সিপিবি সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেছেন, জনপ্রতিনিধির জন্য প্রার্থিতা কোনো ব্যবসা নয়।
গতকাল কেন্দ্রীয় নির্বাচন পরিচালনা কমিটির দফতরে প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমা গ্রহণের সময় বক্তৃতা দিতে গিয়ে তিনি এ কথা বলেন। তিনি আরো বলেন, মনোনয়নপত্রকে বিকিকিনি করে রাজনীতিকে দুর্বৃত্তায়িত করে ফেলা হয়েছে। আগামী দিনে কমিউনিস্ট পার্টি জনগণকে সাথে নিয়ে রাজনীতিকে দুর্বৃত্তায়ন মুক্ত করে জনতার শাসন প্রতিষ্ঠা করবে।
এ দিকে পার্টির পক্ষ থেকে জানানো হয় যে, আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কাস্তে মার্কার প্রার্থী হিসেবে সব আসন থেকে পর্যায়ক্রমে মনোনয়নের জন্য তৃণমূল থেকে সুপারিশের মাধ্যমে নাম আসা অব্যাহত আছে। প্রার্থী হিসেবে গতকাল যাদের নাম এসেছে তারা হলেন : ছাত্র ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি শরিফুজ্জামান শরিফ (বাগেরহাট-৪), ছাত্র ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি মানবেন্দ্র দেব (গাজীপুর-৪), সমাজসেবক ও শিশু-কিশোর সংগঠক আবু তাহের বকুল (ঢাকা-৬), ক্ষেতমজুর আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক অধ্যাপক কামরুজ্জামান (রংপুর-৬), কুড়িগ্রাম জেলা সিপিবির সভাপতি উপেন্দ্রনাথ রায় (কুড়িগ্রাম-২), গাইবান্ধা জেলা সিপিবির নেতা আদিবাসীদের অধিকারের আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক যজ্ঞেশ্বর বর্মন (গাইবান্ধা-৫), বগুড়া সিপিবির নেতা ও কৃষক আন্দোলনের সংগঠক সন্তোষ পাল (বগুড়া-৫), ঝিনাইদহ সিপিবির নেতা আব্দুর রব (ঝিনাইদহ-৩), ক্ষেতমজুর আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক অ্যাডভোকেট চিত্তরঞ্জন গোলদার (খুলনা-৫), সিপিবি ময়মনসিংহ জেলার নেতা হারুন আল বারী (ময়মনসিংহ-৩), নওগাঁ জেলা সিপিবির নেতা মনসুর রহমান (নওগাঁ-৬), কুষ্টিয়া জেলা সিপিবির নেতা অধ্যাপক অহিদুজ্জামান পিন্টু (কুষ্টিয়া-২), ঝিনাইদহ সিপিবির নেতা ফণিভূষণ রায় (ঝিনাইদহ-৪), বাগেরহাট সিপিবির নেতা খান সেকেন্দার আলী (বাগেরহাট-২), পাইকগাছা উপজেলা সিপিবির সভাপতি সুভাষ ছানা মহিম (খুলনা-৬), পটুয়াখালী জেলা সিপিবির নেতা শাহাবুদ্দিন মাস্টার (পটুয়াখালী-২) ও জামালপুর জেলা সিপিবির বীরেন্দ্র চন্দ্র গোপ (জামালপুর-৪) প্রমুখ। পার্টির পক্ষ থেকে জানানো হয়, আগামী ১৮ নভেম্বর পর্যন্ত মনোনয়নের জন্য আবেদন গ্রহণ করা হবে। উল্লেখিত সময়ের মধ্যে তৃণমূল থেকে যথা নিয়মে অর্থাৎ শাখা পর্যায় থেকে শুরু করে ইউনিয়ন, উপজেলা ও জেলা পর্যায়ের কমিটির মতামতের ভিত্তিতে আবেদন পাঠাতে সংশ্লিষ্ট সরার প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।