২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`


মিরপুরের রহস্য ভেঙে খুলনার জয় এলো যেভাবে

মিরপুরের রহস্য ভেঙে খুলনার জয় এলো যেভাবে - ছবি : সংগৃহীত

মিরপুরে ১৮৩, অবিশ্বাস্য সংগ্রহই বটে। কে ভেবেছিল খুলনা তা পেরিয়ে যাবে ১ ওভার হাতে রেখে! তবুও যখন শুনবেন দলের সেরা ব্যাটসম্যান ফ্লপ ছিলেন। তখন প্রশ্ন উঠতেই পারে অবিশ্বাস্য এই গল্পের রূপকার কে? কার ব্যাটে ভর করে রহস্যময় মিরপুর বাধা ডিঙাল খুলনা?

তিনি একজন দুর্ভাগা ক্রিকেটার। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ২০১৫ সালে একটা মাত্র টি-২০ খেলেছিলেন দেশের হয়ে। লোয়ার অর্ডারে নেমে ২১ রানের ইনিংস খেলেও বাদ পড়েছিলেন পরবর্তী ম্যাচে। এর পর আর জাতীয় দলে সুযোগ হয়নি কখনো। তবে ঘরোয়া ক্রিকেটের নিয়মিত পারফর্মার তিনি। বিপিএলেও রেখেছেন প্রমাণ তার। শুক্রবারও দেখালেন তার প্রতীকি চরিত্র। ব্যাট হাতে মাঠে যতক্ষণ ছিলেন ছিলেন সাবলীল। যখন ৪২ বলে ৬১ করে আউট হলেন ততক্ষণে জয়টা প্রায় হাতের মুঠোয়। বলছিলাম রনি তালুকদারের কথা। পারফর্ম করেন ধারাবাহিক, তবুও সাদাসিধা।

এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ঢাকার শুরুটা ছিল অনিন্দ্য সুন্দর। ২৭ বলে ৪২ করে যখন শেহজাদ ফিরেন, দলীয় রান তখন ৮.৫ ওভারে ৬৯। তারপর তামিম-নাইমের ৪০ রানের জুটি৷ আসরের প্রথম অর্ধশতক তোলে তামিম ফেরেন পরের বলে। এরপর অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহর ২০ বলে ৩৯ এ ১৮৩ সংগ্রহ পায় ঢাকা। মাঝে অবশ্য ইতিহাস গড়েছেন তানজিদ তামিম, যেভাবে আন্দ্রে রাসেলকে রান আউট করলেন, প্রশ্ন উঠতেই পারে তা ইতিহাসের সেরা আউটই কিনা!

লক্ষ্য তাড়ায় তানজিদ তামিম দ্রুত ফিরলেও রনি-ফ্লেচারের ৭২ রানের জুটি পথ দেখায় খুলনাকে। এরপর মুশফিকুর রহিমের সাথে ২৩ ও ইয়াসির আলির সাথে ৩১ রানের জুটি গড়ে দলকে জয়ের পথে রেখে বিদায় নেন রনি। থিসারা পেরেরার অপরাজিত ১৮ বলে ৩৬ ও মেহেদী হাসানের ৫ বলে ১২* রানে ১৯ তম ওভারের শেষ বলেই জয় তুলে নেয় খুলনা। আর এভাবেই মিরপুরের রহস্য ভেঙে অসাধারণ জয় তুলে নেন তারা।


আরো সংবাদ



premium cement