২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`

দুই গোয়েন্দার অভিযান

-

পাঁচ.
গ্যারেজে তালা দিয়ে এলো ওরা। ঘরে ঢুকে শাওয়ার সেরে পরিষ্কার কাপড় পরল। তারপর পোষা জানোয়ার বিক্রি করে সে সব দোকান, চাচার স্টাডিতে চলল টেলিফোন ডিরেক্টরিতে তাদের নম্বর খুঁজতে।
‘কারা কবুতর পোষে, দোকানদাররাই ভালো বলতে পারবে,’ সুজা বলল।
কিন্তু বেশ কয়েকটা ফোন করেও কারো কাছ থেকে সাহায্য হতে পারে এমন কোনো তথ্য পেল না। তালিকায় আর মাত্র চারটে নম্বর বাকি আছে, এ সময় সিক্সথ জুলাই স্ট্রিট ধরে আসা একটা গাড়ির বিকট ভটভটি শোনা গেল।
‘নেডের জেলপিটা না!’ লাফ দিয়ে উঠে জানালার কাছে ছুটে গেল সুজা। ওখান থেকে বাইরে তাকিয়ে বলল, ‘হ্যাঁ, তাই তো!’
পুরনো গাড়িটাকে খুব যতœ করে নেড, কিন্তু আজ খুব তাড়াহুড়ার মধ্যে রয়েছে বোঝা গেল। গাড়ি থেকে নেমে দড়াম করে দরজা লাগাল। দৌড়ে এলো বাড়ির দিকে। সিঁড়ি বেয়ে এত তাড়াতাড়ি উঠে এলো, দম নিতে কষ্ট হচ্ছে।
‘আরে এই নেড, ভূতে তাড়া করল নাকি তোকে?’ ভুরু কুঁচকে তাকিয়ে আছে সুজা।
জবাবে ডান হাতটা বাড়িয়ে দিলো নেড। হাতের তালু মেলতে দেখা গেল একটা লাল রঙের ক্যাপসুল। চুনি পাথর ভরা যে ক্যাপসুলটা পাওয়া গিয়েছিল কবুতরের পায়ে, অবিকল ওটার মতো।
‘কোথায় পেলি?’ জানতে চাইল রেজা।
হাঁপাতে হাঁপাতেই জবাব দিলো নেড, ‘আমাদের গোলাঘরের বাইরে দাঁড়িয়ে আছি, এমন সময় একটা প্লেনের শব্দ শুনলাম। মুখ তুলে দেখি একটা কবুতর যাচ্ছে। সোজা গিয়ে প্লেনের জানালায় বাড়ি খেল কবুতরটা।’
‘সর্বনাশ!’ বলে উঠল সুজা। ‘তার মানে মরে গেছে!’
মাথা ঝাঁকাল নেড। ‘আকাশ থেকে মাঠের ওপর পড়ল কবুতরটা। ছুটে গিয়ে তুলে নিলাম। ক্যাপসুলটা ওর পায়ে বাঁধা ছিল।’
‘ভিতরে কী আছে?’ জানতে চাইল রেজা।
‘নিজেই খুলে দেখ।’ (চলবে)


আরো সংবাদ



premium cement