২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`

দুই গোয়েন্দার অভিযান-১২ পর্ব

-

দশ.

‘হতে পারে,’ রেজা বলল। ‘কিংবা এমনও হতে পারে, ওই জাহাজে পাচারকারী দলের কেউ একজন যাতায়াত করে।’
প্রতিটি সূত্র আর তথ্য খতিয়ে দেখার সিদ্ধান্ত নিয়ে ওয়াটারওয়েজ শিপিংকে ফোন করল রেজা। আবু নাসেরের বরাত দিয়ে বলল, সে একজন সহকারী গোয়েন্দা, সরকারের হয়ে কাজ করছে। ইদানীংকার নিউ ইয়র্কগামী ভারতীয় যাত্রীদের একটা পূর্ণ তালিকা পাওয়া যাবে কিনা জিজ্ঞেস করল। প্যাসেঞ্জার এজেন্ট জানাল, তখনি একটা তালিকা ডাকে পাঠানোর ব্যবস্থা করছে সে। যদি প্রয়োজন হয়, ওই শিপিং লাইনের পরিবহনের ব্যাপারে আরও তথ্য দিতে রাজি আছে।
‘বলার সাথে সাথে এভাবে সহযোগিতা করতে চাওয়াটাও সন্দেহজনক মনে হচ্ছে আমার কাছে,’ রেজা বলল।
সেদিন সন্ধ্যায় চাঁদ উঠলে আবার ডকের উদ্দেশে বেরিয়ে পড়ল দুজনে। বোটহাউসে আগুন লাগার রাতে ডকের যেখানে রেখে এসেছিল ওদের বোটটা, সেখানেই এখনো নোঙর করা আছে। বোটহাউসে এসে কাজের কতখানি অগ্রগতি হয়েছে দেখল।
‘আরও অন্তত দু’সপ্তাহ লাগবে ঠিক হতে,’ রেজা বলল।
‘হ্যাঁ,’ সুজাও তার সঙ্গে একমত। ‘কিন্তু কথা হলো, আগুন লাগিয়েছে যে, তাকে এখনো ধরা গেল না।’
নিজেদের বোটে উঠল দু’জনে। হুইল ধরল রেজা। শিগগিরই ইয়েলো বিচ ডক থেকে দূরে সরে এলো ‘জলগোয়েন্দা’। ডক থেকে খোলা সাগরে বেরোনোর খালটার মুখে যেখানে বেশ কয়েকটা ছোট ছোট দ্বীপ আছে, সেখানে এসে অপেক্ষা করার সিদ্ধান্ত নিলো সে। একটা দ্বীপের কাছে অন্ধকারে ঢাকা এক জায়গায় এনে বোট থামাল। একটা বাতিও জ্বালানো রাখল না, এমনকি চলাচলের সময় যে রানিং লাইট জ্বেলে রাখা হয়, সেটাও নিভিয়ে দিলো।
‘শিকারী বাজের মতো মনে হচ্ছে নিজেকে,’ হেসে বলল সুজা। ‘শিকারের অপেক্ষায় ওই পাখিগুলো যেভাবে অপেক্ষা করে, আমরাও তাই করছি।’ (চলবে)


আরো সংবাদ



premium cement