ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন স্পষ্ট অক্ষরে লিখতে সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকদের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সাথে ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনের একটি টাইপ কপি ওই প্রতিবেদনের সাথে সংযুক্ত করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। স্বাস্থ্য সচিব, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক এবং দেশের সব সিভিল সার্জনকে এই নির্দেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে।
কক্সবাজারের খুরুশখুল উচ্চবিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণীর ছাত্র সাইফুল ইসলাম হত্যা মামলার আসামির জামিন আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হকের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ গতকাল এ আদেশ দেন। এই মামলায় কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডা: সোলতান আহমদ সিরাজীর দেয়া ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন অস্পষ্ট (পড়ার অযোগ্য) হওয়ায় আদালতের এ নির্দেশ আসে।
এদিকে ওই মামলার আসামি একই স্কুলের একই শ্রেণীর ছাত্র মো: আরিফকে ছয় মাসের জামিন দিয়েছেন আদালত। আরিফের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট দাস তপন কুমার। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার মো: সারওয়ার হোসেন বাপ্পী।
উল্লেখ্য, সাইফুল ইসলাম হত্যার ঘটনায় ২০১৭ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি কক্সবাজার থানায় মামলা হয়। এই মামলার এজাহারে করা অভিযোগে বলা হয়, সাইফুলের সাথে শ্রেণিকক্ষে আরিফের কথা কাটাকাটি হয়। এর জের ধরে ওই বছরের ১৯ ফেব্রুয়ারি সাইফুলের ওপর হামলা চালায় আরিফ ও অজ্ঞাত ৫-৬ জন। এলাপাতাড়িভাবে কোপানো হয়। আহত অবস্থায় তাকে কক্সবাজারে জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরদিন ২০ ফেব্রুয়ারি সাইফুল মারা যায়।
এ মামলায় কারাবন্দী আরিফ কক্সবাজার নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালে জামিনের আবেদন করে। ওই আদালত গত ১২ সেপ্টেম্বর তার জামিন আবেদন খারিজ করেন। এরপর হাইকোর্টে জামিনের আবেদন করা হয়। এই জামিন আবেদনের সাথে সাইফুল ইসলামের লাশ ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়, যা পড়ার অযোগ্য। গতকাল আরিফের জামিনের আবেদনের ওপর শুনানিকালে ওই ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন আদালতের নজরে আসে। এরপর আদালত স্পষ্ট করে ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন লেখার নির্দেশ দিলেন।