২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`

কুশিয়ার ইবনে লাব্বান

-

আজ তোমরা জানবে কুশিয়ার ইবনে লাব্বান সম্পর্কে। তিনি অঙ্ক, ভূগোল ও জ্যোতির্বিজ্ঞানে বিশ^সভ্যতায় অবদান রাখেন।
লিখেছেন লোপাশ্রী আকন্দ
কুশিয়ার ইবনে লাব্বান ইসলামী সোনালি যুগের বিশিষ্ট মনীষী। এই মনীষী কুশিয়ার গিলানি নামেও পরিচিত। তিনি অঙ্কশাস্ত্রবিদ, ভূগোলবিদ ও জ্যোতির্বিজ্ঞানী হিসেবে খ্যাতিমান।
কুশিয়ার ইবনে লাব্বান ত্রিকোণমিতি, জ্যোতির্বিজ্ঞান ও জ্যোতিষশাস্ত্র নিয়ে আলোচনা করেন। এ বিষয়গুলোর মধ্যে ত্রিকোণমিতিতেই তিনি বেশি দক্ষ বলে প্রমাণ পাওয়া যায়। তিনি আবুল ওয়াফার ত্রিকোণমিতি অনুসরণ করে এর আরো উৎকর্ষ সাধনে মনোনিবেশ করেন। এতে তিনি সফল হন। জ্যোতির্বিজ্ঞানের পর্যবেক্ষণের ফলাফলের ভিত্তিতে তিনি ‘আজ-জিজ আজ-জামি ওয়াল বালিগ’ নামে একটি তালিকা প্রস্তুত করেন। তার মাতৃভাষা ফারসি হলে কি হবে, তিনি জ্ঞানচর্চা করেন আরবি ভাষায়। তার জিজ বা তালিকা লেখেন আরবি ভাষায়। পরে এটি ফারসি ভাষায় অনুবাদ করা হয়। অধ্যাপক ইডিলার আংশিকভাবে এটি অনুবাদ করেন জার্মান ভাষায়। জার্মানির রাজধানী বার্লিনে এর পাণ্ডুলিপি সংরক্ষিত আছে। লাব্বানের একটি তালিকায় ৪৫টি স্থানের দ্রাঘিমা ও অক্ষাংশ নির্ণয় করা হয়। বইয়ের শেষে দেখানো হয় এমনি ৯১টি স্থানের দ্রাঘিমা ও অক্ষাংশ। তার জিজে ত্রিকোণমিতির জটিল অঙ্কের মাধ্যমে প্রমাণ, পর্যবেক্ষণ করে জ্যোতির্বিজ্ঞানকে উন্নতমানের পর্যালোচনায় আনা হয়। তিনি জ্যোতিষবিদ্যা সম্পর্কেও বই লেখেন। তার অঙ্কের বই হিব্রু ভাষায় অনুবাদ করা হয়, যা এখনো আছে টিকে। ব্রকেলম্যানের বর্ণনায় তার ছয়টি বইয়ের উল্লেখ আছে।
তার জন্ম পারস্যে (ইরান), ৯৭১ সালে। মৃত্যু বর্তমান ইরাকের রাজধানী বাগদাদে, ১০২৯ সালে।


আরো সংবাদ



premium cement