ক্রিকেটে হাস্যকর ও ‘শিশুসুলভ’ কাণ্ডের জন্ম দিতে পাকিস্তানের খেলোয়াড়দের জুড়ি নেই। কিন্তু বৃহস্পতিবার অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে আবুধাবি টেস্টের তৃতীয় দিনে দুই ব্যাটসম্যান আসাদ শফিক ও আজহার আলী যা করলেন তা বোধহয় ছাড়িয়ে গেছে অতীতের সব রেকর্ড। পেশাদার ক্রিকেটে কোন কিছু নিশ্চিত হওয়ার আগেই হাল ছেড়ে দেয়া কিংবা সিদ্ধান্ত নেয়াটা একেবারেই বেমানান। এটি আর সব বিষয়ের মতোই ক্রিকেটারদের শুরু থেকেই শিক্ষা দেয়া হয়। কিন্তু সেই শিক্ষা ভুলেই বোধ হয় বৃহস্পতিবার এই কাণ্ড করলেন আসাদ শফিক আর আজহার আলী। অদ্ভুত এক রান আউটের শিকার হয়ে আজহার ফিরলেন সাজঘরে।
দিনের খেলার তখন নবম ওভার চলছিল। ব্যক্তিগত ৬৪ রান নিয়ে স্ট্রাইকে আজহার। উইকেটেও বেশ সেট হয়ে গেছেন, পাকিস্তানের লিডটাকে তখন অস্ট্রেলিয়ার ধরা ছোয়ার বাইরে নিয়ে যাওয়ার জন্য ব্যাট করে চলছিলেন। সেই ওভারে পিটার সিডলের তৃতীয় ডেলিভারি ড্রাইভ করে আজহার পাঠালেন গালি অঞ্চলে। ফিল্ডারকে ফাঁকি দিয়ে বল বাউন্ডারি সীমানার দিকে যেতে দেখে দুই ব্যাটসম্যান নিশ্চিত ছিলেন যে বাউন্ডারি হবে। আর তাই উইকেটের মাঝখানে দাঁড়িয়ে দুজন আলাপচারিতায় মেতে উঠলেন।
দুজনের কেউ-ই খেয়াল করেননি বলটা বাউন্ডারি সীমানার একেবারে কাছে গিয়ে থেমে গেছে। মিচেল স্টার্ক দৌড়ে গিয়ে বলটা কুড়িয়ে ফেরতও পাঠান উইকেটরক্ষক টিম পেইনের কাছে। পেইন বুঝেতে পেরেছিলেন বিষয়টি। বলটা গ্লাভসে জমা পড়া মাত্রই তিনি স্টাম্প ভেঙেছেন। আশ্চর্যের ব্যাপার হলো, আজহার ও শফিক এই দৃশ্য দেখার পরও ক্রিজে ফেরার চেষ্টা করেননি! তারা হয়তো ভেবে ছিলেন বলটা বাউন্ডারি দড়িতে লাগার পর তা কুড়িয়ে এনেছেন স্টার্ক।
৬৭ টেস্ট খেলা আজহার আর ৬৩ টেস্ট খেলা আসাদ শফিকের কাছ থেকে এমন আচরণ হয়তো কেউ আশা করেনি, তাই বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে বিষয়টি নিয়ে চলছে হাসাহাসি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও ভক্তরা ট্রল করছেন দুজনকে।
দুই বছর আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দুবাই টেস্টে প্রায় একই রকমভাবে রান আউট হয়ে হাস্যরসের জন্ম দিয়েছিলেন মোহাম্মদ আমির। শট খেলে ছক্কা ভেবে ঠায় দাড়িয়ে ছিলেন ক্রিজে, নন স্ট্রাইকার ততক্ষণে চলে এসেছে। কিন্তু ফিল্ডার শেষ মুহূর্তে বলটি আটকে দেন। আমির অবশ্য সেটি দেখার পর দৌড়ে রান পূর্ণ করার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু আজহার আলী আর আসাদ শফিক এটি কী করলেন! পেশাদার ক্রিকেটে এমন অদ্ভূতুরে রান আউট কিভাবে সম্ভব?
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা