০৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৩ শাওয়াল ১৪৪৫
`


কর্মশক্তিতে আরো বেশি সংখ্যক নারীকে যুক্ত করছে উবার

-

রাইডশেয়ারিং অ্যাপ উবার ‘রাইড-হেইলিং : অ্যা প্ল্যাটফর্ম ফর উইমেন’স ইকোনমিক অপরচুনিটি ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক একটি গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। নারীর ক্ষমতায়ন ও অর্থনৈতিক সুযোগ সৃষ্টিতে রাইডশেয়ারিং প্ল্যাটফর্মগুলোর ভূমিকার কথা প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয়েছে। প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, কর্মশক্তিতে আরো বেশি সংখ্যক নারীকে যুক্ত করতে এ সার্ভিস গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। যাতায়াতের সুব্যবস্থার ফলে ২০২৮ সালের মধ্যে ঢাকার নারী কর্মশক্তির হার বৃদ্ধি পেতে পারে ১৩ শতাংশের বেশি। রাইডশেয়ারিং সুবিধার ফলে প্রায় তিন লাখ নারী ঢাকার কর্মশক্তিতে যোগ দেবেন এবং এই বৃদ্ধির ফলে ২০২৮ সালের মধ্যে ঢাকার অর্থনীতির আকার ১.৫ শতাংশের বেশি বৃদ্ধি পাবে।
উবার বাংলাদেশের কান্ট্রি হেড নাশিদ ফেরদৌস কামাল বলেন, ‘২০১৬ সাল থেকে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও সুযোগ বৃদ্ধির ক্ষেত্রে তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে উবার। উবার ও অন্যান্য রাইডশেয়ারিং সার্ভিসকে এই ‘জেন্ডার কমিউট গ্যাপ’ সমাধানে কাজ করতে দেখে আমি আনন্দিত।’
অক্সফোর্ড ইকোনমিকসের লিড ইকোনমিস্ট বালি কৌর সোধি বলেন, ‘বিশ্বজুড়ে অর্থ উপার্জনের কাজে নারীদের অংশগ্রহণের হার এখনো তুলনামূলকভাবে কম। নারীদের শিক্ষা কিংবা যোগ্যতা যে পুরুষদের তুলনায় কম এমন কিন্তু নয়।’
গবেষণা প্রতিবেদনটিতে ঢাকায় মাঠপর্যায়ে পরিচালিত একটি জরিপ থেকে প্রাপ্ত তথ্য ব্যবহার করা হয়েছে। উবার ও অক্সফোর্ড ইকোনমিকস উবার যাত্রীদের নিয়ে জরিপটি পরিচালনা করেছে। প্রতিবেদনে উঠে আসে, প্রতি তিন জনে একজনের বেশি নারী যাত্রী রাইডশেয়ারিং সার্ভিসের সহজলভ্যতার কারণে কর্মশক্তিতে যোগ দিতে পেরেছেন। জরিপে অংশগ্রহণকারী প্রায় অর্ধেক নারী বলেছেন, রাইডশেয়ারিং সার্ভিস তাদের কাজ ও পরিবারের মধ্যে সময়ের সুষম বণ্টনে সাহায্য করে। পাশাপাশি কর্মক্ষেত্রে নিজের সুবিধামতো ব্যবস্থা করে নিতেও সাহায্য করে। রাইডশেয়ারিং ব্যবহারকারী ১০ জনের প্রায় ৯ জন (৮৯ শতাংশ) বলেছেন, অন্যান্য যাতায়াতব্যবস্থার চেয়ে নিরাপদ হওয়ার কারণেই তারা রাইডশেয়ারিং বেছে নিয়েছেন। আর ১০ জনের প্রায় তিনজন কর্মজীবী নারী যাত্রী একমত হয়েছেন, রাইডশেয়ারিং সার্ভিসের সহজলভ্যতার কারণে তাদের জন্য নিজেদের উপযুক্ত কাজের সুযোগ গ্রহণ করা সহজ হয়েছে।


আরো সংবাদ



premium cement