০৮ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১, ২৮ শাওয়াল ১৪৪৫
`


গল্পকথা

রিশা রাফির দিনগুলো

-

বত্রিশ.

ওরা বিকেলবেলা খেলাধুলা করে। মা কঠিন স্বরে বললেন, ওটা ওদের ব্যাপার। আমরা যা করছি তা তোমাদের ভালোর জন্যই করছি। রিশা, রাফি মনে মনে ভাবল, আমাদের জন্য কোনটা ভালো আর কোনটা মন্দ মাঝে মাঝে দ্বিধাদ্বন্দ্বে পড়ে যাই।
গ্রামের মানুষগুলো রিশা, রাফিকে মুগ্ধ করল! ওদের দিনগুলো বেশ আনন্দে কাটতে থাকল। কখনো কখনো শাসনের কালো মেঘ ঝড় তোলে। তখন ওরা আলোকিত দিনের আশায় নিজেদের সামলে নেয়। রিশা, রাফি নদীর তীরে গেল। সুমিতা আর সুমনও সাথে ছিল। নদীতে থৈ থৈ পানি দেখে ওরা উচ্ছ্বসিত হয়ে উঠল। সুমন বলল, আমি গোসল করব। সুমিতা বলল, আমিও করব। ওরা এই বলেই নদীতে ঝাঁপ দিলো। ওরা হাত বাড়িয়ে রিশা, রাফিকে ডাকল। রিশা, রাফি ভয় পাওয়া গলায় বলল, আমরা কেউই সাঁতার জানি না। সুমন বলল, আমরা শিখিয়ে দেবো। রিশা, রাফি মুগ্ধ হয়ে দেখতে থাকল ওদের সাঁতার কাটা! ওরা সাঁতার কাটতে কাটতে পানির নিচে ডুবে যাচ্ছে। আবার ভেসে উঠছে। কী অদ্ভুত! রিশা, রাফি হঠাৎ কী মনে করে নদীতে ঝাঁপ দিলো। অমনি তলিয়ে যেতে লাগল। সুমন আর সুমিতা চেঁচিয়ে উঠল। রাফি ভাইয়া, রিশা আপু। রিশা, রাফি হাবুডুবু খেতে লাগল। সুমন বলল, তোমরা হাত-পা দিয়ে পানিগুলো নিচের দিকে দাও। যেন তোমাদের উপরে উঠতে না পারে। আমরা ছোটবেলায় পড়তে পড়তে হাঁটতে শিখেছিলাম। (চলবে)

 


আরো সংবাদ



premium cement