে কলেজছাত্রীকে ধর্ষণ করে হত্যা, আটক ১ বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের বাধাহীন প্রবেশের দাবি সম্পাদক পরিষদ ও নোয়াবের পেকুয়া উপজেলা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন বিএনপির ২ প্রার্থী নতুন কারিকুলাম বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজন ১৮৫ দিন : শিক্ষামন্ত্রী মঙ্গলবার ২ হাজার মেগাওয়াট লোডশেডিং, দুর্ভোগে মানুষ কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা আবাহনীর ২২তম শিরোপা

সকল