২২ মে ২০২৪, ০৮ জৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৩ জিলকদ ১৪৪৫
`


গরম বেশি অনুভূত হওয়ার অন্যতম কারণ ভুল নগর দর্শন : বাপা

-

দেশের নগরগুলোতে তীব্র গরম অনুভূত হওয়ার অন্যতম মূল কারণ ভুল নগর দর্শন বলে দাবি করেছে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা)। সংগঠনের পক্ষ থেকে এই অবস্থায় চলমান তাপদাহ রোধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার জন্য আট দফা সুপারিশ তুলে ধরে তা দ্রুত বাস্তবায়নের আহ্বান জানানো হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ‘নগর তাপদাহের তীব্রতা : প্রেক্ষিত ও প্রত্যাশা’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলন থেকে এই আহ্বান জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বাপার সহসভাপতি ইকবাল হাবিব বলেন, ‘বর্তমান পরিস্থিতির পেছনে দায় আমাদের, সরকারের ও সরকারের যন্ত্রের।
ব্যক্তিগত লোভের কারণে ঢাকার বিভিন্ন খালের সাথে নদীর সংযোগস্থল ভরাট করে ফেলা হয়েছে। ওই সব নদী ও খালের সংযোগের জমি উদ্ধার করতে হবে।’ বন ও বনভূমি সুরক্ষায় সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, অধিদফতর, কর্তৃপক্ষের জবাবদিহিতামূলক ব্যবস্থার পাশাপাশি আইনভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে যথাযথ শাস্তির সুপারিশ করেন তিনি।

বাপা সভাপতি অধ্যাপক ড. নূর মোহাম্মদ তালুকদার বলেন, ‘পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় দেশে ভূখণ্ডের মোট আয়তনের ২৫ শতাংশ বনভূমি থাকা অপরিহার্য।
অথচ দেশে বন আচ্ছাদিত এলাকার পরিমাণ মোট ভূমির ১২ দশমিক ৮ শতাংশ। বনজ সম্পদ ও বনভূমির অবক্ষয় ক্রমেই বাড়ছে, যা পরিবেশের ভারসাম্যহীনতা ও জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবকে বহুগুণ বাড়িয়ে দিচ্ছে। ফলে তাপদাহসহ নানা বিপর্যয়ের মুখে পড়ছে মানুষ। আমাদের দেশের রাজনৈতিক দলের নেতারা প্রকৃতি নিয়ে চিন্তা করেন না। রাজনীতিবিদদের দেশের সবুজায়ন নিয়ে আরো সচেতন হওয়া জরুরি।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের অধ্যাপক শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘বর্তমান অবস্থার জন্য সরাসরি রাষ্ট্র দায়ী। আমরা যদি সবুজায়ন ফিরিয়ে আনতে না পারি তাহলে দেশের অবস্থা প্রতিনিয়ত খারাপের দিক যাবে। শহরে গাছ-পালা ও জলাধার বাড়াতে হবে।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক আবদুস সালাম বলেন, ‘আমরা শহরে এন্টি ন্যাচারাল কাজ করছি।
সরকার সবুজায়ন করার নানা প্রকল্প গ্রহণ করলেও, ভালো ফলাফল কোনোটিতেও আসেনি।’
সুপারিশে বলা হয়, সরকারি-বেসরকারি স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন উন্নয়ন সংস্থা এবং করপোরেট প্রতিষ্ঠান দ্বারা গৃহীত প্রকল্পের আওতায় নগর বায়ু ও বর্জ্য দূষণ এবং বৈশ্বিক উষ্ণতার অভিঘাতের বিরুদ্ধে অভিযোজন ও ভারসাম্য নিশ্চিতের কর্মসূচিগুলোকে সুবিন্যস্ত ও সুপরিকল্পিত করতে হবে। সামগ্রিক অব্যবস্থার বিরুদ্ধে পরিবেশবাদী, পেশাজীবীসহ সবার সম্মিলিত ও স্বতঃস্ফূর্ত প্রচেষ্টায় ইতিমধ্যে প্রণীত সবুজায়ন নীতিমালা বাস্তবায়নে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।

 


আরো সংবাদ



premium cement