১৮ মে ২০২৪, ০৪ জৈষ্ঠ ১৪৩১, ০৯ জিলকদ ১৪৪৫
`


সেমিনারে বক্তারা

অনলাইনে উগ্রবাদ বিস্তার রোধে ভূমিকা রাখতে হবে

-

বাংলাদেশের ধর্মভীরু মানুষের আবেগ কাজে লাগিয়ে উগ্রবাদের বিস্তারের চেষ্টা করে থাকে একটি চক্র। ধর্মের অপব্যাখ্যাকে হাতিয়ার করে তরুণ ছাত্র-ছাত্রীদের দীনের পথ বিচ্যুত করে তারা। এদের হাত থেকে প্রজন্ম ও দেশকে বাঁচাতে ধর্মীয় নেতাদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে।
গতকাল শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের আব্দুস সালাম হলে ‘অনলাইনভিত্তিক উগ্রবাদ প্রতিহতকরণে ধর্মীয় নেতাদের করণীয়’ শীর্ষক এক সেমিনারের বক্তারা এসব কথা বলেন।
সেমিনারের মূল প্রবন্ধে সম্প্রীতি বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক ডা: মামুন আল মাহতাব বলেন, একদল মানুষ আছে যারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের বিশাল শক্তিকে নানাভাবে অপব্যবহারের মাধ্যমে তাদের অসৎ স্বার্থ চরিতার্থ করার চেষ্টায় সচেষ্ট থাকে। তারা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি এবং ধর্মীয় সহিষ্ণুতার বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে মিথ্যা প্রচারণার মাধ্যমে ধর্মভীরু মানুষের ধর্মীয় অনুভূতিকে পুঁজি করে আমাদের সমাজকে এবং দেশকে অস্থিতিশীল করার অপচেষ্টায় লিপ্ত। তিনি বলেন, বিভিন্ন সময় আমরা দেখেছি, তারা তাদের সেই অপচেষ্টায় সফলও হয়েছে। ধর্মভীরু মানুষকে ধর্মীয় উন্মাদনায় আক্রান্ত হতে দেখেছি আমরা বিগত বছরগুলোতে। এ ধরনের অপতৎপরতা শুধু যে বাংলাদেশ রাষ্ট্রটির মূল চেতনা এবং সংবিধান পরিপন্থী তা-ই নয়, বরং তার চেয়েও বড় বিষয় হচ্ছে এটি আমাদের পবিত্র ধর্ম ইসলামের যে শিক্ষা, তারও বিরোধী। এ ধরনের অপশক্তিকে রুখতে ভূমিকা রাখতে হবে আলেম ও বিজ্ঞজনদের।
প্রধান আলোচক হিসেবে ধর্ম মন্ত্রণালয়বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান মাওলানা হুছামুদ্দীন চৌধুরী ফুলতলী বলেন, এ দেশের ৯০ ভাগ মানুষ ধর্ম দ্বারা প্রভাবিত হয়ে সম্প্রীতির সাথে বসবাস করছে।
এই দেশের কোটি কোটি মুসলমানের জন্য দিশারি ইমামরা। তারা জনগণকে সম্প্রীতির কথা বলেন, তাই দেশে সম্প্রীতি বিরাজ করছে। যারা উগ্র কথা বলে উগ্রতাকে উৎসাহিত করেন, তাদের প্রতিহত করতে হবে।
তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশে সরকারি কলেজ মসজিদের মাত্র সাড়ে পাঁচ শ ইমাম-মুয়াজিনের চাকরি জাতীয়করণের জন্য আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ করেছি। আশা করি, তিনি এ বিষয়ে সুনজর দিলে মসজিদের ইমাম-মুয়াজ্জিনরা রাষ্ট্রের সব কাজে আরো ভালো ভূমিকা রাখতে পারবেন।
ঢাকা-৪ আসনের সংসদ সদস্য ড. মো: আওলাদ হোসেন বলেন, আধুনিক প্রচারমাধ্যম এতই শক্তিশালী যে এর খারাপ ব্যবহারটা খুবই ভয়ানক। এর অপব্যবহারকে সহজ করে দেখা যাবে না। অনলাইন প্রচারমাধ্যমের অপব্যবহার প্রতিরোধের জন্য প্রথমত ইমামদের এগিয়ে আসতে হবে। তিনি একটি সমাজকে সঠিক পরামর্শ দিয়ে বদলে দিতে পারেন। ধর্মীয় বিজ্ঞজনের কথা এই সমাজকে সবচেয়ে বেশি প্রভাবিত করে।
সেমিনারে স্বাগত বক্তব্য দেন সরকারি কলেজ ইমাম-মুয়াজ্জিন ঐক্যপরিষদের সভাপতি মাওলানা এহসান উদ্দীন। বক্তব্যে বাংলাদেশের সাড়ে ৫০০ ইমাম-মুয়াজ্জিনের চাকরি জাতীয়করণের দাবি জানান তিনি। সেমিনারে আরো বক্তব্য দেন, ইসলামী চিন্তাবিদ ও মিডিয়া ব্যক্তিত্ব ঐক্যপরিষদের কেন্দ্রীয় মহাসচিব হাফেজ মাওলানা মোহাম্মাদ নাছিম, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) ড. মহা. বশিরুল আলম প্রমুখ।


আরো সংবাদ



premium cement