০৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৩ শাওয়াল ১৪৪৫
`


৫০ কিলোমিটার সাইকেল চালিয়ে অফিস করেন ব্যাংক কর্মকর্তা

-

ব্যাংক কর্মকর্তা আবু সায়েম মোহাম্মদ মহসিনুল হক (৪৫)। আবু সায়েম নামেই পরিচিত। কুমিল্লা মহানগরীর বাগিচাগাঁও এলাকায় ভাড়া বাসায় নিজ পরিবারের সাথে বসবাস করেন। সিনিয়র অফিসার পদে তিনি চাকরি করেন ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড চান্দিনা শাখায়।
প্রতিদিন বাসে চান্দিনায় এসে অফিস করেন তিনি কিন্তু মরণব্যাধি করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাব রোধে ২৬ মার্চ থেকে সারা দেশে গণপরিবহন বন্ধ করায় বেশ বেকায়দায় পরেছেন তিনি। মহাসড়কে নেই কোনো গণপরিবহন। কুমিল্লা থেকে ছেড়ে আসে না কোনো বাস বা যাত্রীবহনকারী কেনো পরিবহন।
কিন্তু ব্যাংকে তো আসতেই হবে। তাই বাধ্য হয়ে সাইকেল চালিয়ে প্রতিদিন অফিস করছেন এই ব্যাংক কর্মকর্তা। কুমিল্লা শহর থেকে চান্দিনা উপজেলা সদর প্রায় ২৫ কিলোমিটার। প্রতিদিন সকালে সাইকেল নিয়ে বেরিয়ে পড়েন তিনি। অফিস শেষে আবার ২৫ কিলোমিটার সাইকেলের প্যাডেল চেপে ক্লান্ত হয়ে বাসায় ফিরেন তিনি।
গত বৃহস্পতিবার দুপুরে চান্দিনা-বাগুর বাস স্টেশনে দেখা হয় ওই ব্যাংক কর্মকর্তার সাথে। এ সময় তিনি জানান, কী করব? সড়কে তো কোনো যাত্রীবাহী বাস বা লেগুনা নেই। মোটরসাইকেল বা প্রাইভেটকারে যাত্রী বহন করলেও তাতে ভাড়া তিনগুণ। আবার গাদাগাদি করে যাতায়াত করতেও ভয় লাগে। কারণ বর্তমান পরিস্থিতিতে ওইসব গাড়িতে যাতায়াত করলে করোনাভাইরাস সংক্রামিত হতে পারে। তাই বাধ্য হয়েই বাইসাইকেল চালিয়ে ব্যাংকে আসছি।
এ সময় তিনি আরো জানান, সকাল পৌনে ৯টায় সাইকেল নিয়ে বাসা থেকে বের হই। সোয়া ঘন্টা সাইকেল চালিয়ে অফিসে আসি। তবে ফেরার পথে সময় কিছুটা বেশি লাগে। কারণ হিসেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ফেরার পথে একদিকে শরীর ক্লান্ত থাকে অপর দিকে নাজিরাবাজার থেকে ময়নামতি সেনানিবাসে উঠে আসতে অনেক কষ্ট হয়। তবে আমার মতো সবাই সতর্ক থাকলে করোনা ভাইরাসের সংক্রামণের ঝুঁকি অনেক হ্রাস পাবে।

 


আরো সংবাদ



premium cement