২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`
আশকোনায় খাল খনন উদ্বোধন

ওয়াসা ড্রেন পরিষ্কার না করায় জলাবদ্ধতা : মেয়র আতিক

-

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো: আতিকুল ইসলাম বলেছেন, ওয়াসা ঠিকমতো ড্রেন পরিষ্কার না করার কারণে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হচ্ছে। একইভাবে সিভিল এভিয়েশন এডি-৮ খাল খনন না করার কারণে আশকোনা এলাকার মানুষকে জলাবদ্ধতার শিকার হতে হচ্ছে।
গতকাল লা মেরিডিয়ান হোটেলের বিপরীত পাশে সিভিল এভিয়েশনের কবরস্থান এলাকায় এডি-৮ খাল খনন উদ্বোধনকালে মেয়র এ কথা বলেন। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে ডিএনসিসির প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আমিরুল ইসলাম, ওয়ার্ড কাউন্সিলর আনিসুর রহমান নাঈম ও ডি এম শামীম উপস্থিত ছিলেন।
আতিকুল ইসলাম বলেন, আপনারা জানেন আশকোনা, প্রেমবাগান, হজ ক্যাম্পের সামনে বৃষ্টি হলেই পানি জমে যায়। এ জন্য এলাকার জনগণ আমাদেরকে দায়ী করছে। ঢাকার এ অংশটি সম্পূর্ণ অপরিকল্পিতভাবে গড়ে উঠেছে, যার যার মতো করে বাসাবাড়ি, হাউজিং ইত্যাদি করে নিয়েছে। কিন্তু কোন দিক দিয়ে পানি নিষ্কাশন হবে সে চিন্তা কেউ করেনি। আলটিমেটলি জনগণের দুর্ভোগ হচ্ছে। হাউজিং কোম্পানিগুলো বিভিন্ন সিটি করেছে, বিজ্ঞাপন দিচ্ছে কিন্তু পানি নিষ্কাশনের জন্য কোনো সিটিই কাজ করেনি। জনগণের দুর্ভোগ লাঘব কিভাবে করা যায় সে চিন্তা তারা করেনি।
মেয়র বলেন, এ খালটি সিভিল এভিয়েশনের। আমরা সিভিল এভিয়েশনকে অনেক রিকোয়েস্ট করেছি। অনেকবার বলেছি। কিন্তু বৃষ্টি তো আর কারো জন্য অপেক্ষা করে না। এই ১.৮ কি.মি. খাল খনন করে দেয়ার জন্য সিভিল এভিয়েশনকে বারবার অনুরোধ করেছি। তারা বলছে, আমরা করতে পারব না, আপনারা করে দিন। তিনি বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন, জায়গা সিভিল এভিয়েশনের, খাল সিভিল এভিয়েশনের অথচ কাজ করে দিতে হবে সিটি করপোরেশনকে।
আতিকুল ইসলাম জানান, খালটির খনন শেষ হলে আশকোনা হজ ক্যাম্পের পাশ থেকে শুরু করে বনরূপা হাউজিং পর্যন্ত ১.৮ কি.মি. দীর্ঘ খালের বিভিন্ন জায়গায় পানি প্রবাহের প্রতিবন্ধকতা দূর হবে এবং কসাইবাড়ি, আশকোনা, কাউলা, বনরূপা হাউজিং এলাকার জলাবদ্ধতা অনেকাংশে দূর হবে।
ডিএনসিসি মেয়র ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ওয়াসা ড্রেন ঠিক মতো পরিষ্কার না করার কারণে মগবাজারের সাসাতবাড়ি, মধুবাগ এলাকায় বৃষ্টি হলেই জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হচ্ছে। অথচ জনগণ বারবার সিটি করপোরেশনকেই ধরছে।
ওয়াসা ও সিভিল এভিয়েশনের উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনারা দায়িত্ব নিন অথবা আমাদেরকে ফান্ড দিন। আমরা কাজ করতে চাই। আপনারা দায়িত্ব নেবেন না, টাকা আপনাদের কাছে রেখে দেবেন। এটা হয় না। গত তিন মাস ধরে সিটি করপোরেশনের রাজস্ব আদায় বন্ধ রয়েছে। এ ধরনের কাজ করতে গেলে প্রচুর টাকা লাগে। তারপরও আমরা অপেক্ষা করিনি। এই ১.৮ কিমি খাল আমাদের যা কিছু আছে তাই দিয়েই খনন শুরু করেছি। আমরা এলাকার জনগণের সাপোর্ট চাই। আমরা মনে করি আমাদেরকে জনগণের পাশে দাঁড়াতে হবে। আমরা জনগণের কষ্ট লাঘব করব।


আরো সংবাদ



premium cement