স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, কারাবন্দীদের জীবনমান উন্নয়ন, কারাগারের ধারণক্ষমতা বৃদ্ধি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিভিন্ন মেয়াদি আটটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে এবং যুগোপযোগী আরো কয়েকটি নতুন প্রকল্প গ্রহণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। কারাগারে নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা আধুনিকীকরণের লক্ষ্যে ঢাকা, ময়মনসিংহ ও চট্টগ্রাম বিভাগে ৩২টি কারাগারে বিভিন্ন নিরাপত্তাসামগ্রী সরবরাহ ও স্থাপন করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে দেশের সব কারাগারে নিরাপত্তাসামগ্রী সরবরাহ করা হবে।
মন্ত্রী গতকাল মঙ্গলবার সকালে গাজীপুরে কাশিমপুর কারা কমপ্লেক্স প্রাঙ্গণে ৬০তম ব্যাচ কারারক্ষী বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ কোর্সের সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে এসব কথা বলেন।
এর আগে তিনি খোলা জিপে চড়ে প্যারেডস্থল পরিদর্শন এবং মার্চপাস্ট উপভোগ করেন। এ সময় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের সচিব মো: আব্দুল্লাহ আল মাসুদ চৌধুরী, কারা মহাপরিদর্শক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ এস এম আনিসুল হক, গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মোল্যা নজরুল ইসলাম, ঢাকা বিভাগীয় কারা উপ-মহাপরিদর্শক এ কে এম ফজলুল হক, কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার সুব্রত কুমার বালা, কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২ এর জেল সুপার মো: আমিরুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। ছয় মাস মেয়াদি ৬০তম ব্যাচ কারারক্ষীদের এ প্রশিক্ষণ কোর্সে ৩০১ জন কারারক্ষী অংশ নেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শে উজ্জীবিত বর্তমান সরকার প্রধানমন্ত্রীর দিকনির্দেশনায় কারাগারকে সংশোধনাগারে রূপান্তর করতে ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করে চলেছে। কারাবন্দীদের সংশোধনের বিষয় অন্তর্ভুক্ত করে কারা আইনকে যুগোপযোগী করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ কারাগার ও সংশোধনমূলক পরিষেবা আইন-২০২১ প্রণয়নের কার্যক্রমও চলমান রয়েছে।
তিনি বলেন, কারাগারে আটক বন্দীদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ জনশক্তি হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে দেশ ও বিদেশের শ্রমবাজারের চাহিদার সাথে সঙ্গতি রেখে দেশের ৩৮টি কারাগারে যুগোপযোগী ৩৯টি ট্রেডে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হচ্ছে। পর্যায়ক্রমে দেশের সব কারাগারকে এ প্রশিক্ষণের আওতায় আনার পরিকল্পনা রয়েছে। কারাগারে আটক কয়েদি বন্দীদের শ্রমে উৎপাদিত পণ্যসামগ্রীর বিক্রয়লব্ধ অর্থ হতে শতকরা ৫০ ভাগ লভ্যাংশ বন্দীদের মজুরি হিসেবে প্রদান করা হচ্ছে, যা বন্দীরা তাদের পরিবারের কাছে পাঠাতে পারছেন।
মন্ত্রী আরো বলেন, কারাগার একটি সংবেদনশীল ও স্পর্শকাতর প্রতিষ্ঠান হওয়ায় দায়িত্বশীল মনোভাব নিয়ে কর্তব্য পালন করতে হয়। কারাগারের নিরাপত্তা বিধানের পাশাপাশি বন্দীদের প্রতি মানবিক আচরণ প্রদর্শন ও প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে অপরাধীদের চরিত্র সংশোধন করে সমাজে পুনর্বাসনের লক্ষ্যে ইতোমধ্যেই নানামুখী পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। আর এ ধরনের উদ্যোগকে সফল করতে হলে কারা কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দক্ষতা বৃদ্ধি এবং যুগের সাথে তাল মিলিয়ে চলার জন্য যুগোপযোগী প্রশিক্ষণ প্রদান খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারা কর্মকর্তা-কর্মচারীদের শারীরিক উৎকর্ষ ও কর্মদক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে রাজশাহীতে কারা প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের কাজ চলমান রয়েছে, যা অল্প কিছুদিনের মধ্যেই সমাপ্ত হবে। এ ছাড়াও ঢাকার কেরানীগঞ্জে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব কারা প্রশিক্ষণ একাডেমি’ নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা