২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`
কে কী কেন কিভাবে

যে পাখি পরজীবী খেয়ে কুমিরকে উপকার করে

-

আজ তোমরা জানবে কুমিরপাখি সম্পর্কে। এ পাখি কুমিরের হাঁ করা মুখে ঢুকে কুমিরের দাঁতের ফাঁক থেকে বিভিন্ন পরজীবী খেয়ে কুমিরকে উপকার করে। লিখেছেন লোপাশ্রী আকন্দ
কুমিরপাখি। অপর নাম মিসরীয় জিরিয়া পাখি। এটি একটি জলচর পাখি। জিরিয়া নাম হলেও আসলে এটি জিরিয়া নয়। এটি গ্লারিওলিডি পরিবারভুক্ত বেলাভূমির পাখি। এ পরিবারভুক্ত পাখিদের কোর্সার বলা হয়।
এ পাখির সাথে কুমিরের একটি ভালো সম্পর্ক রয়েছে। এটি কুমিরের হাঁ করা মুখে ঢুকে কুমিরের দাঁতের ফাঁক থেকে বিভিন্ন পরজীবী খেয়ে কুমিরকে উপকার করে। আর কুমিরও এ উপকারের কথা মনে করে মিসরীয় জিরিয়াকে কিছুই বলে না।
তোমরা হয়তো ইতিহাসের জনক হেরোডোটাসের নাম শুনে থাকবে তার একটি বর্ণনায় কুমিরপাখির কথা উল্লেখ রয়েছে। তবে পাখিটির এ রকম আচরণের সত্যতা সম্পর্কে পুরোপুরি নিশ্চিত হওয়া যায়নি। মিসরীয় জিরিয়ার দেহের দৈর্ঘ্য ১৯-২১ সেন্টিমিটার। মাথার রঙ কালো, বুকের কাছে কালো রঙের বলয় রয়েছে। দেহের ওপরের অংশের পালক নীলাভ ধূসর। লম্বা পা দুটোও নীলাভ ধূসর। উড়ন্ত অবস্থায় এদের সৌন্দর্য আকর্ষণীয়ভাবে ফুটে ওঠে। তখন একে সাদাই মনে হয়। মাটিতে নামার পর এরা ডানা প্রসারিত করে একে অপরকে অভিবাদন জানায়। বড় নদীর বালুচরে স্ত্রী জিরিয়া ডিম পাড়ে। বাসা ত্যাগ করার আগে বাবা-মা পাখি ডিমগুলোকে বালু দিয়ে ঢেকে রেখে যায়। অতিরিক্ত তাপ এবং শত্রুর হাত থেকে ডিম রক্ষার জন্যই এরা এ রকমটি করে। এদের বাচ্চারা অকালপরিপক্ব হয়। ডিম ফুটে বের হওয়ার পরই বাচ্চারা দৌড়াতে পারে। কিছুক্ষণ পরে নিজে নিজেই খেতে পারে। বাচ্চারা মা পাখির উদরীয় পালকে লেগে থাকা পানি পান করে। বাচ্চাকে শত্রুর হাত থেকে বাঁচানোর জন্য বাবা ও মা পাখি এদেরকে বালু দিয়ে অল্প সময়ের জন্য ঢেকে রাখে।


আরো সংবাদ



premium cement