০৬ মে ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`


সুন্দর পাখি রাঙা মানিকজোড়

-

তোমাদের অনেকের হয়তো জানা নেই, পৃথিবীতে অনেক ধরনের মানিকজোড় পাখি রয়েছে। দুধসাদা মানিকজোড়, হলুদঠোঁট মানিকজোড়, রাঙা মানিকজোড় ছাড়াও আরো অনেক ধরনের মানিকজোড় পাখি রয়েছে । এগুলোর মধ্য থেকে আজ তোমাদের বলব রাঙা মানিকজোড় পাখি সম্বন্ধে । এ পাখির ইংরেজি নাম চধরহঃবফ ঝঃড়ৎশ.
রাঙা মানিকজোড় এক সময় বেশি দেখা যেত দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অধিকাংশ দেশে। বেশি বিচরণ ছিল থাইল্যান্ড, মিয়ানমার, ভিয়েতনাম ও পাকিস্তানে (সিন্ধু উপত্যকাসহ আরো কয়েকটি স্থানে)। এক সময়ে এদের খুব বেশি দেখা যেত বাংলাদেশেও। অনেক আগেই এরা চীন থেকে বিলুপ্ত হয়ে গেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এরা বড় আকারের জলচর পাখি। যত ধরনের মানিকজোড় পাখি রয়েছে, তাদের মধ্যে রাঙা মানিকজোড় সবচেয়ে সুন্দর। এ পাখির শরীরের বেশিভাগের রঙ সাদা। ডানা ৯০-৯৩ সেন্টিমিটার, লেজ ১৫-১৬ সেন্টিমিটার, ঠোঁট বা চঞ্চু ২৭ সেন্টিমিটার প্রায়। এদের ওজন প্রায় তিন কেজি। দেহের নিচের অংশ সাদা, বুকে কালো ডোরা দাগ আছে। ডানার শেষ প্রান্ত ও মাঝখানের পালক কালো। সাদা ডোরা দাগও আছে ডানায়। লেজের পালক উজ্জ্বল লাল। কিছু কালো পালকও আছে লেজে । চোখের রঙ হালকা হলুদ। কমলা-হলুদ রঙের মিশেল লম্বা ঠোঁটে । পা ও পায়ের পাতা বাদামি-লালচে। দেখতে প্রায় একই রকম মেয়ে ও ছেলে মানিকজোড়।
রাঙা মানিকজোড় বেশি দেখা যায় নদীর পাড়, জলজ মাঠ, কাদাময় স্থানে। বিচরণ করে ছোট দলে। কাদাময় পানিতে ঠোঁট ঢুকিয়ে খাবার খোঁজে। এ পাখি বেশি খায় কাঁকড়া, ব্যাঙ, মাছ, ছোট সাপ, জলজ পোকামাকড় ইত্যাদি। ক্লান্ত শরীরে এক পায়ে দাঁড়িয়ে বিশ্রাম করে। ওড়ার সময় পা ও গলা নিচু করে রাখে। গলায় শব্দের জোর নেই বললেই চলে। তবে অনেক সময় ঠক ঠক শব্দ করে। এ পাখি ডিম পাড়ে জুলাই-অক্টোবরে। বাসা বানায় পানির কাছাকাছি বড় গাছের ডালে। পুরুষ পাখি বাসা তৈরির উপকরণ জোগাড় করে। বাসা বানায় মা পাখি। এতে সময় লাগে ১০-১৫ দিন। এদের ডিম হালকা সাদা। ডিমে তা দেয় মা-বাবা মিলে। ডিম ফুটে ছানা বের হয় ২৮-৩০ দিনে। ছানারা উড়তে শিখে ৫৫-৬০ দিনে।


আরো সংবাদ



premium cement