০২ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১, ২২ শাওয়াল ১৪৪৫
`


ঘরের শত্রুদের দ্বারা চলচ্চিত্রে নতুন সঙ্কটের আশঙ্কা

-

সঙ্কট কেটে ঘুরে না দাঁড়াতেই চলচ্চিত্রে ঘরের শত্রুদের দ্বারা নতুন সঙ্কটের আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা। বিগত কয়েক বছর নতুন ছবি নির্মাণ না হওয়া, হলে দর্শকহীনতা ও করোনা মহামারীতে ভয়াবহ সঙ্কটে অন্ধকারে ডুবে যায় ঝলমলে রুপালি এ জগৎ। পরিস্থিতি এমন অনিশ্চিত অবস্থায় চলে যায় যে সরকারি অনুদান পাওয়ার পরও কেউ ছবি তৈরিতে এগিয়ে আসার ভরসা পাননি।
বিরাজমান পরিস্থিতিতে এ শিল্প রক্ষায় এগিয়ে আসেন নায়ক-প্রযোজক অনন্ত জলিল। তিনি সিনেমা নির্মাণের পাশাপাশি বন্ধ হয়ে যাওয়া হলগুলো চালু করতে উদ্যোগী হন। তার অব্যাহত প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে গত ঈদে মুক্তি পায় তার প্রযোজনায় নির্মিত সবচেয়ে বড় বাজেটের ছবি ‘দিন দ্য ডে’। মূলত এর মাধ্যমেই বন্ধ হলগুলোতে একে একে আলো জ্বলতে শুরু করে। হলে হলে গিয়ে ছবির প্রচারণা চালান অনন্ত ও বর্ষা। তাতে দর্শক সাড়া দেয়। এরই মধ্যে আরো দু’টি ছবিসহ সর্বশেষ মুক্তি পায় হাওয়া সিনেমা। ফলে নতুন সিনেমার সাথে প্রতিদিন দর্শকপূর্ণ হয়ে ওঠে সিনেমা হল।
কিন্তু এরই মধ্যে চলচ্চিত্রের কিছু শিল্পী অনন্তের সমালোচনায় মত্ত হন। বিষয়টি এমন পর্যায়ে চলে যায় যে অনন্ত চলচ্চিত্র শিল্পীদের তার ছবি দেখার আমন্ত্রণ জানালেও তারা তাতে না এসে অন্য একটি ছবি দেখতে যান। এতে ঘরের শত্রুরা আরো মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। অনেক সিনিয়র শিল্পীও অনন্তের সমালোচনায় দ্বিধা করেননি। একপর্যায়ে বাধ্য হয়ে সমালোচকদের কঠিন জবাব দেন অনন্ত জলিল। ফলে চলচ্চিত্রে নতুন সঙ্কটের আশঙ্কা দেখা দেয়। এরপর নড়ে চড়ে বসেন নীতিনির্ধারকরা। অপতৎপরতা কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করেন। এতে করে সমালোচকদের একটি অংশের মুখ বন্ধ হলেও নতুন করে সমালোচনায় জড়াচ্ছেন খল অভিনেতা থেকে শুরু করে নায়িকা পর্যন্ত অনেকে।
বিষয়টি নিয়ে অনন্ত জলিল ও ছবির নায়িকা বর্ষা নয়া দিগন্তকে বলেন, চলচ্চিত্র শিল্পের মহা সঙ্কটের সময় এমন বড় বাজেটের ছবি নির্মাণে আমাদের প্রধান উদ্দেশ্য সিনেমা শিল্পকে রক্ষা করা। কারণ এটি সংস্কৃতির ঐতিহ্য। এ শিল্প রক্ষা আমাদের সবার দায়িত্ব হলেও সবাইকে দিয়ে সব হয় না। ফলে কাউকে না কাউকে এগিয়ে আসতে হয়। আমরা এগিয়ে এসেছি। এবং আমাদের অক্লান্ত চেষ্টা অব্যাহত আছে। তবে কাজ করলে সমালোচনা হবে। তা-ই হচ্ছে। এ বিষয়ে আমাদের কোনো অভিযোগ নেই। কতটুকু সফল হতে পেরেছি তা সাধারণ মানুষ রায় দেবে। অন্য দিকে চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির সভাপতি সোহানুর রহমান সোহান বলেন, কাজ করলে সমালোচনা হবে এটাই স্বাভাবিক। তবে সমালোচনা গঠনমূলক হওয়া উচিত যা মানুষকে সমৃদ্ধ করে। নিজেদের ঘরে এমন সমালোচনা করা উচিত নয় যাতে শিল্পটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
সিনিয়র সাংবাদিক ও চলচ্চিত্র বিশ্লেষক ইমরুল শাহেদ ঘরের শত্রুদের দ্বারা চলচ্চিত্রে নতুন সঙ্কটের আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, অন্ধকারে তলিয়ে যাওয়া এ শিল্প এখন যে অবস্থায় আসছে তার জন্য অনন্তের অবদান অতুলনীয়। তিনি বলেন, যারা সমালোচনা করছেন তারা হয়তো ব্যক্তিগত স্বার্থ হাসিলের জন্যই এমনটি করছেন। কিন্তু তারা বুঝতে পারছেন না তাতে করে নিজেদের শিল্পটাকে আবারো ঝুঁকির মধ্যে ফেলছেন।
অপর দিকে শক্তিমান অভিনেত্রী অরুণা বিশ্বাস এ বিষয়ে বলেন, আমরা একটি পরিবার। পরিবারের এক সদস্য অপর সদস্যকে নিয়ে নেতিবাচক মন্তব্য করলে নিজেদেরই ক্ষতি হয়। সুতরাং আমাদের উচিত কেউ ভুল করলে তা আন্তরিকতার সাথে ধরিয়ে দেয়া। তাতে পরিবারে যেমন ঐক্য থাকবে তেমনি যিনি কাজ করেছেন তিনিও সমৃদ্ধ হবেন।


আরো সংবাদ



premium cement
বাংলাদেশ-সৌদি আরবের যৌথ উদ্যোগে ইউরিয়া সার কারখানার সম্ভাব্যতা সমীক্ষা সম্পন্ন আগামী ২ বছর উন্নয়নশীল এশীয় অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি ৪.৯ শতাংশ থাকার আশা এডিবি প্রেসিডেন্টের চুয়াডাঙ্গায় আগুনে পুড়ে পানবরজ ছাই মিল্টন সমাদ্দারের বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ, রিমান্ডে নেয়া হবে : ডিবি বৃহস্পতিবার সারা দেশের স্কুল-কলেজ বন্ধ ভূরুঙ্গামারীতে চিকিৎসকের কপাল ফাটিয়ে দিলেন ইউপি সদস্য ‘পঞ্চপল্লীর ঘটনা পাশবিক, এমন যেন আর না ঘটে’ টি২০ বিশ্বকাপের পিচ পৌঁছেছে নিউইয়র্কের নাসাউ কাউন্টি স্টেডিয়ামে হাসপাতালে ভর্তি খালেদা জিয়া কমলাপুর স্টেশনে ট্রেন থেকে লাশ উদ্ধার মোরেলগঞ্জে বৃদ্ধের ফাঁস লাগানো লাশ উদ্ধার

সকল