০৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`


সাহায্যের আশায় রাস্তায় রাস্তায় ঘুরছেন রুনু-জোবেদারা

-

সায়েদাবাদের কাছে রেললাইনে দাঁড়িয়ে জোবেদা বেগম (৫৫) ও রুনু বেগম (৫০)। অনাহারে-অর্ধাহারে আছেন, চেহারায় এমনটাই ফুটে উঠেছে। কাগজ কুড়িয়ে জীবিকা নির্বাহ করেন এই দুই বিধবা মহিলা কিন্তু মরণঘাতী করোনাভাইরাস তাদের সে আয়ের পথ বন্ধ করে দিয়েছে।
গত ২৬ মার্চ থেকে জোবেদা ও রুনু সায়েদাবাদে রেললাইনের কাছে একটি ঝুপড়ি ঘরে বন্দী। ক্ষুধার তাড়নায় দুই দিন ধরে ঘর থেকে বের হচ্ছেন। যদি কোনো সাহায্য পাওয়া যায় সে আশায় কিন্তু সরকারি ত্রাণ তো দূরের কথা, স্থানীয় কোনো ব্যক্তির কাছ থেকেও তাদের ভাগ্যে সাহায্য জোটেনি। এভাবে করোনাভাইরাসের কারণে ঘরবন্দী প্রতিবন্ধী বাবুল, বিলকিস বেগম, মিন্টু মিয়া, আলী আকবর, পারভিনদের অনাহারে অর্ধাহারে দিন কাটছে। সাহায্যের আশায় তারা রাস্তায় রাস্তায় ঘুরছেন কিন্তু রাস্তায় রাস্তায় সাহায্য বা ত্রাণ দেয়ার খবর মিললেও তাদের অনেকেরই ভাগ্যে তা জোটেনি।
জোবেদা ও রুনুর বাড়ি ময়মনসিংহে। তারা জানান, স্বামী মারা যাওয়ার পর থেকে তাদের খোঁজ নেয়ার কেউ নেই। তাই বেশ কয়েক বছর ধরে ঢাকায় সায়েদাবাদ এলাকায় কাগজ কুড়িয়ে যা আয় করেন, তাই দিয়ে তাদের মাসে এক হাজার টাকা ঘর ভাড়া ও পেটের ক্ষুধা মেটান। তারা বলেন, সরকারি ছুটি হওয়ার পর থেকে তারা ঘরে অবস্থান করছেন। বাইরে নামতে চাইলেও পুলিশ বাধা দেয় কিন্তু তারা আর ঘরে থাকতে পারেননি। ক্ষুধার তাড়নায় বাধ্য হয়ে ঘর থেকে বের হয়েছেন কিন্তু গতকাল পর্যন্ত তারা কোনো সাহায্য পাননি বলে জানান।
সাত বছর আগে ট্রেনে কাটাপড়ে পা হারিয়েছেন বাবুল মিয়া (৩৫)। স্ত্রী ও তিন সন্তান নিয়ে সায়েদাবাদের কাছে একটি বস্তিতে ভাড়া থাকেন। এক সময় কাজ করলেও পা হারানোর পর ভিক্ষা করেই সংসার চালাচ্ছেন। বাবুল জানান, ক্ষুধার কারণে বাসায় আর থাকতে পারলেন না। রাস্তায় নামলে পুলিশ তাড়া করে। তবুও সন্তানদের মুখের দিকে তাকিয়ে রাস্তায় বের হয়েছেন। দুই দিন ধরে ঘুরছেন কিন্তু কেউ কোনো সাহায্য দিচ্ছে না বলে জানান।
রিকশাচালক আলী আকবর জানান,প্রতিদিন ৫০০ টাকা আয় করতেন। স্ত্রী-সন্তান নিয়ে সায়েদাবাদে ভাড়া থাকেন। করোনার কারণে তার আয় বন্ধ হয়ে গেছে। দুই-তিন দিন ধরে এলাকার অলিগলিতে রিকশা নিয়ে বের হচ্ছেন। কিন্তু যাত্রী পাচ্ছেন না। জানান, বাসায় যে জমানো টাকা ছিল তা শেষ হয়েছে। এখন দোকানদারও বাকিতে চাল-ডাল বিক্রি করছে না। সাহায্য পাওয়ার আশায় গতকাল রাস্তায় বের হলেও তা পাননি বলে জানান। বিলকিস বেগম জানান, স্বামী-স্ত্রী মিলে ভাঙ্গারি মালামাল কিনে তা বিক্রি করেন কিন্তু করোনার কারণে সরকারি ছুটির দিন থেকে তা বন্ধ। তিন সন্তান নিয়ে তাদের এখন সংসারে কোনো খাবার নেই বলে জানান। সাহায্যের সন্ধান করলেও তা কোথাও পাচ্ছেন না বলে জানান।

 


আরো সংবাদ



premium cement
গ্রিড লাইনের ত্রুটিতে সিলেট বিভাগে বিদ্যুৎ সরবরাহে বিঘ্ন ভুক্তভোগী নারী ও তার পাশে দাঁড়ানো ব্যক্তিদের হয়রানির প্রতিবাদ বাড্ডায় নারীর অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার কথিত স্বামী পলাতক গ্রেফতারকৃতদের পরিবারের সাথে সাক্ষাৎ করবে খতমে নবুওয়ত ঝিনাইদহ-১ আসনে উপ-নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী নায়েব আলী জাতীয় গ্রিডে ত্রু‌টি, সিলেট বিভাগে বিদ্যুৎ বিপর্যয় ফিলিস্তিনি শিক্ষার্থীদের জন্য ঢাবিতে নিয়মিত ২০ আসন বরাদ্দ রেকর্ড গড়ে সাদিক খান আবারো লন্ডনের মেয়র আগামী ২ মাসের মধ্যে ভাঙ্গা-খুলনা-যশোর পর্যন্ত ট্রেন চালু হবে : জিল্লুল হাকিম ফতুল্লায় ব্যবসায়ী অপহরণ, গ্রেফতার ৭ তাপদাহের কারণে গোসল করতে গিয়ে কলেজছাত্রের মৃত্যু

সকল