২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫
`


চট্টগ্রামে করোনায় ১ জনের মৃত্যু, নতুন আক্রান্ত ৯৩০

-

চট্টগ্রামে সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময়ে নতুন করে ৯৩০ জনের শরীরে ভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়ে। সংক্রমণ হার ৩০ দশমিক ৪৬ শতাংশ। জেলার করোনা সংক্রান্ত হালনাগাদ পরিস্থিতি নিয়ে চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন কার্যালয়ের আজকের রিপোর্টে এসব তথ্য জানা যায়।

প্রতিবেদনে দেখা যায়, ফৌজদারহাট বিআইটিআইডি, এন্টিজেন টেস্ট, শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ও নগরীর দশ ল্যাবে গতকাল চট্টগ্রামের তিন হাজার ৫৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। নতুন পজিটিভ ৯৩০ জনের মধ্যে শহরের ৭৫৭ ও ১৪ উপজেলার ১৭৩ জন। উপজেলায় আক্রান্তদের মধ্যে সীতাকুণ্ডে ৪২, বোয়ালখালীতে ২৩, হাটহাজারীতে ১৬, রাউজানে ১৫, রাঙ্গুনিয়া ও সাতকানিয়ায় ১৩ জন করে, ফটিকছড়ি, লোহাগাড়া ও পটিয়ায় ১০ জন করে, সন্দ্বীপে নয়জন, মিরসরাই ও বাঁশখালীতে চারজন করে, আনোয়ারায় তিনজন এবং চন্দনাইশে একজন রয়েছেন।
কর্ণফুলী উপজেলায় নতুন কোনো শনাক্ত মিলেনি। জেলায় করোনাভাইরাসে মোট শনাক্ত ব্যক্তির সংখ্যা এখন এক লাখ ৮ হাজার ৩৭৬ জন। এর মধ্যে শহরের ৭৯ হাজার ২৪ ও গ্রামের ২৯ হাজার ৩৫২ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত শহরের একজনের মৃত্যু হয়। এতে জেলায় করোনায় মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৩৪২ জনে। এদের মধ্যে শহরের ৭২৮ জন ও গ্রামের ৬১৪ জন।

ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে দেখা যায়, ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস ল্যাবে গতকাল সবচেয়ে বেশি ৬২৬টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে শহরের ১৬৮ ও গ্রামের ৯টি নমুনায় করোনার জীবাণু পাওয়া যায়। চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ল্যাবে ২৮৫ জনের নমুনায় শহরের ১১৪ ও গ্রামের ১০ জনের দেহে ভাইরাসের অস্তিত্ব মিলে। বিশেষায়িত কোভিড-১৯ চিকিৎসা কেন্দ্র আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের আরটিআরএলে ৭৭ নমুনা পরীক্ষা করলে শহরের ৩৪টির পজিটিভ রেজাল্ট আসে। নমুনা সংগ্রহের বিভিন্ন কেন্দ্রে ৮৭ জনের এন্টিজেন টেস্ট করা হলে গ্রামের ৪৮ জন আক্রান্ত বলে জানানো হয়।
বেসরকারি ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরি শেভরনে ৪৫৬ জনের নমুনা পরীক্ষায় শহরের ৬৪ ও গ্রামের ৩০ জন সংক্রমিত শনাক্ত হন। ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ৩৫৬ জনের নমুনা থেকে শহরের ৮৬ ও গ্রামের ২৫ জন আক্রান্ত শনাক্ত হন। আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতাল ল্যাবে ২৭৯ টি নমুনা পরীক্ষা করলে শহরের ২৭ ও গ্রামের ২৩টি সংক্রমিত মিলে। মেডিক্যাল সেন্টার হাসপতালে ১৬৮ জনের নমুনা পরীক্ষায় শহরের ১৫ ও গ্রামের আটজন আক্রান্ত চিহ্নিত হন। এপিক হেলথ কেয়ারে ২৫২ নমুনার মধ্যে শহরের ১৬৮টিতে ভাইরাস পাওয়া যায়। ল্যাব এইডে পাঁচজনের নমুনা পরীক্ষা করা হলে তিনজনের শরীরে ভাইরাসের উপস্থিতি চিহ্নিত হয়। মেট্রোপলিটন হাসপাতাল ল্যাবে ৮০ নমুনায় শহরের ৫৫টিতে জীবাণুর উপস্থিতি শনাক্ত হয়। এশিয়ান স্পেশালাইজড হাসপাতালে ১৪৮ নমুনা পরীক্ষায় শহরের ছয় ও গ্রামের ২০টি পজিটিভ হয়। শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে স্থাপিত ল্যাবে ২৩৪ বিদেশগামীর নমুনা পরীক্ষা করলে শহরের ১৭ জন আক্রান্ত ধরা পড়ে।

এদিন চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি অ্যান্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে কোনো নমুনা পরীক্ষা হয়নি। চট্টগ্রামের একটি নমুনাও কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়নি।

ল্যাবভিত্তিক রিপোর্ট বিশ্লেষণে সংক্রমণ হার পাওয়া যায়, বিআইটিআইডি’তে ২৮ দশমিক ২৭ শতাংশ, চমেকহা’য় ৪৩ দশমিক ৫১, আরটিআরএলে ৪৪ দশমিক ১৫, এন্টিজেন টেস্টে ৫৫ দশমিক ১৭, শেভরনে ২০ দশমিক ৬১, ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ৩১ দশমিক ১৮, আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালে ১৭ দশমিক ৯২, মেডিকেল সেন্টার হাসপাতালে ১৩ দশমিক ৬৯, এপিক হেলথ কেয়ার ল্যাবে ৬৬ দশমিক ৬৬, ল্যাব এইডে ৬০ শতাংশ, মেট্রোপলিটন হাসপাতালে ৬৮ দশমিক ৭৫, এশিয়ান স্পেশালাইজড হাসপাতালে ১৭ দশমিক ৫৬ এবং শাহ আমানত বিমানবন্দরে ৭ দশমিক ২৬ শতাংশ।

সূত্র : বাসস


আরো সংবাদ



premium cement