০৯ মে ২০২৪, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`


বাংলাদেশ চায় সান্ত্বনার জয়, অস্ট্রেলিয়ার টিকে থাকার লড়াই

বাংলাদেশ চায় সান্ত্বনার জয়, অস্ট্রেলিয়ার টিকে থাকার লড়াই - ছবি : সংগৃহীত

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে আর কিছুক্ষণ পরেই মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়া। বাংলাদেশ দলের জন্য চলতি বিশ্বকাপের শেষ ম্যাচ এটি। এর আগে চার ম্যাচেই হেরে গিয়ে সেমিফাইনালে যাওয়ার সব সম্ভাবনা শেষ হয়ে গেছে মাহমুদুল্লাহ রিয়াদদের।

এ দিকে আজকের ম্যাচে বাংলাদেশ জিতে গেলে অস্ট্রেলিয়ারও সেমিফাইনালে ওঠার সম্ভাবনা শেষ হয়ে যাবে।

অস্ট্রেলিয়ার সেমিফাইনালে উঠতে হলে বাকি দুই ম্যাচেই জয় নিশ্চিত করতে হবে এবং ইংল্যান্ড বনাম দক্ষিণ আফ্রিকার ম্যাচের দিকেও তাকিয়ে থাকতে হবে, সেই ম্যাচে ইংল্যান্ড জিতলে অস্ট্রেলিয়া সেমিফাইনালে উঠতে পারবে।

বাংলাদেশের ক্রিকেট বিশ্লেষক তৌসিয়া ইসলামের মতে, এর থেকে খারাপ আর কিছু বাংলাদেশের করা সম্ভব ছিল না। একের পর এক হারের সাথে যোগ হয়েছে ক্রিকেটারদের চোট পাওয়া। টুর্নামেন্টের মাঝপথে সাইফুদ্দিন ও সাকিব আল হাসান ছিটকে যান।

বাংলাদেশের ক্রিকেটার বা ম্যানেজমেন্টের কথা শুনে বোঝা যায় তারা আর এই টুর্নামেন্ট নিয়ে ভাবছে না। সবাই ‘সামনের দিকে তাকানোর’ কথাই বলছে।

রাসেল ডমিঙ্গো সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, ‘বাংলাদেশের খেলা এখন সাফল্য নির্ভর না এটা একটা প্রক্রিয়া যাতে আরো ভালো একটা জায়গায় পৌঁছানো যায়।’

স্পিন বোলিং কোচ রঙ্গনা হেরাথ অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ম্যাচের আগে বলেছেন, ‘পেশাদার হিসেবে আমাদের আরো শক্তিশালী হয়ে ফিরে আসতেই হবে। একটি ম্যাচ আছে, যেখানে জয়ের জন্য চেষ্টা করতে হবে, আত্মবিশ্বাসটা প্রয়োজন। একই সাথে বাংলাদেশের ক্রিকেট সামনে এগিয়ে নেয়া প্রয়োজন।’

অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সম্প্রতিই একটি টি-টোয়েন্টি সিরিজে ৪-১ ব্যবধানে জয় পেয়েছে বাংলাদেশ।

যেখানে অস্ট্রেলিয়ার বিশ্বকাপের দলে খেলতে আসা ক্রিকেটারদের মধ্যে ম্যাথু ওয়েড, মিচেল স্টার্ক, অ্যাডাম জাম্পা, মিচেল মার্শ, জশ হ্যাজলউডরা ছিলেন।

কিন্তু কন্ডিশন ছিল ভিন্ন। মিরপুরের উইকেট নিয়ে বিশ্লেষক থেকে শুরু করে সাকিব আল হাসানের মতো ক্রিকেটাররাও সমালোচনা করেছেন।

সাকিব বলেছিলেন, এই উইকেটে ব্যাট করতে থাকলে ব্যাটসম্যানের ক্যারিয়ার শেষ হয়ে যেতে পারে।

নিউজিল্যান্ডের ক্রিকেটাররাও টুইটারে বেশ সমালোচনা করেন উইকেটের।

তাই দুবাইয়ের উইকেটে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে একই পারফরম্যান্স দেখাতে পারবে সেটা অনেকেই মনে করছেন না।

একে তো বাংলাদেশ টানা হারের মধ্যে আছে, আবার অস্ট্রেলিয়ার জন্য এটা টুর্নামেন্টের বিচারে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ। দুই দলের মানসিক অবস্থানই একেবারে ভিন্ন।

বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ব্যাটিং প্রদর্শনী স্বস্তিদায়ক ছিল না, কোনও ব্যাটসম্যান ঠিকভাবে ব্যাট করেননি।

অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান রিয়াদ-মুশফিক দুজনই দক্ষিণ আফ্রিকার পেসারদের গতিই সামলাতে পারেননি।

এসব দিক বিবেচনায় আজ স্টার্ক, হ্যাজলউডকে কিভাবে সামলাবেন সেটা নিয়েও প্রশ্ন আছে। সাথে আছেন অ্যাডাম জাম্পা যিনি এই ফরম্যাটের সেরা বোলারদের একজন।

বাংলাদেশের মূল একাদশের ক্রিকেটারদের দুজন ইনজুরিতে পড়ায়, একাদশ নিয়েও খুব বেশি বাছবিচার করার সুযোগ নেই কোচিং স্টাফের।

এখন যে পরিস্থিতি তাতে বিশ্লেষকরা বলছেন, বাংলাদেশ কোনো মতে বাড়ি ফিরতে পারলেই হাফ ছেড়ে বাঁচে।

তৌসিয়া ইসলাম বলেছেন, ‘ম্যাচের ফল কখনো পক্ষে আসবে কখনো বিপক্ষে যাবে। কিন্তু বাংলাদেশের মধ্যে জয়ের তাড়না ছিল না। এই জিনিসটা প্রতিটি ম্যাচেই পিছিয়ে দিয়েছে।

তিনি বলেছেন, আগ্রহ আর আত্মবিশ্বাসের ঘাটতি দেখা গেছে এবার।


আরো সংবাদ



premium cement