০২ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১, ২২ শাওয়াল ১৪৪৫
`


এমন ছন্দ পতন কেন?

-

ব্যাটিং মোটেও ভালো হয়নি। দুই ফরম্যাটে জিতে হাঁকডাক ছড়ানো বাংলাদেশ দল ২০ ওভারও খেলতে পারেনি। সাকিবরা ১২৯ রানে অলআউট ১৯ ওভারে। ইনিংসে ছক্কা মাত্র দুইটি। বিপরীতে প্রতিপক্ষের ১০টি। সাকিবেরই দু’টি। ছয়টি শাই হোপের। সাকিব সর্বোচ্চ ৪৩ বলে ৬১ রান করেছেন। এ ছাড়া আরিফুলের ১৭, মাহমুদুল্লাহর ১২। ওয়েস্ট ইন্ডিজের কটরেল ২৮ রান খরচায় ৪ উইকেট নেন। ২৩ রানে ২ উইকেট নেন কিমো পল।

বাংলাদেশের আটজন ব্যাটসম্যান আউট হন দুই অঙ্ক স্পর্শ করার আগেই। ১ রান করেন সাইফউদ্দিন। ৫ রান করে করেন তামিম ও সৌম্য। লিটন ৬, মিরাজ ৮। রানের খাতায় খুলতে পারেননি মোস্তাফিজ। ৫৫ বল বাকি থাকতেই ২ উইকেট হারিয়ে জয় তুলে নেয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। বাংলাদেশের পরাজয়ের পেছনে এর চেয়ে বেশি আর কোনো ব্যাখ্যার প্রয়োজন পড়ে না।

তারপরও বলতে হয় টেস্ট ও ওয়ানডেতে জয়ের আত্মবিশ্বাস নিয়েই তিন ম্যাচের টি-২০ সিরিজ শুরু করে বাংলাদেশ। কিন্তু উড়তে থাকা টাইগাররা টি-২০ ফরম্যাটে আসতেই যেন নিজেদের খোলস বদলে ফেলল। যার পরিণাম প্রথম ম্যাচে ৮ উইকেটের বড় হার। আত্মবিশ্বাসী বাংলাদেশের হঠাৎ এই ছন্দ পতনের পাঁচটি কারণ তুলে ধরা হলো-

১. কুয়াশাছন্ন আবহাওয়ায় সিলেটে টসে জিতে বাড়তি কোনো সুবিধা আদায় করতে পারেনি সাকিব আল হাসানের দল। যদিও দিনের ম্যাচে টস বড় কোনো ফ্যাক্টর হয়ে দাঁড়ায় না। তবুও আগে ব্যাটিং করে স্কোরবোর্ডে পর্যাপ্ত রান জমা করতে পারলে ক্যারিবীয়দের কিছুটা হলেও চাপে রাখা যেত।

২. শুরুর দিকে টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানরা কাণ্ডজ্ঞানহীন শট খেলে আউট হন। তামিম ইকবাল, লিটস দাস, সৌম্য সরকারদের আউট হওয়ার ধরণ ছিল একই রকম। ৪৮ রানেই ৪ উইকেট খুইয়ে ফেলা বাংলাদেশের পক্ষে ঘুরে দাঁড়ানো আর সম্ভব হয়নি।

৩. এমন হারের অন্যতম বড় কারণ সিনিয়র ব্যাটসম্যানদের দায়িত্বহীনতা। অধিনায়ক সাকিব ছাড়া আর কেউই দায়িত্ব নিয়ে খেলতে পারেননি। তবে ক্যারিবীয় বোলাররাও ভালো বোলিং করেছেন। বিশেষত দুই পেসার শেলডন আর কেমো পল।

৪. বাংলাদেশের ছোট সংগ্রহ আত্মবিশ্বাসী করে তোলে সফরকারীদের। তাই বাড়তি চাপ না নিয়ে হাত খুলে নিশ্চিন্ত মনে খেলার সুযোগ পান হোপ-পলরা। তবে বাংলাদেশের বোলাররাও ভালো বোলিং করতে পারেননি মোস্তাফিজুর রহমান, আবু হায়দার রনি, মেহেদী হাসান মিরাজ সবাই রান বিলিয়েছেন দু’হাত ভরে।

৫. সিলেটের নতুন ভেনুর উইকেট সম্পর্কে ভালো ধারণা না থাকাও অন্যতম কারণ। অন্য দুই ফরম্যাটের মতো হোমের পুরোপুরি সুবিধা নিতে পারেনি স্বাগতিকেরা। অতি আত্মবিশ্বাসই কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে।


আরো সংবাদ



premium cement